somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

মানুষ যখন পাশে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যাচ্ছিলাম কালকা ট্রেনে করে দিল্লী। দুদিন ধরে ট্রেন চলছে। আর কয়েক ঘণ্টা চলার পরে ট্রেন পৌঁছাবে দিল্লী স্টেশনে। এমন সময় পাশের যাত্রী কথা বলতে বলতে জানালেন, তোমরা যদি আগ্রা দেখতে চাও, তা হলে ট্রেন দিল্লী পৌঁছানোর আগেই আগ্রায় নেমে যাও। আগ্রা দেখার পর দিল্লী চলে যেও। যেহেতু তোমাদের ফিরতে হবে দিল্লী থেকে কলকাতায় তাই দিল্লী গিয়ে আবার আগ্রায় আসবে আবার দিল্লী যাবে এতে করে অনেকটা সময় এবং এবং অর্থ বেশি খরচ হবে। যারা তোমাদের গাইড করেছে তারা ঠিক ভাবে করে নাই।
সময়টা এমন ছিল যে সবার কিছুই জানা ছিল না।
ভদ্রলোকের কথা শুনে আমরা দিল্লী না গিয়ে আগ্রায় নেমে গেলাম। অনেকটা আরাম হলো বিকাল নাগাদ আগ্রায় তাজমহলের কাছেই খুব সুন্দর নিরিবিলি একটা রেস্ট হাউসে উঠে দুদিনের ক্লান্তি ছেড়ে ফেললাম শাওয়ার নিয়ে। খেয়ে দেয়ে সন্ধ্যা রাতে ঘুমিয়ে পরলাম। পরদিন সকাল থেকে সারাদিন তাজমহল এলাকা ঘুরতে পারলাম। আরো একদিন আগ্রায় থেকে ঘুরে ফিরে পরের দিন সন্ধ্যর দিকে দিল্লী চলে গেলাম।
ফিনল্যাণ্ড হেলিসিঙ্কি থেকে উড়ে বেলজিয়ামের জেভেনতাম এয়ারপোর্টে নেমে, এয়ারপোর্টের ট্রেন ধরে ব্রাসলস সেন্টার স্টেশন পেরিয়ে ব্রাসলস মিডি পৌঁছালাম। সেখান থেকে আরেকটা ট্রেনে চড়ে যেতে হবে সারলোরি। প্রায় পঞ্চাস মিনিটের পথ। আমার চলা সারলোরিতে শেষ হবে না, যেতে হবে আরো দূরে । সারলোরি থেকে বেনেডিট , আমাকে পিক আপ করে নিয়ে যাবে ফ্লোরেন্স কিন্তু তার আগে প্রায় আড়াই ঘন্টা তিনটা ট্রেন চড়ে আমাকে যেতে হবে একা একা।
সবচেয়ে কঠিন ভাষা সমস্যা প্রায় কেউ ইংরেজি বুঝে না। ব্রাসেলসে ইংরেজি কথা বলার লোক পাওয়া গেলেও অন্য স্টেশনে ইংরেজি বলার মতন মানুষ পাওয়া কঠিন। এমন কি যারা ট্রেনের চাকরিজীবী তারাও বেশির ভাগ ইংরেজি বলেন না ।
সারলোরিতে যাওয়ার ট্রেনের জন্য পুরো দুটো প্লাটফর্ম পেরিয়ে অন্য পাশে যেতে হবে। অনেক বড় স্টেশন কিন্তু একটু পুরানো ধাচের। ইউরোপের বেশিরভাগ স্টেশনের প্লাটফর্ম আর ট্রেনের মাঝে বিশাল ব্যবধান উচ্চতার। উত্তর আমেরিকার মতন সমান সমান না। প্রায় দুই সিঁড়ি ভেঙ্গে প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে হয়।
