এত বছর বিদেশে অন্যদেশে নাগরিক হয়ে, সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে, সে দেশের সাথে নিবিড় বন্ধন গড়ে উঠার পরও নিজের দেশের সাথে বন্ধন একটুও আলগা হলো না। দেশে কি ভাবে আরো ভালো হয়। মানুষ ভালো থাকে দেশের উন্নয়ন. উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি আসে তাই ভাবি। যে কোন ঘটনায় উদিবগ্ন হই। ভালো খবর হলে আপ্লুত হই আনন্দে। সুযোগ পেলেই দেশের ভালো অন্যের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমি নই শুধু আমার মতন যে কোন বিদেশে থাকা মানুষই দেশের সাথে এমন প্রেম অনুভব করেন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া।
প্রিয়া সাহা নামের এই মহিলাটি দেশেই ছিল। দেশেই থাকতে চায়। অথচ নিজের দেশের বদনাম করতে তার একটুও আটকাল না। কতটা নিকৃষ্টমানের রাজাকার প্রজাতির জীব এই মহিলা তাই ভাবছি।
দেখে জেনে মনে হলো দেশের অনেক বেশি সুখ সুবিধা সে ভোগ করছে। বেশ ভালো ভাবেই ছিল এবং আছে। অনেক সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষ তার মতন ভালো অবস্থায় নেই। অথচ দেশের বিরুদ্ধে অন্যদেশের একজনের কাছে নালিশ করছে বা বিচার চাইছে।
তাও এমন একজনের কাছে যে নিজ দেশের নাগরিকে সম্মান করে না। আমেরিকায় জন্ম গ্রহন করা এবং নাগকিত্ব পাওয়াদের বলে নিজের দেশে চলে যাও। নারীর প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধই নেই। অমানবিক হয়ে দেয়াল তুলে দিচ্ছে দুই দেশের মাঝে। পরিবারকে করছে বিচ্ছিন্ন। কঠিন দারিদ্রতার অবস্থা থেকে যারা জীবন যাপনের জন্য আমেরিকায় আসতে চায়। তাদের প্রতি ক্রুড়ো মনো ভাব। সেই ট্রাম্পের কাছে নিজের বাড়ি পুড়ে যাওয়া এবং ৩৭ লক্ষ হিন্দুর গুম হয়ে যাওয়ার কথা বলে কি সহানুভূতি চাইল মহিলা। কেন তার এই আকুতি।
ট্রাম্পের কাছে ঠিক কি কারণে প্রিয়া সাহা এসব বলে নিজের দেশের ভাব মূর্তি নষ্ট করছে।
বাড়িঘর সম্পত্তি জবর দখল করা নতুন কোন ব্যাপার নয়। স্বামী মারা গেলে বিধবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে এতিমের সম্পত্তি দখল করে নেয়া। খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার বাংলাদেশে।
শক্তিমান আত্মিয় স্বজন অসহায়দের জমি জমা দখল করে এটা চলে আসছে নিয়মিত।
সম্পত্তি নিয়ে মারামারি, খুন বিবাদ চলে আত্ময়িদের মধ্যে। এছাড়া ভ্দ্রগোছের মানুষ নিপিড়িত হয় শক্তিমান পাড়ার মাস্তান নেতাদের চেলা চামুণ্ডার কাছে। কত মানুষের সম্পত্তি, জোড় করে দখলদার মনভাবের কুটকৌশলি দখল করে নিয়েছে তার হিসাব খুব কম নয়। অথচ সংখ্যালঘু হলেই বিশাল একটা খবর হয়ে উঠে।
ঢাকায় আমাদের নিজের সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করে নিয়েছে মানুষ। আমার আত্মিয়র বিশাল দালান দখল করে নিয়েছে রাজনৈতিক নেতা। বিদেশ থাকা মানুষের সম্পত্তি অহোরহ অন্যের দখলে চলে যাচ্ছে।
বস্তিবাসি এমন কি হরিজনরা পর্যন্ত মানুষের জমি দখল করে বসবাস করে দখলে নিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শক্তিমান হয়েও ভদ্রজন হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারে না অনেকে। তারা মানুষ জড়ো করে লাঠিয়াল তৈরি করে। অনেক সময় বস্তি ভেঙ্গে দিতে দেখি পুলিশ পাহারায়। আমাদের অনেক কষ্ট লাগে । বস্তিবাসি যাবে কোথায় ভেবে।
কিন্তু যার জায়গা সে হয় তো বছরের পর বছর এদের উঠে যাওয়ার অপেক্ষা করেছে। নিজের জায়গায় নিজের মতন কাজ করতে না পারার সেই কষ্টগুলো কেউ জানে না। এমন ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ দেয়া যায়।
