সময় নিয়ে পড়ে দেখুন। কিছু জানলেও জানতে পারবেন।
.
তনু হত্যাকান্ড সম্পর্কে আপাতত আমরা সবাই জানি কম বেশি।যেখান থেকে তনুর ধর্ষিত হয়া লাশ উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে খানিকটা দুরে দুপাশে দুটো সেনা তাবু রয়েছে।
.
তনু মুলত থিয়েটারে কাজ করত।নাট্যকর্মী হিসেবে।মাঝে মাঝে বিকেল,কিংবা রাত হতো তার বাসাতে ফিরতে।সেদিন ৭.৩০ কি ৮ টা নাগাদ সোহাগী বাড়ি ফিরছিল ক্যান্টনমেন্ট এর দিত্বীয় গেট দিয়ে।তনুর বাবা বাসায় ফিরতে রাত করেন।তনু সাধারনত ৯ টার বেশি থিয়েটারে থাকতো না।ওইদিন তনুর বাবা বাড়িতে ফিরল রাত ১০ টার খানিক বাদেই।এসে শুনলেন তার মেয়ে বাসায় ফেরেনি এখনো।হতাশ হয়ে এগুতো লাগলেন মেয়েকে খুঁজতে।আস্তে আস্তে কালভার্ট এলাকায় আসতেই তার বাবার চোখে পরে তার মেয়ের জুতো।আরো সামনে যেতে লাগলেন।দেখলেন মেয়ের চুল।বুঝতে পারলেন অবশ্যই খারাপ কিছু হয়েছে।কষ্টে কেঁদেই ফেললেন।এরপর কান্না শুনে সেখানকার এমপি এসে হাজির।তনুর বাবা সাহায্য চাইতেই এমপি চুপ হয়ে গেলেন।কিন্তু আসলে কেন? কিছুদুর এগুতেই তনুর লাশ পাওয়া যায়।আশেপাশে কোন প্রমান মেলেনি।মিলবেই বা কেন তনুকে সেখানে ধর্ষন বা মার্ডার করাই হয়নি।
.
আরো শুনেছি আমি ওই এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকে যে ওই ২নং গেট নাকি সন্ধ্যার পর থেকে ওইদিন বন্ধ ছিল।ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে।ওইদিন কি আসলেই বন্ধ ছিল নাকি বন্ধ বলে আসল ফুটেজ সরিয়ে দেয়া হয়েছে তার হদিশ মেলেনি।তনুর লাশ যেখানে পাওয়া যায় ওই এলাকার আশেপাশে ৫-৬ মিনিট অন্তর অন্তর সেনাবাহিনির টহল চলে।ওই এলাকায় ঢুকতে গেলেও পারমিশন লাগে।দাদা,বাবা, সহ সবার সার্টিফিকেট নিয়েই ঢুকতে হয়।তাও সিওর না ঢুকতে দেয়া হবে কিনা।ওই এলাকার মানুষগুলোই শুনেই হতবম্ব যে এই এলাকায় এগুলো হয়ার সম্ভাবনাই নাই।কারন তারা যানে সেখানে কতটা সিকিউরিটি উপস্থিত।প্রত্যেকটা গেটে আলাদা আলাদা সিকিউরিটি।
.
তনুকে হত্যার আগে তারা পুরোপুরি সুরক্ষা সহ ধর্ষন করেছে।যাতে ধরা খাওয়ার সুযোগ না থাকে।কয়েকজন সাধারন মানুষ ওই এরিয়ার মধ্যে ঢুকে ধর্ষন করে, তাকে খুন করে বেরিয়ে যাবে তাও আবার সুরক্ষা সহ এটা কখনোই সম্ভব না।ধর্ষনের পিছনে কারা ছিল তা আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
.
