কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট-এ প্রথমে ধর্ষন এবং পরে খুন করা তনুর সেই দিনের ঘটনার সবটা এক সাংবাদিককে বললেন তনুর বাবা।সেখান থেকেই কিছু অজানা তথ্য পাওয়া গেছে।
.
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিন দিকে প্রথম দুইটা বিল্ডিং ৪ তলা।ওইটার কাছে যাওয়ার পর দেখা যায় ৩ টা ছেলে দৌড়াদৌড়ি করতেছে।তনুর বাবার সাথে যে কর্মকর্তা ছিলো সেও দেখতে পেয়েছে।এবং হাক পেড়ে বললেন কে ওখানে? ওখান থেকেই একজন উত্তর দিলো ওরা এই এলাকারই। তখন বাজে রাত ১০.৩০ বা এর বেশি।দ্রুত চলাফেরার পরে সেই তিনজনের চেয়ারা দেখতে পাননা তনুর বাবা।তাছাড়া তখন সেখানে আলো ছিলোনা।চাঁদের হালকা আলোতে অল্প কিছু দেখা যাচ্ছিল।পুরোটা না।তাদের বয়স ২০/২৫ বছরের মধ্যে।সম্ভবত তনুর বাবার মতে তারা ৩জন শার্ট, প্যান্ট পড়া ছিলো।
.
তনু তার বাবাকে কখনোই এসব বলেনি যে তাকে কেউ বিরক্ত করছে।লাশ পাওয়ার পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানালেন তনু মারা গেছে।তার আগে ওখানকার ডাক্তারেরা তনুর বাবা কোথায় থাকে বা কোন এলাকার জিজ্ঞেস করলো।তনুর বাবা অসহায় দাবী করে তাদের বললো যাতে তার মেয়ের জ্ঞান আছে কিনা তা দেখে একটু জানায়।একজন মহিলা ডাক্তার এসে হাতের পালস চেক করে বললো তনু নেই।এবং একটা ট্রলি এনে তনুকে নিয়ে গেল। তখন বাজে রাত ১১.৩০ এর মত।
.
এরপরে তনুর বাবার আর কিছু খেয়াল নেই।পোস্টমর্টেম করে লাশ দেয়া হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে।কিন্তু তাহলে স্থানীয় ডাক্তারেরা লাশটাকে নিয়ে কি করলো? এটাই হলো তনুর বাবার প্রশ্ন।
.
তনুর বাবা যখন লাশ পায় তখন সে দেখতে পায় তনুর মাথার পিছনের অংশটা ফুলা।এবং তার চুল ছিড়া ছিলো।মনে হলো কেউ জোর যবরদস্তি করে টানাটানি করেছে চুল নিয়ে।
.
যেই জায়গায় তনুর লাশ পাওয়া গেছে সেখানেই খুন করা হয়েছিল কিনা এ সম্পর্কে তনুর বাবার তেমন ধারনা ছিলোনা।কিন্তু সে দাবি করে তার সাথে যারা যারা ছিলো সবাই সেখানে পায়েরছাপ তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো ছিটানো তনুর চুল,কাপড়,চোপড় দেখতে পেলো।তিনি এতটুকু ধারনা করেছেন।আরো বলেন যে তিনি সাধারন মানুষ এসব খুন সম্পর্কে আল্লাহ সব জানেন।তারা মানুষ হিসেবে যা ধারনা করেছেন তা ভুল হতেও পারে কিন্তু আল্লাহ সব দেখেছেন।আল্লাহ তাআলা যেন তার মেয়েকে জান্নাতবাসি করে এবং অপরাধীদের বিচার করে।
.
তবে তনুর বাবা জোর দিয়ে বলেন যে ধর্ষন এবং খুন ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে হয়েছে বাইরে নয়।লাশ ভিতরে এবং আশেপাশে যেহেতু কাপড়-চোপড় ছড়ানো ছিটানো পাওয়া গেছে এ থেকে তনুর বাবার ধারনা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরেই যা হবার হয়েছে বাইরে নয়।
.
যেখানে তনুর লাশ পাওয়া গেছে ওখান থেকে আশেপাশে কোন রাস্তা নেই।এবং সেখানে ঘের দেয়া হচ্ছে।ওপাশ থেকে কেউ এসে এসব কাজ করবে তা প্রায় অসম্ভব।ক্যান্টনমেন্ট এর এত ভিতরে কোন সাধারন মানুষের যাওয়া সম্ভব না বলেও জানান তিনি।
.
তিনি যখন তনুর লাশ খুঁজতে বের হয় তখন সেখানে আর্মি বাহিনির টহলের গাড়ি ছিল।এবং তার মেয়েকে পাচ্ছেনা বলতেই তারা বিষয়টাকে এড়িয়ে গেলো।বললো তারা কিছুই জানেনা এ ব্যাপারে।
.
সর্বশেষে তনুর বাবা দাবী করে যারা তার মেয়ের সাথে এগুলো করেছে তাদের যেন বাংলাদেশ সরকার বা প্রশাসন অতি দ্রুত ধরে ফেলে এবং যথাযথ শাস্তি তাদেরকে প্রদান করে।
.
তনুর বাবার সাংবাদিককে বলা কথাগুলো শুনুন এখানে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১