যারা বস্তিতে এসেছে তাদের হয় তো একটুরো জমি দেশের বাড়িতে ছিল দখল নিয়ে নিয়েছে কোন শক্তিমান।
একটুকরো জমি খালি থাকলে তার মালিকানা নেয়ার জন্য লোভে চকচক করে অনেকের চোখ। যারা ক্ষমতা দেখায়ে, পেশীশক্তির ব্যবহার করে জোড় দখল করতে পারে তারা আইন কানুন, দলিল কাগজ কিছু মানে না।ক্ষমতা এবং টাকার জোড়ে রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি।
এই অবস্থার খুব উন্নতি হয়নি। ভুমি রাজস্ব অফিসে যারা কাজ করে তারা এক একজন চশমখোর টাকার লোভে ডুবে আছে। বেতনের বাইরে প্রচুর আয় এদের প্রতিটি অফিসে। অসৎ উপায়ে যারা ভূমি দখল করবে তারা এদের পেট আরো বেশি ভরিয়ে দিবে।
আইন কানুন থাকার পরও প্রতিটি ক্ষেত্রের মতন, অনিয়ম নিয়মে পরিনত হয়েছে। আইন গত ভাবে একটা সম্পত্তি হস্তান্তর করতে গেলে
বাংলাদেশে ভূমি সম্পত্তির হিসাব খতিয়ান আইন অনুযায়ী চলে না। আলাগা পয়সা না দিলে।
প্রতি দশ জনের মধ্যে আটজনই হয় তো জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় জর্জরিত ছিলেন বা আছেন। সেখানে প্রিয়া সাহার বাড়ি দখল বা পুড়িয়ে দেয়ার জন্য দেশের আইনে দেশে বিচার না চেয়ে আমরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে কেন কান্নাকাটি করছে। তার তো যথেষ্ট ক্ষমতা আছে বোঝা যায় ট্রাম্প পর্যন্ত যখন পৌঁছে যেতে পারে। দেশেও সব দলের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ভাবসাব উঠাবসা। সুযোগ সন্ধানি একটি মহিলা সে।
নিজ দেশ সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে একটুও খারাপ লাগল না। নিজের দেশের ভাবমূর্তি মিথ্যা দিয়ে নষ্ট করতে একটুও বাঁধল না তার। দেশের খায় আর অন্যদেশেকে ভালোবাসে। কেমন মানবাধিকার কর্মি ছিল মহিলা। ওর মধ্যে তে মানবিকতা বলতেই কিছু নেই। অসৎ কার্যক্রমের জন্য বহিস্কৃত হয়েছিল সংঘঠন থেকে। শুনলাম, স্বামীর সাথে ঝগড়া হলে পাড়ায় দাঁড়িয়ে ঝাড়ি দিত, কথা শুনাত দুদুকে চাকরি করা স্বামীকে। ঘরের খবর পরকে বলার, দেখানোর নিলর্জ্জ প্রেকটিস সে বহু আগে থেকেই রপ্ত করেছে।
ভালোলাগল আমার হিন্দু বন্ধুদের অনেকেই তার এই গর্হিত কাজের সমালোচনা করছেন।
আমাদের শহরের অনেক হিন্দু ইণ্ডিয়া চলে গেছেন নিজের ইচ্ছায়। আবার অনেকে দেশে থেকেই ভালো আছেন। তারা ইন্ডিয়ার চেয়ে বাংলাদেশকেই বেশি ভালোবাসেন। কিছু জোড় জবরদস্তি হয়। দেশে সে সবের সমাধান করার জন্য এনজিও মানবধিকারের কর্মি হয়েও নিজের ক্ষমতা আইন কাজে না লাগিয়ে ট্রাম্পের কাছে দেশকে নিকৃষ্ট ভাবে উপস্থাপন করে কি সুখ পেলো প্রিয়া সাহা।
সৌহার্দ সুন্দর যে জীবন আমরা দেখে বড় হয়েছি তার চেয়ে এখন যেন মানুষের মাঝে বড় বেশি অসহিষ্ণুতা। এই যে নোংরা ধর্ষণ, কোপাকোপি মারামারি হয়। হিন্দু সংখ্যালঘুর উপর আক্রমণ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা । এসব এই সময়ের এক ধরনের মানুষের বেক্ষাপ্যা আচরণ। এগুলো আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে এক একটা হিংসাত্বক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এ সময়ে। সে সম্পর্কে কোন কি ধারনা আছে তার।
ট্রাম্পের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তো তার অভিযোগ নাকোচ করে দিল। এখন তিনি কোথায় মুখ লুকাবেন কি চাইবেন, দেখার অপেক্ষা।
ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সৌহার্দ মিলে মিশে থাকা ভিন্ন ধর্মি মানুষদের মূল্যায়ন অনেক বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