সেদিন মোমের খোঁজে, তাড়া এবং তাড়নার পায়ে
গিয়েছি তোমার মহল্লায়- ক'বছর পর আমি সহজাত ভুল
করলাম! মোম পেলাম না, পকেটে নরম অন্ধকার নিয়ে
আধমরা জোনাকির মতো সামান্য জ্বলেছি, নাকফুল...
ঢাকার সবার মতো তোমার আমার দরকার পড়েছিল একটু আলোর ছায়া;
তোমার দখলে ক'টা মোম ছিল সেই রাতে? জানছিনা, একটা মোমের দেখা পেলে- সে রাতে ওদিকে আমি আর যাই!
যদিবা গেলাম, কিন্তু কুয়াশা মোড়ানো চা দোকানে বৃথা বসি কেন?
না হয় বসেছি: সিগারেট ধরাতে গেলাম কোন দোষে;
ধূমপানতো রোজই করি- ধোঁয়া যে এতোটা ফেরাবে প্রেমেতে
পোড়া অধরের তা জানা ছিল না!
ঘরে ফিরে বুঝি- কৈশোরের রৌদ্রদিনগুলি আজ বেশ কাজে দিচ্ছে-
এই শীতরাতে আমাকে তফাৎ রেখে শুতে হয় কোল বালিশের বিছানায়, ভাবো, যে বছরে সিডরে আমার দেহ গেল একই বছরে শীতের তীব্রতা আমার দু'চোখ খেয়ে যাচ্ছে
আমি শুধু দাড়োয়ানের মতন পাহাড়া দিতেছি সমস্ত কুয়াশা
ফলে আমার সকল খিড়কি দরোজা বন্ধ, আমার পাঁজর দিয়ে
উদরপুর্তি করছে এ কুয়াশা;
আমি দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ক্রমে ছিটকে পড়ছি বন্ধুদের পাড়ায় পাড়ায়...
বড় নির্লজ্জের মতো আমি কুয়াশার সঙ্গে ঘুরছি ফিরছি- আর তা জেনে
ঈর্ষায় কাতরাচ্ছে আমার বয়স্কা প্রেমিকা সকল
তবু এই বাম অলিন্দের আত্নহত্যা বা আত্নত্যাগের কোনো
সুরতহাল রিপোর্ট থাকতে দেবো না-
সাংবাদিকের চরিত্রে তদন্ত কর্মকর্তার পাশে তুমি অযথা করো না ঘুরঘুর
সত্যি কথা, আমার উদ্যত বেঁচে থাকা কখনোবা লাউডগা
ঘাসের আদর হয়ে তোমাকে ডেকেছে! আর বিদ্যুতহীন রাতের গল্পে
কত শতবার আমি হতভম্ব ছাত্রের কাতারে তোমাদের মহল্লায় চলে গেছি,
চুমোর সাহসে!
আমি তবে কোথাও জাগ্রত ছিলাম না, তবু ঘুমের করাতে কেন
আমার দু'চোখ কেটে দেয়া হলো:
জরুরী অবস্থা এতোটা করুণ, শান্ত, দ্যাখ-
ম্রিয়মান অপমানে চলে যাচ্ছে যুগ;
ক্লান্ত চিৎকারের জবাবে, তাই
আমার তত্ত্বাবধানে একটা কিশোরী বনফুল জমা হলো- ত্রাণ তহবিলে...