
আমি এমন দেখেছি ঘোমটা বোরখা পড়া ধার্মিক মেয়ে দর্জির দোকানে যেয়ে বলে," এই যে ভাই ! এইবার এর জামাটা কিন্তু ঠিকঠাক বানাইয়েন। আগের মতন ঢিলা যাতে না হয়। একদম ফিটিং ! "
দর্জি ব্যাটার চালাকি উত্তর " আসেন আপা, মাপ টা নিয়া নেই। আগেরবার কর্মচারী বানাইছিল তাই হয়তো অমন হইছে। এইবার আমি বানাইয়া দিমু একদম ফিটিং ! "
দুজন দুজনের চোখের ভাষা বুঝল কি না বলতে পারছি না। তবে দর্জি ব্যাটার চোখ যে পুরুষাঙ্গ হয়ে গেছে উহা শতভাগ নিশ্চিত!
সামনে বিয়ের মৌসুম আসছে। শীত মানেই বিয়ে ! শীত মানেই হুজুরদের বেড়ে যায় খিদে ! সে যাই হোক যারা বিয়ের কথা ভাবছেন তাদের জন্য টিপস যাকে বিয়ে করছেন বা করতে যাবেন অবশ্যই তার এলাকার দর্জির কাছে যেয়ে মাপ জেনে নিবেন। এতে লসের সম্ভাবনা কম। হা হা হা
আর যারা প্রেমের পর বিয়ে করতে যাচ্ছেন তারা তো সব জেনেই বসে আছেন। এখন ঘোমটা টেনে সাধু সেজে আছেন !
যাই হোক এই যুগ হচ্ছে ফিটিং এর যুগ। যত ফিটিং তত মিটিং ! এসব ভাবতে ভাবতে আমি নিজেরে জিগাইলাম, আমি কোন দলে ? ফিটিং দেখার ? না, ফিটিং দেখে সহ্য করার ?
কিছুক্ষণ তেমন জুইত সই জবাব না পেয়ে ভরকে গেলাম। পরকক্ষনে জবাব এলো, আমার কামনা আছে হুম এ তো অস্বীকার করার উপায় নেই । আমার প্রেম আছে তাও অস্বীকার করার উপায় নেই। আমার বিরহ পাওয়া না পাওয়ার বেদনা আছে। তাও অস্বীকার করার উপায় নেই। তাহলে আমি ঠিকঠাক ফসফরাস, হরমোন, রক্ত মাংসে চামড়ায় মোড়ানো খোদার বানানো একখান মানুষ নামধারী প্রোডাক্ট।
আমি ধার্মিক অত নই আবার অধার্মিক এমনকি বকধার্মিক নই। মাঝেসাঝে খোদার কাছে কান্নাকাটি করি। তবে এ সত্যি, আমার প্রেম, বিরহ, আদর চুমু, সব কবিতায় ঢেলে দেই। উহা আছে বলেই বেঁচে আছি নিঃসন্দেহে দাবি করি।
কবিতায় করি বাস
কবিতা করি চাষ
আমি শব্দ প্রেমিক
শব্দ শ্রমিক
কবিতায় অষ্টপ্রহর রই
কবিতা লিখে
তবেই না দানা পানি ছুঁই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