আরো শুনেছি কয়েকটা অনলাইন পোর্টাল আর কিছু পোস্ট ঘেটে যে তনুকে যেভাবে মারা হয়েছিল সেইভাবে মারার ট্রেনিং সেনাদেরকে দেয়া হয়।এটা পরিকল্পিত ছিল।প্রথমত সুরক্ষা,পরবর্তিতে সেনাদের ট্রেনিং স্টাইলে হত্যা,এটা পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব না।বিশেষ করে ওই এলাকাতে কখনোই না।তনুকে আগে গলায় এবং পরবর্তীতে পেটে আঘাত করা হয়েছিল।এটা কোন সাধারন মানুষের মারার ধরন হতে পারেনা।সেনাদের ট্রেনিং-এ সাধারনত এই ধরনের মারার ট্রেনিং দেয়া হয়।যখন শত্রু ঢুকে আসবে প্রথমত তার গলার আঘাত করা যাতে সে কথা না বলতে পারে এবং পরবর্তীতে পেটে যাতে তার শরীর অকেজো হয়ে পরে। এবার বাকিটা বুঝে নেয়ার চেস্টাটুকু করুন।বুঝে যাবেন।সব উত্তর পাবেন।আপনারা নিজেরাই।
.
তনুর পোস্টমর্টেম এর রিপোর্টটা সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি মেডিকেল কতৃপক্ষ।তার উপর তনুর বাবা এবং পুরো ফ্যামিলিকে হুমকীও দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার।সাগর,রুনির হত্যার বিচার হয়নি।তনুর ধর্ষনের কাহিনি মিডিয়াতে দেয়া হয়নি,তার আগেই ধামাচাপার মতো হয়ে গেছে ব্যাপারটা।মিডিয়াতে না দেয়ার পিছনে কি কারন ছিল?কোন মিডিয়া সাহস করেনি এটাকে নিউজ করবার,কারন তারা যে জানেনা তা নয়।উপরের প্রেসার রয়েছে।হয়ত দেখালে তাদের চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়ে যেত।আমার সন্দেহের সাথে সবার সন্দেহ মিলে গেছে।স্বয়ং গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারো এরকম ধারনাই করেছেন।তনুকে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল যার ফলে তার নাক,কান এবং মুখ থেকে ব্লেডিং হচ্ছিল।তার চুল ছিড়ে গেছি হস্তাধস্তিতে।
.
জানি এর বিচারো হবেনা। কারন এটা করেছে স্বয়ং সেনারাই।সরকার নির্বাচিত সেনারা।তাই তারা চেপে যাচ্ছে।মিডিয়াতে দেয়নি।মেডিকেল থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিতে চায়নি।ধর্ষনের সময় প্রোটেকশন।পুরোটাই সাজানো ছিল।আগে সাধারন মানুষ খুন হলেই তার বিচার হতো না।ধর্ষন করে পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মাথায় আর তাকে দেশেই পাওয়া যেত না।বিচার হতোনা। সেখানে স্বয়ং সেনাসদস্যরা যে কাজ করেছে তার বিচার আদৌ হবে কি? মনে হয় না।তনু আমাদের মাফ করবে না।আমরাও অসহায়।সেনারা ধর্ষন করে আমরা দেখি।শুনি।কিছু করতে পারিনা।পারবোওনা।আমরা সাধারন আর তারা অসাধারন এটাই তফাৎ।বেশি কিছুই বলবোনা।শুধু বলবো তনু হত্যার বিচার চাই,তনু ধর্ষনের বিচার চাই।এমন বিচার যা দেখলে পরবর্তীতে কেউ দুঃসাহসও না করে কারো দিকে চোখ তুলে তাকাবার।শুধুই বিচার।কারো কি চোখে পরেনা সাধারনদের লেখাগুলো? তারা কেন আজ চুপ? কেন জাগবে না আজ? নিজের বোন হলেও কি এভাবেই চুপ থাকতো? সন্দেহ জাগে মনে।শুনতে খারাপ লাগলেও বলছি।ওরা নিজেরা নিজেদের বোনকে ধর্ষন না করলেও অন্যকে বাধা দিচ্ছে না।মুলত ওদের বোনের ধর্ষনে ওরাই দায়ী।কারন ওরা প্রশ্রয়দানকারী। দেখেন ভান করছে না দেখার।এবার তো চোখটা খুলুন।জেগে উঠুন।আপনার বোনও তো হতে পারে পরবর্তী স্বীকার।আজই জাগুন।প্রত্যেকে আমরা একা,সবাই মিলে আর আমরা একা নই।একটা মৃত বোনের জন্য প্রতিবাদ করুন এতে হয়ত ভবিষ্যতে আপনার জীবিত বোনটা বেঁচে যাবে এ পরিস্থিতি থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২