somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ্যাশট্রের আয়ু নিয়ে কৌতুক করছে মুহুর্তের সিগারেট

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আর
আমার বিরান হয়ে আসা নখ
তার ত্রিসীমা পেরিয়ে অরণ্যের শুরু
তারপর নদী, তারপর খোলা মাঠ, তারপর
কিছু নেই যেখানে সেখানে শুয়ে
প্রহর গুণছে আমার আকাশ;
কতকাল তার ছায়া পড়ছে না
এই নখের সমুদ্রে, আমি
শীতার্ত বাঘের চরিত্রে নিস্তেজ
থাবা নিয়ে একা-

স্টেশনের শেষ ট্রেনের বাঁশিতে
আমার অনেক ভয়
একদিন,
কোনো এক অন্ধকার যুগে
আলো বলতে মানুষ
যখন কেবল চোখকে বুঝতো
যে সময়ে খেঁকশিয়ালরা এতো
ক্ষুধার্ত ছিল না, সশস্ত্র ছিল না
সেইসব দিনে,
আমি প্রাণ দিয়েছি ট্রেনের তলে-
ভাবা যায়, আমার সকল আত্মা
মৃত-
শুধু যুদ্ধবাজ দেহ নিয়ে কোনো মতে
বেঁচে আছি
পোটলা হারানো টোকাইর মতো-

তাই এই বাঁশি
এই পাতা ঝরা সুর
আর দেহের ঘর্মাক্ত হাসি
আর আঙুলের পরমায়ু
এবং নখের ঐতিহ্য ও বিনাশ
শেষাবধি একাকার হয়ে যাচ্ছে
সমস্থ চৈতন্যে-

এদিকে কুয়াশা যেভাবে রয়েছে
সেইভাবে, একদিন
আমি ও বিধাতা- বিধাতা ও আমি
খোলা পায়ে,
শীতের অতিথি হয়ে গেছি
পৌষের গ্রামের বাড়ি;
শীতের বিরাট সুনাম যে,
তিনি পর্দাশীলা ঋতু
তার রসালো কেচ্ছার কথা মানুষমাত্রই জানে-
অন্যদিকে, অথর্বের মতো
নগরীর ফুটপাথে দাঁড়িয়ে দেখেছি
শীতের পিঠার নির্মাণ কৌশল
(এ সময় আমার সহিত ঈশ্বর ছিলনা)
শিল্পী রমনীর অগ্নিগর্ভ চোখ দেখে
এবার আমার নখ
খামছে ধরছে
ভাপা পিঠার মতন অবিকল
কিছু হৃদপিণ্ড:
ফলে আকাশ যেনবা
দুরের নক্ষত্র; তার কোন কর্ম নেই
শুধু আলোর গরিমা ছাড়া
ঝিকিমিকি ছাড়া কিছু নেই
আর ছায়া ছাড়া
নিজের উত্থান নেই কোনো,
তাই নক্ষত্র না
আয়াসে আমার নখের গভীরে
ঢুকে যাচ্ছে
ঢুকে যাচ্ছে শত কোটি বস্তি
শত সহস্র সভ্যতা
ও দুর্ভিক্ষ
এবং স্বাধীনতা-

এই দিনে
প্রসঙ্গত: বলে রাখি
অতিথি পাখির সঙ্গে
প্রতিদিন ডানা মেলে
এই আমি গুলিবিদ্ধ হতে আছি
তোমাদের হাওড়ে-বাওড়ে;
একদিন-
চেয়েছি আমার মৃত্যু হবে
বজ্রপাতে,
তীব্র বজ্রপাতে আমার প্রয়াণ হোক
এ প্রার্থনা জানিয়েছি
প্রকৃতিকে-
আমি চেয়েছি এমন
সাদামাটা মৃত্যু
যাতে যমদূতের সহিত
কোনো জবাবদিহিতা
থাকবে না-
তা আমার না পছন্দ;
এমন বিবেচনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে
ঝাঁঝড়া হওয়া মন্দ নয়
বরং অত্যধিক ভালো এই হঠাৎ প্রস্থান
(সর্বোপরি, প্রস্তুতিমুলক মৃত্যু নিয়ে আমার ধারণা খুব কম)

পাশাপাশি
তীব্র কুয়াশায় শীতকালীন সংসদ
অধিবেশন এবার বসছে না
জেনে,
আমার আনন্দ;
খবরে প্রকাশ,
সুদক্ষ ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে গেছেন স্পিকার
আর মন্ত্রী-এমপিরা
(যার কুয়াশা বলতে দশজন কুমারীকে বোঝে)
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন
রীতিমতো আগুন পোহানো যাচ্ছেনা বিধায়-

সত্যি, সাংসদদের মতন
শীত কালে মানুষকে বড় মেকি লাগে
এ সময় তার মগজে ও গায়ে
এক ধরনের আরোপিত ভঙ্গি চলে আসে
যেন তারা প্রফেশনাল মডেল
অথবা চরম দু:খি- যেন
তারা সকলে শুক্কুর আলী,
খালি গায়ে হাওয়া লাগলে
কাঁপতে থাকবে, কাঁশতে থাকবে
তারপর মরে যাবে-

ভাবো,
বৃক্ষেরা যখন পাতার পোষাক
খুলে,
পুরোপুরি আদিম হয়েছে; এ সময়
মানুষ কেবল গরম পোষাক পড়ে
জানাতে চাইছে,
সে উলঙ্গ ছিলনা কখনো, কোনোদিন
বড় কথা,
গত চৈত্রের উত্তাপ আর
তার মনে থাকছে না,
থাকবে কী;
পোষাকের ওপর পোষাক চাপানোর ফলে
এই শীতে,
মানুষকে আর মানুষ লাগেনা...

তাই মৃদুমন্দ এই বেঁচে থাকা-
আর তাই এ্যাশট্রের আয়ু নিয়ে
কৌতুক করছে মুহুর্তের সিগারেট;
আর ছাই,
ধোঁয়া এবং কুয়াশার নামে
বলি করছে অনেক সন্ধ্যা
আর শীতের অরণ্য
আর আলোর সামান্য মুখ
এবং সৌন্দর্যের নখ
আর...
















২৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×