আমার সাথে তেইস কেজি ওজনের একটা স্যুটকেস । সাথে হাতে একটা বিশাল ব্যাগ। ট্রেন থেকে বিশাল স্যুটকেস টেনে নেমে পরলাম ব্যাগ সামলে। তারপর সব যাত্রী যে দিক চলছে সেদিকেই এক্সিট তাই স্যুটকেস টেনে চলছি সেদিকে। এক্কেবারে শেষে এসে দেখি অনেকটা উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছি। অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামতে হবে। তারপর নাম্বার অনুযায়ী অন্য প্লাটফর্মে গিয়ে আবার উপরে উঠতে হবে। স্যুটকেস নিয়ে নামা শুরু করব, নাকি পিছনে ফিরে এ্যালিভেটরে যাব ভাবছি। পিছনে ফিরে দেখছি কতটা দূরে ফিরে গেলে এ্যালিভেটর পাব ঠিক তখনই আমার পাশ দিয়ে কয়েকজন মানুষ নিচে চলে গেলেন। কিন্তু একজন পুরোদস্তুর ফ্রেঞ্চ ভাষি ব্যালজিক ভদ্রলো এগিয়ে এসে আমার স্যুটকেস তুলে গটগট করে নিচে নামতে থাকলেন, আমার দিকে চেয়ে একটু হাসি দিয়ে।
আমি উনার পিছু নিয়ে, নিচে নেমে এসে কোন রকমে বললাম ম্যাক্সি, ম্যাক্সি বোকু বলেই উনি উধাও হয়ে গেলেন, ভিড়ের মাঝে।
এরপর দাঁড়িয়ে থাকতে হলো স্ক্রীনে চোখ দিয়ে, কখন সারলোয়ার ট্রেন কোন প্লাটর্ফমে আসবে । দশ মিনিট আগে নাম্বার দেখানোর সাথে সাথে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ নিমিশে ছুটে চলে গেল। আমিও ছুটলাম। তবে এবার আগে থেকে এ্যালিভেটর দেখে রেখেছিলাম তাই এ্যালিভেটর ধরে উঠে আসতে সমস্যা হলো না।
কিন্তু ট্রেনের ঐ দুই ধাপ উঠার জন্য যখন কসরত করছি। পিছন থেকে শক্ত কালো একটি হাত এগিয়ে এসে স্যুটকেস উঠিয়ে দিল । যুবক নিজের মায়ের ব্যাগ ব্যাগেজের সাথে আমার ব্যাগেরও তদারকি করে ব্যাগ রাখার জায়গায় গুছিয়ে রেখে দিল। বেলজিয়ামের ট্রেন গুলোতে বগির এক পাশে দরজার পাশে লাগেজ রাখার জায়গা। সবাই ট্রেনে চড়েই সাথের ব্যাগ ব্যাগেজ ওখানে রেখে দিয়ে সিটে গিয়ে বসে। নামার সময় নিজের ব্যাগ নিয়ে নামে। ব্যাপারটা দেখে মনে হয়েছিল আমাদের দেশে কি এমন নিশ্চিন্ত হয়ে দূরে লাগেজ রেখে বসা যাবে।

লাইটারবুন থেকে বিশেষ ট্রেনে চড়ে জাংফরাউবান পর্যন্ত আল্পস পর্বতমালার মাঝ দিয়ে ঘুরে যেতে যেতে অনেকগুলো সেটশনে নেমে পাহাড়ি মৌনতার মাঝে সময় কাটিয়ে ঘুরে ফিরে বিকালের দিকে ইন্টারলাকেন পৌঁছালাম। সকাল থেকে সারাদিন ধরে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ঘুরাফেরা করে। ইন্টারলাকেন থেকে স্টিমারে চড়ে জলের মাঝ দিয়ে ব্রিয়ানজ যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। স্টিমার আসার, আর নিজে নিজে সেলফি তুলছি । একজন এগিয়ে এসে বলল, দাও তোমার ছবি তুলে দেই। এবং বেশ কটা আপাদমন্তক ছবি তুলে দিল হাসি মুখে। ছোট শহর ব্রিয়ানজ থেকে জাহজে চেপে আধঘণ্টার ভ্রমণ শেষে পৌঁছালাম বার্ন ।
বার্নে একদিনের থাকার পর, পরদিন বিকালে মাত্র এক ঘণ্টার ট্রেন জার্নি করে জুরিখ পৌঁছে যাবো সন্ধ্যা রাতে। কদিন ধরে ঘুরে বেড়ানোর পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে রাত বারোটা বাজলে। আর পরদিন ভোরই আমার প্লেন । তাই রাতটা কাটিয়ে দেব এয়ারপোর্টেই। তবে হোটেলে রেখে আসা স্যুটকেসটা পিক আপ করতে হবে। রাত নটার মধ্যেই।
