somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

ছবি ব্লগ: পাখির চোখে দেখা

২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১।ফুজিয়ামা পর্বত

টোকিও থেকে হিরোশিমা যাচ্ছিলাম প্লেনে করে। সকাল দশটা হবে সময়। হঠাৎ চোখ পরে গেল জাপানের বিখ্যাত সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিয়ামার উপর। তাড়াতাড়ি একটা ক্লিক নিলাম। এমন আকাশ থেকে নেয়া ফুজিয়ামার ছবি মনে হয় খুব একটা নেই।
সেই সময় আমার মেয়ের জন্মদিন ছিল। মেয়েকে আস্ত ফুজিয়ামা পাহাড়ের কেকআইসক্রীম ছবিটা উপহার পাঠিয়ে ছিলাম। সেবার প্রথম ওর জন্মদিনে ওর সাথে ছিলাম না।



২। রঙধনু
নায়েগ্রা ফলস পৃথিবীর বিখ্যাত একটা ফলস। অজস্র জল ক্রমাগত ঝরে পরছে সেখানে উপর থেকে নিচে। প্রচণ্ড শীতে যখন জমাট বেঁধে যায় পানি তখনও এই জল প্রবাহমান থাকে। কিছু কিছু কিনারায় এবং মধ্যবর্তি স্থানে অবশ্য জমাট বাঁধা আইসস্কেল হয়ে থাকে সেও এক বিচিত্র প্রাকৃতিক ভাষ্কর্য।
নায়েগ্রা ফলসে সব সময় রঙধনু দেখা যায় যদি আকাশে সূর্য থাকে। এই ছবিটা তুলেছি ঠিক দুপুর বেলা যখন রঙধনু জলের সমান্তরালে শুয়ে আছে। রঙধনু সাধারনত আমরা দিগন্ত থেকে আকাশ বরাবর লম্বা বা গোল হয়ে ঘিরে থাকতেই দেখি। জলের উপর শোয়া রঙধনু সেবারই প্রথম দেখেছিলাম।

৩। ছায়া




সুইডেন থেকে ফিনল্যাণ্ড যাচ্ছিলাম। বাল্টিক সাগর ক্রস করার আগে প্লেন পেরুচ্ছিল পাহাড়ি এলাকা। তখন যে প্লেনটায় আমি তার ছায়া পাহাড়ের উপর। প্লেনের জানালা থেকে তুললাম একটা ছবি। আমার মনে হয় এমন নিজের প্লেনের ছায়ার ছবি এই একটাই তোলা হয়েছে এই পৃথিবীতে।


৪।দিগন্ত বিস্তৃত


এই ছবিটা বারবেডোসের মটেলের ব্যালকুনিতে থেকে তোলা ক্যারিবিয়ান সাগর বাথশেবা সমুদ্র সৈকত এলাকা । সবুজ সাগরের জল আগে শুধু ছবিতে মুভিতে দেখতাম । সেখানে গিয়ে চাক্ষুস দেখা অপূর্ব এই রঙের সাগরের সাথে।
তবে জলের রঙ বদলায় আকাশের উপর নির্ভর করে।


৫।সাবমেরিন থেকে



সাগর জলের মাঝে বসে সাগরের তলদেশের এই ছবিটা সাবমেরিনের ভিতর থেকে তুলেছি। সাগরের মাটিতে থাকা উদ্ভিদ প্রবাল পাথর বালি। আর সাবমেরিনের জানালা, একটা পাশ। সূর্যের আলোয় এক এক জায়গায় সাবমেরিনের ভিতরে রঙ বদলে যায় বিভিন্ন রঙে। আমাদের গায়ে মনে হচ্ছিল কখনো আলোর প্রতিফলন অন্ধকারে জ্বলে উঠা গ্লো যেন ছড়াচ্ছিল। হয়ে উঠছিলাম সাদা , নীল , সবুজ নানা রঙের মানুষ।


৬।গুহার সৌন্দর্য




কিউবার মাটানজাস কেইভের গুহার ভিতর এক অপূর্ব সুন্দর জলের তৈরি পাথরের ভাস্কর্য। এক এক জায়গায় এক এক রঙ, এক এক গড়ন। প্রকৃতি আপন মনে কত কিছু তৈরি করতে পারে নিজের ক্ষমতায়। গুহার ভিতরে মাটির নিচে নামলে দেখা যায়।
সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে অনেক ছবি তুলেছিলাম একদম গুহার নিচে আবার এক নদী বয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভের ভিতরেও যে এমন নদী গুহার নিচে নেমেই দেখা হয়েছিল সে নদীর সাথে।


৭।এপাড় ওপাড় বন্ধন সেতু




হাভানা যাওয়ার পথে বাকুনায়াগুয়ার ব্রিজটির কাছে কিছু সময়ের বিরতি দেওয়া হয়েছিল আমাদের ভ্রমণে।
ব্রিজটি লা হাবানা এবং মাতানজাস প্রদেশগকে সংযুক্ত করেছে। কিউবানরা এটিকে কিউবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম আশ্চর্য কাজ হিসাবে বিবেচনা করে। এটি কিউবার দীর্ঘতম এবং সর্বোচ্চ সেতু। ৩১৪ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ এবং উপত্যকার তল থেকে ১১০ মিটার উঁচু। হাভানা পার্শ্বে একটি পর্যবেক্ষণ ডেক সহ একটি রেস্তোরাঁ আছে। সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল তাই ব্রীজের উপরে হাঁটতে যেতে পারিনি। ছবিও হয়েছে কুয়াশা ঢাকা।

৮। সবুজের মায়া





ভেরেডোরো সৈকত এলাকা থেকে শহরে যাওয়ার পথে, ডাবল ডেকার বাসের উপর থেকে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস এল ওট্রো সবুজ এলাকা।

৯।দীর্ঘ একটা নদী




মিউজ নদীর তীরে ডিন্যান্ট বেলজিয়ামের একটি সুন্দর ছোট শহর। বেলজিয়ামের স্যাক্সোফোন টাউন নামেও এর পরিচিতি আছে। বাদ্যযন্ত্র স্যাক্সোফোনের আবিষ্কারক অ্যাডল্ফ স্যাক্সের কারণে, ডিন্যান্ট বিখ্যাত। শহর জুড়ে অনেক স্যাক্সোফোনের ভাস্কর্য। ছবিটা মিউজ নদীর ব্রীজের উপর থেকে উঠানো হয়েছে।


১০। লিউওয়ার্ডেন




নেদারল্যান্ড লিউওয়ার্ডেন শহর এর সর্বচ্চাে গীর্জা থেকে নিচে শহর ।

১১. ইতিহাস কথা বলে




এই ছবিটা ঐতিহাসিক এক জায়গার । ফ্রান্সের র্নমেন্ডির উত্তর সাগরের জুনো বিচ । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অনেক যুদ্ধ হয়েছিল এই এলাকায় । হিটলারের বাহিনী এই মাটির নিচে অত্যন্ত মজবুত গুহা বানিয়েছে সেখান থেকে যুদ্ধ করত। তবে মিত্রবাহিনী তাদের পরাস্ত করেছে তারপর। পাশের উঁচু রাস্তা থেকে এই গুহার পথটার ছবি তুলেছি।
বর্তমানে সেখানে মিউজিয়াম করা হয়েছে।

১২।পাথুরে পাহাড়




চায়নার কুনমিংএর স্টোনফরেস্ট এর ছবি। এই ছবিটা উঠিয়েছি ওয়াচ টাওয়ারের উপরে উঠে।

আশা করি কেউ ছবি কপি করবেন না এখান থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২২
১৬টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×