মহাদেশের মধ্যে আমরা এশিয়া মহাদেশের অধিবাসী। বাংলাদেশে থাকতে সব সময় এশিয়া মহাদেশকেই আমার মহাদেশ বলতাম । কিন্তু উত্তর আমেরিকায় চলে আসার পর জানলাম, আমাদেরকে সাউথ এশিয়ান বলা হয়। আমরা শুধু এশিয়ান না। এছাড়া আছে ফারঈস্টএবং পশ্চিমের অংশে মিডিল ঈস্ট। ভাগগুলো জানা থাকলেও নিজের পরিচয় নিদৃষ্ট করার জন্য পূর্ব পশ্চিম বা দক্ষিণ উল্লেখ করা হয়।
এখানে মানুষের মধ্যে একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি, বিশেষ করে কোকেসিয়ানদের তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাইলে তারা অনেক বিশ্লেষন করে নিজের দাদা বাড়ি, নানা বাড়ির দীর্ঘ পরিচয় দেয় বিভিন্ন দেশের অবস্থান উল্লেখ করে। আসলে দেশগুলো আলাদা হলেও এত কাছে, আত্মিয়তার সূত্রে অন্যদেশি হয়েও তারা সম্পর্কে অনেক কাছাকাছি।
যেমন ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে অনেককেই দেখলাম, দুই দেশ জুড়েই আত্মীয় স্বজন সবার জন্যই উদ্বিগ্ন।
তাই হয়তো শুধু এশিয়ান বললে ওদের মনোপুত হয় না ওরা আরো বেশি জানতে চায়। তাই সাউথ লাগাতে হয় আমাদের এশিয়ার আগে।
মধ্যপ্রাচ্যে: পশ্চিমে মিশর, পূর্বে ইরান, দক্ষিণে আরব উপদ্বীপ এবং উত্তরে তুরস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা তবে তুরস্ক এবং মিশর অটোমেন এই অংশকে ইউরোপের সাথে দেয়া হয় ভৌগলিক সীমারেখায় বাদ দেওয়া হয় এশিয়া থেকে। কিন্তু নানা ভাবে লৌকিকতা এবং আচার আচরণে মিল জীবনচারিতে এই অংশের মানুষের মধ্যপ্রাচ্যের সাথে।
বিশাল দেশ রাশিয়া নর্দান এশিয়া আর ইউরোপে ভাগাভাগি করে পরেছে।
এশিয়ার পূর্বাংশ জাপান, চীন, হংকং, ম্যাকাও, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া, তাইওয়ান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর, মালয়েশিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর , ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। এই বিস্তৃর্ণ অংশের দেশগুলিকে দূর প্রাচ্য বলা হয়।
মাঝখানের অংশটুকু দক্ষিণ এশিয়া তার অধিবাসী আমরা এই দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।
তিন অংশের এশিয়ার মানুষের তিন রকম নববর্ষ আছে।
পূর্ব পশ্চিম এবং মধ্য দক্ষিণ ভাগের নতুন বর্ষ পালন সম্পূর্ণ ভিন্ন সময় এবং ভিন্ন পদ্ধতি।
পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের মানুষ চন্দ্র বৎসর পালন করে, অন্য দিকে মধ্য দক্ষিণ ভাগের আমরা পালন করি সূর্য বৎসর ।
মহাদেশ এশিয়া এমন একটি মহাদেশ যেখানে মিডিল ইস্টার্ন, সাউথ ইস্টার্ন এন্ড ফারঈস্টার তিন ধরনের ভাগ, তিন ধরনের নববর্ষ পালিত হয়। নোওরোজ শুরু হয় চাঁদের মাসের হিসাব অনুযায়ী। পালিত হয় নতুন বৎসর, নববর্ষ ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান এই সমস্ত দেশে আর পূর্বের দিকে জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, লাউস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ওরা পালন করে ফেব্রুয়ারির প্রথম চাঁদের দিন থেকে তাদের নতুন বছর শুরু হয়। এর মানে হল যে চন্দ্র নববর্ষের প্রথম দিন একুশ জানুয়ারি থেকে বিশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো সময় শুরু হতে পারে, নতুন চাঁদ দেখা যাওয়া অনুসারে। বর্ষ শুরুর সাথে রাশি চক্র গননার একটা যোগ দেখা যায়। পূর্ব এশিয়া তো এক একটা বছর হয় পশুর নামে এবছর যেমন ড্রাগন বছর তাদের পশুর হিসাব অনুযায়ী।
দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যগত নববর্ষ মেষ রাশিতে সূর্যের প্রবেশের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। এখানেও রাশি গননার হিসাব প্রধান্য পায়।
সংক্রান হল বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের জল উৎসব উদযাপন যা বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ, ভিয়েতনামের কিছু অংশ এবং চীনের জিশুয়াংবান্নার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।
চৌদ্দই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ শুরু হয় বাংলাদেশে। যদিও পঞ্জিকা অনুসারী ১৪ই এপ্রিল অনেক সময় নববর্ষ শুরু হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে চৌদ্দই এপ্রিল কে নির্ধারিত করা হয়েছে পহেলা বৈশাখ শুরুর দিন হিসাবে অনেক বছর। পঞ্জিকা যারা অনুসরণ করেন তাদের কখনো পনের তারিখ কখনো চৌদ্দ তারিখের হিসেবে নতুন বছর শুরু হয়।
বাংলাদেশের বাঙালিরা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ আমাদের নিজস্ব মনে করি কিন্তু নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উত্তর দক্ষিণ ভারত থেকে পশ্চিমে থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া, দক্ষিণে কেরালা পর্যন্ত বিস্তৃত। বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন জাতিও বাংলা নববর্ষের দিন পালন করেন।
এবছর চৌদ্দই এপ্রিল সবখানে পঞ্চিকার হিসাব অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ নববর্ষ বা সংক্রান উৎসব হয়।
এবছর আমার যাওয়ার সুযোগ হয় কেরালার মালয়াম ভাষাভাষির পালিত সংক্রান উৎসবে।
চৈত্র সংক্রান্তির দিন, চৈত্রের শেষ দিন তের এপ্রিল, আমাদের দেশের মতনই তাদের পালন উৎসব। বছরের শেষ দিন তিতা খাওয়ার মাধ্যমে পরবর্তি দিন নববর্ষকে ভক্তি ভরে বরণ করার প্রবনতা।
তের এপ্রিল অনুষ্ঠান হলেও অনুষ্ঠানটি ছিল নববর্ষ বরণ উৎসব। বর্ষ শেষ এবং বর্ষ শুরু মিলিয়ে অনুষ্ঠান।
এখানে সাধারনত ছুটির দিনে সব ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। সেদিনের অনুষ্ঠানটিও ছিল সেই হিসাবে ছুটির দিনে কাছাকাছি সময়ে। একটি স্কুলের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠান হবে।
সাথে পাশে একটি রুমে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। শুরুতেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে অনুষ্ঠান হলে ঢুকতে হবে।
সময়ের ঘন্টাখনেক আগেই পৌঁছেছিলাম। আমাকে আমন্ত্রণকারী বন্ধু সে নিজেও অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবে। দেখা হওয়ার সাথে সাথে তাজা বেলিফুলের মালা জড়িয়ে দিল আমার চুলে। হাতে সিল লাগিয়ে নিতে হলো ভিতেরে যাওয়ার জন্য। তারপর বেশ কিছু সময় আমরা গল্প করলাম। ছবি উঠালাম।
ও একটু আগে খেয়ে ফেলেছে আমার আসার অপেক্ষা করে কারণ সে নাচবে। আমি বললাম কোন সমস্যা নাই। ও আরো দুজন বন্ধু এবং ওর স্বামী সন্তানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমাদের খাওয়ার রুমে যেতে বলল। ও থাকতে পারছে না এজন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করল। সে যেহেতু অনুষ্ঠানে নাচবে তাই ওর অনেকটা সময় লাগবে তৈরি হতে। অন্যরা যেন সঠিক ভাবে আমার তদারকি করে এই দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সে প্রস্তুত হতে চলে গেলো। অডিটোরিয়ামের বাইরে কয়েকটা স্টলে বই নিয়ে বসেছে কয়েকজন। বইয়ের ভাষা তামিল তাই বই দেখেও কিছু বুঝতে পারলাম না।
