যারা সেনা আইন কিংবা সামরিক শাসনকে শুধু অপছন্দই করেন না বরং সহ্য করতে পারেন না, তাদের জন্য আমার লেখা কষ্টদায়ক হতে পারে। তাই তাদের কাছে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে করুণা পাবার নিমিত্তে বলতে চাই যে এটা শুধুই আমার প্রস্তাব, আমার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা, আপনার ভাল লাগতেও পারে নাও লাগতে পারে, তবে খারাপ লাগার অপবাদ দিতে চাইলে পুরো লেখাটা পড়েই দিবেন। অনুরোধ রইল। প্রস্তাবটা বলার আগে একটা বিষয় বলি। আমার বর্তমান নিবাস রংপুরে ক্যান্টনমেন্টে আমি কয়েকবার গিয়েছি। এতে লক্ষ্য করেছি, দৈনিক হাজারো সাধারণ মানুষ এর ভিতরের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও এর নিয়মনীতি কখনও ভঙ্গ করে না(আমার এই নিবন্ধে নিয়ম নীতি বলতে শুধু চলাচলের নিয়ম বুঝবো)। শুধু এখানে নয় আমার মনে হয় বাংলাদেশের যে কোন ক্যান্টনমেন্টে অথবা সেনাবাহিনীর পরিচালনায় এরিয়াতে মানুষ নিয়ম ভঙ্গের চেষ্টা তুলনা মূলক কম করে। এই কমের পরিমাণটা আসলেই অনেক কম! আমার ধারণায় এর কারণ কয়েকটা হতে পারে। সম্ভাব্য কয়েকটা কারণ হতে পারে-
১। এখানে অর্থাৎ সেনা বাহিনীর এরিয়ায় অনিয়ম মানা হয়না।
২। এদের অর্থাৎ সেনাবাহিনীর লোকজনকে সবাই ভয় পায়। অথবা
৩। এদের অর্থাৎ সেনাবাহিনীর লোকজনকে সবাই সম্মান করে।
তবে আমার মনে হয় সব গুলোই এর কারণ। আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দালালি করার জন্য বলছি না, তবে সম্মানের সাথেই বলতে পারি বাংলাদেশের সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনী এখনও সেরা। দেশে এবং বিদেশে এদের কর্মকাণ্ডের অনেক সুনামও আছে। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবো, সেই দেশগুলোতে সবাই(তুলনামুলকভাবে) ব্যক্তি সচেতন। ঠিক আমাদের দেশের সেনা এলাকাগুলোর মত। ভয়ের কোন কারণ নেই। আমি সেনা আইনের পক্ষে নই। তবে মনে হয় আমাদের দেশের অনিয়মে চলতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষগুলোর জন্য শুধুমাত্র স্কুল কলেজেই নিয়ম শেখানোতে যথেষ্ট নয়। তাই আমাদের দেশের বিশাল ব্যয়ের এই রিজার্ভ বাহিনীকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।
তবে হ্যাঁ, এটাকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় এ নিয়েই আমার আজকের প্রস্তাব। যারা এর আগের অংশটুকুর সাথে একমত নন তাদের জন্য পরবর্তী অংশটুকু বিরক্তির কারণ হতে পারে। আমার প্রস্তাবে প্রথম পর্যায়ে দেশের নগর ও বিভাগীয় পর্যায়ের শহর গুলোর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া যেতে পারে। বলতে পারেন ট্রাফিক পুলিশের কাজ। পরবর্তী সময়ে ফলাফল ভাল হলে সাড়া দেশের ট্রাফিকের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেয়া যেতে পারে। এতে করে আমার ধারণা, অসচেতনতার কারণে যেই সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটে সেগুলো ঘটার সুযোগ কম থাকতো। জানিনা, হয়তো আমরা প্রতিবছর হাজারো মিশুক মুনির, তারেক কে হয়তো হারাতাম না, হয়তো নববধূ বাসরের স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সাথে ক্ষণিক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অসীমের পথে যেতো না। হয়তো একঝাক দস্যি ছেলেরা ফুটবল খেলে আসার পথে জীবনের শেষ খেলা খেলত না।
তবে হ্যাঁ, তখন সেনা সদস্যদের অবস্থাও পুলিশের মত হবে না যে, এটা নিশ্চিত বলা মুশকিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




