আজ আমরা (বাংগালিরা) কোথায় যেতে চলেছি? আমাদের সভ্য মানুষের এই কি বাস্তব চিত্র?
রিমা (ছদ্মনাম)তিনি বিবাহিতা একজন প্রাইমারী শিক্ষিকা। দেখতে শুনতে আচার আচরন সবই ভালো। এটাই মনে হয় তার সব চাইতে আল্লাহ প্রদত্ত বড় সমস্যা। স্কুলে যেতে অনেক খানি পথ পাড়ি দিতে হয় তা প্রায় ১০/১২ কিঃমিঃ। কিছুপথ বাসে এবং বেশ খানিকটা কাঁচা রাস্তা (২কিঃমিঃ)কোনদিন ভাগ্য ভাল থাকলে ভ্যান নতুবা হেঁটেই যেতে হয়। সমস্যার শুরু স্কুল থেকেই। তারই স্কুলের সহকারী অন্য একজন শিক্ষক একের পর মোবাইলে নাম ছাড়াই পকেট সীম থেকে আজেবাজে এস এম এস দিতে থাকে। হঠাৎ একদিন তিনি (সহকারী) প্রায় ধরাই পড়ে গেলেন, তবুও বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে গেলেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। উল্ল্যেখ্য তার স্ত্রীও একজন শিক্ষিকা। ঐ ঘটনার পর তিনি কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন তারপর শুরু করলেন আরেক দফা শয়তানি। তার এক বেয়াই (ভাবীর ভাই) কে দিয়ে এস এম এস দেয়া এবং পথে ঘাটে বিভিন্ন অজুহাতে কথা বলে বিব্রত করা। তিনি একজন (বেয়াই) হাজী মানুষ তারও বৌ, বাচ্চা আছে। অতিষ্ট হয়ে রিমা একদিন তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে জানাল। প্রধান শিক্ষকের নাম মোঃ জিল্লুর রহমান। তিনি সবশুনে মেয়েটিকে রক্ষা করার পরিবর্তে, উপদেশ দিল যে যা বলতেছে তুমি সেগুলো মেনে নিলেতো আর কোন সমস্যা থাকেনা। এখন মেয়েটি দিশেহারা হয়েপড়ে এবং শেষে সিন্ধান্ত নিল তার স্বামীকে জানানোর। রিমার স্বামী ঢাকাতে চাকুরী করেন। তিনি একদিন রিমাকে সাথে নিয়ে শিক্ষা অফিসে গেলেন এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার (জাকির হোসেন) কে সবকিছু খুলে বললেন এবং ব্যাবস্থা নিতে বললেন, তখন সহকারী শিক্ষা অফিসার রিমার উপর সব দোষ চাপিয়ে তার স্বামীকে বললেন আপনার স্ত্রীকে আগে ভালভাবে চলাচল করতে বলেন। তার আগ্রহ না থাকলে অন্যরা কেন তাকে বিরক্ত করবেন। আর কেউতো অভিযোগ নিয়ে আসেনা, আপনারা আসছেন কেন? বিভিন্ন জায়গা থেকে মোবাইলে টাকা ভরে মানুষকে নাম্বার বিলাবেন আবার মানুষ কে দোষ দিবেন? যান বের হয়ে যান আর কোন দিন এমন অজুহাত নিয়ে আসবেন না। এখন আপনারা বলেন মেয়েটির এখন কি করা উচিৎ? সে কি করবে?
বলতে ভুলে গেছি কোন একদিন ঐ শিক্ষক রিমাকে বহনকারী ভ্যান চালককে দিয়ে ফোন করিয়ে আজেবাজে কথা বলান।
উল্লেখ্য ঘটনাটি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার।
কোন সাংবাদিক ভাই থাকলে অনুগ্রহ করে সাহায্য করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৫৩