অনেক মানুষ। বেশির ভাগ মহিলা সোনালি জড়ি দেয়া সাদা শাড়ি পরা। চুলে জড়ানো ফুল। পুরুষদের পোষাকও সোনালি জড়ির ধুতি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি। বাচ্চা থেকে বয়স্ক। বন্ধুদের দল বা পরিবার। বিভিন্ন গ্রুপের নানা বয়সের মানুষ। অনেকটা পরিচিত মনে হলো একই রকম আমাদের সংস্কৃতি, এবং পোষাক, খাবারের মাঝে মিল আছে যদিও ভাষা অন্য।
সাড়ে আটশ মানুষ এসেছেন এই প্রোগরামে। হাজার খানেক মানুষ বসতে পারে এমন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান হবে। এত মানুষ অথচ কোথাও অস্থিরতা হৈ চৈ কিছু নেই।
খাওয়ার রুমে, সারি দিয়ে অনেক দাঁড়িয়ে আছেন খাবার বেড়ে দেওয়ার জন্য। অনেকে খাচ্ছেন। অনেকে লাইনে দাঁড়ানো খাবার নেয়ার জন্য। কলাপাতা নয় কিন্তু কলাপাতার ডিজাইনে সবুজ রঙের কাগজে ঢাকা প্লেট হাতে তুলে দিলেন একজন যখন লাইন ধরে সামনে গেলাম। এক একজন নিজের পাতিল থেকে নানা রকম সবজির তরকারি, ডাল, ভাত, চাটনি একের পর এক দিলেন। পাশে সাজানো নানারকম ভাজা শুকনো আইটেম। পছন্দ মতন কিছু তুলে নিচ্ছেন সবাই, আমিও নিলাম। খাবার নিয়ে টেবিলে বসার পর। বন্ধুর স্বামী বললেন, পায়েস এবং মিষ্টি তো নিলেন না।পরের টেবিলে যে আরো খাবার সাজানো সেদিকে যাওয়াই হয়নি আমার। উনি নিজে এনে দিলেন। শেষ পাতে একটু মিষ্টি খাওয়া সব জাতিরই নিয়ম তাহলে। মোটা চালের ভাত সাথে সবজী কোন মাছ মাংস নেই অথচ সব কিছু মিলিয়ে মনে হলো অনেক আয়োজন, স্বাস্থকর সহজ পাচ্য, সাধারনের খাবার। ভারতের অনেক মানুষই নিরামিষ ভুজি । তবে দক্ষিণ ভারতের বেশির ভাগ মানুষই নিরামিষ আহার করেন।
চেন্নাই, কেরালা, থেকে শ্রীলঙ্কার মানুষের নিরামিষ প্রধান খাদ্য।
যেমন সবার সাজসজ্জায় নেই অতিরিক্ত ঝলমলে প্রভাব। তবে নারীদের চুলে ফুলের মালা জড়ানো। এটা ওদের খুব পছন্দের বিষয়। যখন চেন্নাই বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি অফিসে বা কাজে বা বাজারে যে কাজেই মহিলারা বাইরে বেরিয়েছেন সবার চুল ভর্তি ফুল জড়ানো। আমরা যেমন উৎসবে ফুল পরি ওরা প্রতিদিনের সাজে সব সময় ফুল পরেন চুলে।
অনেকদিন পর মনে হলো, স্নিগ্ধ সুন্দর শান্ত কোন গ্রামের অনুষ্ঠানে যেন হাজির হয়েছি। কোথাও কোন কিছুর বাহুল্য নেই অথচ সবাই ধীর শান্ত পরিপূর্ণ।
খাওয়া শেষে অডিটরিয়াম রুমে ঢুকে দেখলাম কেবল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বাবা মায়েরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে প্রত্যেকে মঞ্চের একপাশ দিয়ে হেঁটে ধর্মগুরুর হাত থেকে প্রাসাদ এবং বর্ষশুরুর আশির্বাদ নিয়ে অন্য দিক দিয়ে নেমে আসছেন। অনেকটা মিল পেলাম ক্রিসমাসের সময় যেমন চার্চে প্রিস্টের থেকে জল নেন সবাই তেমন।
এত বাচ্চা, এত মানুষ সবাই একে একে মঞ্চে উঠে নেমে এলেন। নিজেদের আসনে বসলেন আবার। ব্যাকগ্রাউণ্ডে কোন নির্দেশনা কোন বিখ্যাত ব্যাক্তির পরিচয় এসব নিয়ে হাঁকডাক ছিল না। পুরো পনের বিশ মিনিট ধরে নরম একটি মিউজিক বাজছিল।
