মহান (!) ভারতবর্ষ সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত,এটা অবশ্য অস্বীকার করারও কোন উপায় নেই,কারণ ভারতীয় সরকারগুলো গণতান্ত্রিকভাবেই ক্ষমতায় আসে। স্বাধীনতালাভের পর হতে আজ পর্যন্ত ভারতে কোন সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারেনি,হতে পারে ভারতের মতো আয়তনে,জনসংখ্যায় আর অসংখ্য জাতিগোষ্ঠির সমন্বয়ে গঠিত বিশালকায় দেশে সামরিক সরকারের অস্তিত্ত্ব ই সম্ভব নয়,যার ফলে গণতান্ত্রিক সরকার ই স্বাভাবিক তাদের জন্য। সাধারণত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণতন্ত্রের পর ই যে বিষয়টি উচ্চারিত হয় তা হলো অসাম্প্রদায়িকতা,ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান,এখানে এসেই গণতান্ত্রিক ভারতের সমস্ত দর্প চূর্ণ হয়ে যায়! যদিও আমাদের দেশের ভারতপ্রেমী কিছু মানুষ এখানে এসে অন্ধ তথা একচোখা হয়ে যায়। তাদের চোখে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামী চরম সাম্প্রদায়িক দল হলেও তাদের কাছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নিখিল ভারতীয় উদারপন্থি দল,হতে পারে কিছুটা ডানপন্থি! কিন্তু বাস্তবতা আসলে কি তাই? মোটেও নয়! বাংলাদেশে জামাতের অংগসংগঠন শিবির,আর ভারতে বিজেপির? আরএসএস,বজরং,শিবসেনা! এখন জামাতের এক শিবিরের সাথে উপরোক্ত তিনটার একটার তুলনাই যথেষ্ট,বাকি দুটোর কি করবেন? বাংলাদেশে জামাত একাত্তরে হত্যা,লুটপাটে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল,আর উল্টাদিকে বিজেপি নিজস্ব উদ্যোগে নেতাদের নির্দেশনায় ভারতজুড়ে অসংখ্য দাংগায় হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলমানকে হত্যা করে আসছে,এমনকি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত সরাসরি জড়িত! গুজরাটের এক মহিলা নেত্রীর সরাসরি নির্দেশে ৯৭ জন মুসলমানকে খুন করা হয়েছে,সম্প্রতি এই নেত্রিকে আটাশ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বাবরি মসজিদ ভাংগায় উমা ভারতীর মতো জনপ্রিয় নেত্রি স্বয়ং নেতৃত্ব দিয়েছে,এল কে আদভানি স্বয়ং উষ্কানি দিয়ে অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছে,সাবেক প্রধানমন্ত্রি বাজপেয়ী পূজায় বসে প্রার্থনা করেছে! এহেন ভয়ংকর একটা দলের কাছে তো বাংলাদেশের জামাত চুনোপুটি হওয়ার কথা! চরম আর উগ্রপন্থী আদর্শের সমতার কারণে জামাত আর বিজেপিকে এক কাতারের দল ধরে নিলাম না হয়,তাহলে এখন নিজ নিজ দেশে এই দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থান দেখুনঃ বিজেপি ভারতের প্রধান দুই দলের একটি,কংগ্রেস পড়লেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় তারা আসবে,অনেকগুলো বড় বড় রাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, বিপরীতে বাংলাদেশে জামাতের অবস্থান কেমন? এককভাবে নির্বাচন করলে এই দল আমাদের দেশে দুটোর বেশি আসন পাবে না এবং আগামী শত বছরেও এদের এককভাবে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই! এখানেই আসলে বাংলাদেশ আর ভারতের মূল পার্থক্য,মূলতঃ দুই দেশের জনগণ আর জনমতের পার্থক্য! আমাদের এই জনগণের জন্য ই একাত্তরের কিছু কুলাংগারের খুন খারাপি আর সেই দেশভাগকালীন নোয়াখালীর দাংগা ছাড়া আর কোন দাংগার কথা ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না! অথচ বিপরীতে ভারতে এত অসংখ্য দাংগা প্রতিনিয়ত ঘটছে যার হিসাব রাখা সম্ভব নয়,রাম রাজত্ত্বের স্বপ্ন দেখা চরমপন্থিরা ভারতে মুসলমানদেরকে সম্পূর্ণরুপে নিশ্চিহ্ন করে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরপরও এহেন গণতান্ত্রিক উদারপন্থি(!) ভারতকে পূজনীয়,আদর্শস্থানীয় কারা বলতে পারে? একমাত্র ইনফেরিওরিটি কম্প্লেক্সে ভোগা মানসিকভাবে অসুস্থ কিছু বাংলাদেশী ছাড়া আর কেউ পারবে বলে মনে হয় না।
তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক ভারত আর সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের তুলনাঃ বিজেপি ও জামাতে ইসলামী
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।