গতকাল থেকে সব কিছু সুন্দর স্মুথলি চলেছে। যা করতে চেয়েছি তাই হয়েছে। আজ শেষ রাত গত দশদিনের ঘোরা ফেরার তার পর প্লেনে চড়ে বাড়ি চলে যাওয়া।
বার্ন স্টেশনে পৌঁছে গেলাম সন্ধ্যা নাগাদ। বেশ খানিক অপেক্ষার পর ট্রেন আসল। যে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই জুরিখ যাওয়ার ট্রেন থামল।
আর সব যাত্রীর সাথে উঠে গেলাম ট্রেন থামতেই । এবার আমার সাথে তেমন ভাড়ি স্যুটকেস নাই । একদমই হালকা ক্যারিঅন মেপে মেপে নেওয়া কাপড়। ওজনওলা দুটো হোটেলের লকারে রেখে গেছি জুরিখে।
ট্রেনে পছন্দ সই সিট নিয়ে বসে আছি। মিনিট দশ ট্রেন ছাড়ছে না। এমন সময় সুইস ভাষায় কি যেন বলল, বুঝতে পারলাম না। দেখলাম যাত্রীরা নেমে যাচ্ছে। আমি বসেই আছি দেখে , একজন আমার সামনে এসে সুইস ভাষায় বললেন কিছু। ভাষা না বুঝলেও বুঝতে পারলাম এই ট্রেন আর যাবে না। উনি না বললে হয় তো ঐ ট্রেনে বসে থেকে ট্রেনের গোদামে চলে যেতাম বা অন্য কোথাও। অন্য কোন গল্প হয়ে যেত। রাত বারোটা বেজে গেলে জুরিখে ফিরতে পারতাম না। জুরিখে না ফিরতে পারলে সকালের প্লেন ধরা হতো না বাড়ি ফিরার।
ভদ্রলোককে থ্যাংকু দিতে দিতে নিচে নামলাম। মোটা শরীর নিয়ে, উনিও সবার শেষে আমার পিছনে নামলেন।
মিনিট খানেকের মধ্যে ট্রেন চলে গেলো তবে অবশ্যই জুরিখে গেল না। পাঁচ মিনিটিরে মধ্যে একটা ট্রেন আসল পাশের ট্রাকে। যাত্রীর অস্থিরতায় বুঝতে পারলাম ঐ ট্রেন জুরিখ যাবে। আমার পাশে দাঁড়ানো কালো মেয়েটার সাথে ইংলিশে কথা বলে, বুঝার চেষ্টা করছিলাম। সে সেকেন্ডের মধ্যে অলিম্পিক স্পিডে রেললাইন পেরিয়ে এক দৌড়ে পাশের ট্রেনে গিয়ে উঠল। যেতে যেতে আমাকে বলল, তুমি চলে আস।
আমি ওর মতন দৌড়াতে পারব না। তারপর বিশাল হাই জাম্প দিয়ে রেললাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে ওঠার আগেই ট্রেন যদি আসে তবে তার নিচে পরে চ্যাপ্টা হয়ে যাব। তার চেয়ে বুঝে শুনে আস্তে যাওয়াই ভালো।
আমার মতন অনেক যাত্রী এখনও দাঁড়িয়ে আছে প্ল্যাটফর্মে। একটা অসহায় অবস্থা লাগছে যখন ভাষার জন্য মাইক্রোফোনে কি বলছে আমি বুঝতে পারছি না নির্দেশগুলা।
ঠিক তখন আমার পাশে একটি চাইনিজ কাপলকে পেলাম। তাদের কাছাকাছি চলে গেলাম। ইংরেজি বলতে পারে কিনা জানতে চাইলাম।
তারা বেশ ভালো ইরেজি বলে। তাদের কাছে জানতে পেলাম, ট্রেন আসবে মিনিট পনেরর মধ্যে। এতক্ষণে অর্ধেক পথ চলে যাওয়া হতো। অথচ বার্নে উঠা নামা করছি অপেক্ষা করছি এতক্ষণ । জানলাম এই দম্পতি জুরিখেই থাকে। চীন থেকে কাজ করার জন্য স্যুজারল্যাণ্ডে এসেছে। বেশ ক'বছর ধরে আছে। দুজনেই টেক ইঞ্জিনিয়ার। গল্পে গল্পে বেশ ভাব হয়ে গেল ওদের সাথে। আমি বললাম, তোমরা আমাকে রেখে যেও না। আমি তোমাদের সাথেই থাকব। ট্রেনে উঠা পর্যন্ত।
ওরা বেশ মিশুক টাইপের। অনেক কথা হলো আমাদের অল্প পরিচয়ে অপেক্ষার সময়ে।
পনের মিনিট না প্রায় আধঘন্টা পরে ট্রেন এলো। ছেলেটা বারাবার উঠে গিয়ে দেখছিল কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামবে। এই একটা ঝামেলা অল্প সময় আগে জানা যায় নাম্বার। তখন অনেক পথ দৌড়াতে হয় দ্রুত।
শেষ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষার প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন এসে থামল।
ওদের সাথে গল্প করে এক ঘন্টার পথ দ্রুতই কেটে গেল। ওরা নেমে গেল দু স্টেশন আগে শহরতলির দিকে। আমি চলে গেলাম সরাসরি এয়ারপোর্ট। এই ট্রেন যে এয়ারপোর্টে যাবে আমাকে আবার ট্রেন বদল করতে হবে না এসব তথ্য দিয়ে ওরা আমাকে সাহায্য করে গেল।

রাত আটটা নাগাদ এয়ারপোর্টে পৌঁছে সাটল বাস ধরে হোটেলে পৌঁছে গেলাম। লকার থেকে স্যুটকেস নিয়ে এয়ারপোর্টে ফিরে এলাম আবার। এই হোটেলের ম্যানেজমেন্টও আমাকে এমনিতে স্যুটকেসগুলো ওদের হোটেলে রেখে যেতে দিয়েছিল। দুদিন ওদের হোটেলে থেকে জুরিখ ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। তারপর আটদিন অন্য জায়গা গুলোতে এক এক দিন এক এক শহরে কাটিয়েছি। চষে বেড়িয়েছি পাহাড়ি দেশের অনেকগুলো ট্রেনের পথ, লেইক, নদী ঝর্ণা আর বনভূমির পাশে।
এয়োরপোর্টের লকারে স্যুটকেস রেখে আবার চলে গেলাম এয়ারপোর্টের বাইরে খাবার খেতে।
রাতের খাবার খেয়ে এসে, এয়ারপোর্টের বিশাল ওয়েটিং রুম নিজের একার ঘর বানিয়ে খুব আরামে সারা রাত ঘুম দিলাম। ভোর ছয়টায় এয়ারপোর্টে আসার জন্য হোটেল থেকে ছুটাছুটি করতে হলো না।
আস্তে ধীরে নিজের মতন তৈরি হয়ে নাস্তা খেয়ে চেকিং এর জন্য লাইনে দাঁড়ালাম সকাল আটটায়।

টার্কি থেকে যখন জুরিখ আসার প্লেনে চড়লাম। এ্যাটেণ্ডন্স আমার বোর্ডিং পাশ দেখে আমাকে সামনের বড় সর আরামদায়ক সিট দেখিয়ে বলল, এখানে বসো।
আমি বুঝতে পারছিলাম না এখানে কেন বসব, এটা তো ফাস্টক্লাস যাত্রীদের সিট। আমি সাধারন যাত্রী ফাস্ট ক্লাসের টিকেট না আমার। কিন্তু সে আমাকে প্রথম শ্রেণীর সিটে বসিয়ে সারা সময় বিশেষ যত্ন দিয়ে বিশেষ যাত্রী সেবা দিয়ে মুগ্ধ করে দিল।

পথ চলতে মানুষের সাথে হঠাৎ কখনো দেখা হয়ে যায় এমন গল্প গুলো মনে রয়ে যায়।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৫৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×