উনিশ সালের পর এবছই তাদের অনুষ্ঠান আবার আয়োজন করে হচ্ছে। করোনার কারনে গত কয়েক বছর অনুষ্ঠান হয়নি। সবাইকে নতুন বৎসরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হলো। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলো । গান নাচ বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পী নাচ গান, অভিনয় দিয়ে নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য বর্ণনা করে গেলেন, একের পর এক কোন রকম বিরতি ছাড়া।
ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শুধু শিল্পীর নাম আর কোন প্রদেশের অনুষ্ঠান করছেন কোন ভাষায় তা জানিয়ে দেয়া হলো। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে কেরালা তামিল মালায়াম প্রত্যেকের ভাষা আলাদা কিন্তু ব্যবহার মনে হল একই রকম। প্রায় পঁচিশজন শিল্পীর বিভিন্ন পরিবেশনা ছিল। এক একটা গ্রুপে আবার অনেক শিল্পী ছিল যারা এই বিদেশ ভূইয়ে নিজেদের আঞ্চলিকতা এবং সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা করছেন। সুন্দর সব উপস্থাপনা। মনেই হলো না কোথাও তাল কেটেছে ভুল হয়েছে। শুধু মাত্র একজন শিল্পীর গানের সময় ব্যাকগ্রাউন্ড অডিও মিউজিক ঠিক মতন কাজ করছিল না। মিনিট তিন চেষ্টার পর মিউজিক ঠিক ভাবে চালু না হওয়ায় উনাকে আবার ডাকা হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য শিল্পীকে ডাকা হলো। এই অপেক্ষার সময়টুকুতে দেখলাম না কেউ হৈ হৈ করছে টিজ করছে। পরবর্তিতে আবার উনি এসে গান পরিবেশ করলেন। উপভোগ্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বন্ধুকে ধন্যবাদ দিলাম। আমার কাছে শুধু অনুষ্ঠান দেখা বিষয় না দেখার ছিল একটি অন্যদেশের মানুষের আচার ব্যবহার আচরণ পরিলক্ষ করাও।
পিন পতন নিরবতা এই আটশ মানুষের মধ্যে যখন অনুষ্ঠান শুরু হলো।
শিল্পী এবং দর্শকের মধ্যে একটা দারুণ মেলবন্ধন। পরিবেশনা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কোন শিল্পী বা তার সাথে আসা দর্শক উঠে চলে যাচ্ছেন না। সবাই নিরবে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
কেরালা, চেন্নাই, তামিল নাডু এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের ভাষার পরে ইংরেজি বেশি জানেন। তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দি তারা তেমন পারেন না। আঞ্চলিক ভাষার পরে ইংরেজিতেই সাচ্ছন্দ বেশি তাদের।
অনুষ্ঠান হল প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে । মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই এত মানুষ সব বেরিয়ে চলে গেলেন। আমরা একটু সময় নিলাম আমার বন্ধু মঞ্চের ভেতর থেকে এসে কথা বলল। আমরা কিছুটা সময় কাটালাম গল্পে।
আমি হলের চারপাশে তাকিয়ে দেখছিলাম, আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশিদের কোন অনুষ্ঠানে গেলে অনুষ্ঠান শেষে পুরো হল একটি জঙ্গল মনে হয়। আয়োজনকারীদের অনুষ্ঠান শেষে কয়েক ব্যাগ গাবের্জ কুড়াতে হয়। টেবিলে, চেয়ারের পাশে অনেক খাওয়া পড়ে থাকে কাপ প্লেট ছড়াছড়ি থাকে সেজন্য আমি দেখছিলাম, এরা কেমন করে খাওয়া দাওয়ার পর বোতল, চায়ের কাপ, ইত্যাদি রেখে জঞ্জাল করে গেছেন কিনা কিন্তু একটি টিস্যু পড়ে থাকতে দেখলাম না। হলটিতে এখনই আরেকটা অনুষ্ঠান করা যাবে তেমনই পরিস্কার।
একটি নতুন ধরনের নববর্ষের অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় একটা বাড়তি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩১