নিজ ফেসবুকে পেজে
পোস্ট করা গরু
জবাইয়ের ছবি সরিয়ে
নিলেন বাংলাদেশ টেস্ট
দলের অধিনায়ক মুশফিকুর
রহিম।
শুক্রবার ঈদুল আজহার দিন কোরবানির পশু
জবাই
করছেন এমন একটি ছবি নিজের
ফেসবুক পেজে
পোস্ট করেন মুশফিক। আর তাই জন্ম
দেয়
আলোচনার। তবে আলোচনার জন্ম হওয়ার
সেখানে কি ছিল সেটাই জাতির অজানা।
পশু জবাই করার রক্তাক্ত ছবি দেখলে
অনেক
দুর্বল হৃদয়ের মানুষ এবং শিশুরা ভীত
হতে পারেন
বলে মত দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, এটা তো
কেবল একটা ছবিই ছিল। আমাদের দেশে নিয়মিত
কশাইখানাগুলোতে দিবালোকে পশুর ছিন্ন দেহ
ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি প্রাণঘাতী অস্ত্রও
রক্তাক্ত অবস্থায় কশাইদের হাতে নিয়েই বসে
থাকে। এর পাস দিয়েই শিশু আর প্রাপ্তবয়স্ক
অনেকেরই গমন। সেখানেও শিশু বা দুর্বল
হৃদয়ের মানুষের গমন। কশাইখানাগুলো কি তাহলে
বন্ধ করে দিবেন?
চ্যানেল আই অনলাইন এডিটর জাহিদ
নেওয়াজ খান
তাৎক্ষণিক কলামে মুশফিককে ছবিটি
প্রত্যাহারের
আহ্বান জানিয়ে লিখেছিলেন, ছবিটি
তুলে নিলে শুধু
তিনিই মহান হবেন না, ফেসবুক
ব্যবহারকারীরাও
বুঝতে পারবেন কোন ছবি দেওয়া যায়,
কোন ছবি
দেওয়া অনুচিত। ছবিটা তোলে নেবার মধ্যে
মহত্ত্ব খোঁজে পাওয়ার কি আছে সেটাও আমার
মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে না। আর কোন ছবি দেওয়া
যায়, কোন ছবি দেয়া যায় না সে সম্পর্কিত জ্ঞান
বিজ্ঞ ব্যক্তির আছে আমি জানি। চ্যানেল আই যখন
হরর মুভিগুলো প্রচার করে তখন নিশ্চয়ই শিশু কিংবা
দুর্বল হৃদয়ের মানুষ টিভির দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করে থাকে না।
ছবিটি প্রত্যাহারের খবর জানার পর তিনি
বলেন, খুব
খারাপ অবস্থার মধ্যেও আমরা যেমন তিনি
ম্যাচ বের
করে আনবেন বলে আস্থা রাখি,
তেমনই তিনি ছবিটি
তুলে নেবেন বলেও আস্থা ছিলো। এখানে
আবার তিনি খেলার মাঠের উদাহরণ টেনে
আনলেন। কোরবানিটাকে উনার কাছে ক্রিকেট
খেলার মতো মনে হল কেন সেটাও অজানা।
আমরা মুসলমানেরা শখের বশে কোরবানি করি না।
এক আত্মত্যাগ স্মরণে কোরবানি করি। জনাবের
কাছে এটাকে চার-ছক্কা মনে হতেও পারে। ছবি
অপসারণে তার আনন্দও আসতে পারে তবে
এদেশের মুসলিমরা এতে ব্যথিত হয়েছি। যদিও,
প্রিয় ক্যাপ্টেন চ্যানেল আইয়ের মানসিক চাপেই
সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন। তবে ছবিটা থাকলে যে
মুসলমানদের উপকার হত সেটা নয়। ছবিটা অপসারণ
করায় কারো লাভ হয় নি তেমন।
জাহিদ বলেন, মুশফিক সত্যি সত্যিই এক
অনন্য উদাহরণ
সৃষ্টি করেছেন। তাকে ধন্যবাদ। হ্যা, মুশফিক
আসলেই এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি
ভাল করেই জানেন বাংলাদেশি কিছু মিডিয়া আছে যারা
জল ঘোলা করে মাছ শিকারে সদা তৎপর। মুশফিক
চ্যানেল আইকে ২য় সুযোগটা দেন নি।
আমার কথার প্রমাণস্বরুপ দেখুন এটা-
www.channelionline.com/news/details/ধন্যবাদ-
মুশফিকুর-রহিম/8713
আমি ছোট্ট মানুষ। লিখতে জানি নে। ভুলত্রুটির
জন্য অগ্রীম ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আসসালামু-
আলাইকুম।