somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাত কখনো শশুড় বাড়ী যায় না !

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবি নেট ।

সেদিন দুপুরের ভাত খাচ্ছি। আম্মা পাশের সোফায় বসে আছে। টিভি চালু ছিল। তা সার্চলাইট নামের একটা অনুষ্ঠান চলছিল। ভাত খেতে খেতে দেখলাম নার্গিস আক্তার নামের এক নারীর কি ভয়ংকর চিন্তা ভাবনা ! 

সে এক বিরাট ব্যবসায়ী কে বিয়ে করে এরপর তার সেই ভদ্রলোক এর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর দেনমোহর বাবদ ভালো টাকা হাতিয়ে নেয়।

এরপর লোকাল আওয়ামীলীগ নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং আরও উপর লেভেলের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে থানা আওয়ামীলীগের একটা পোস্ট হাসিল করে।

এরপরে তার সেই পুরনো ব্যবসায়ী স্বামীকে নানান মামলায় জর্জরিত করে নাস্তানাবুদে লিপ্ত আছে। এলাকার মানুষ তার ভয়ে কিছু বলে না। 

দেশে এরকম নারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবার এসব বিষয় কে ডাল-ভাত ভাবে। সম্পর্কের নামে এক ধরনের বিজনেস চালু হয়ে গেছে।

এ তো গেল দেশের খবর। সেদিন ঈদের দিন প্যারিসে ফোন দিলাম এক ছোট ভাইকে ফ্রান্সের এসব দেখে  কেমন আছে হালহকিকত জানতে? কথায় কথায় আরেক কাহানী শুনলাম, ঘটনা এমন ওর রুমমেটের।

ছেলেটি এদেশ ও দেশ ঘুরে বহু কষ্টে ফ্রান্সে আসে এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে থাকতে শুরু করে। ছেলেটির দেশে থাকতে একটা মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। সে যাই হোক ছেলেটি তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে মেয়েটিকে অনার্স পাশ করায়। এক সময় ছেলেটি ফ্রান্সে থাকার বৈধতা পায়। সে দেশে যায় ধুমধামে বিয়ে করে।দেনমোহর দেয় আট লাখ টাকা। মোট কুড়ি লাখের মতো খরচ করে বিয়ে করে। বিয়ের দুই মাস পর ছেলেটি ফ্রান্সে ফেরত আসে। বছর দুই এর মাথায় মেয়েটিকে নিয়ে আসে ফ্রান্সে।ছেলেটি তখন দুই বেলা কাজ শুরু করে। মেয়েটি অবসর সময়ে আশেপাশের এর সাথে ওর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এক রেস্টুরেন্টে ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। শেষমেশ যা হয় আর কি!ছেলেটি এসব দেখে মেয়েটির সাথে ঝগড়া করে। মেয়েটি সেই ব্যবসায়ীর কথা মতো পুলিশ ডেকে ছেলেটিকে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।

এখন মেয়েটি সেই ব্যবসায়ীর রক্ষিতা হিসেবে আছে। ফেসবুকে লম্বা চওড়া ক্যাপশন দিয়ে ছবি আপলোড করে " লাভ ইউ জান ! " লগে সেই টাকলা ব্যবসায়ী ।

ছেলেটি মেয়েটির আত্মীয় স্বজনদের জানালে তাদের এক উত্তর আরেকটা বিয়ে করে নাও। সবাই তো খারাপ না ! মেয়েটির মা বাবা কেউ জীবিত নেই। মজার ব্যাপার মেয়েটি নাকি দেশে থাকতে রোজ সুরা ইয়াসিন ঘুমানোর আগে পড়িত।

এসব শুনে ভাষা হারায় গেছে। এরপর শুনতে হয় "পুরুষ জাত বজ্জাত! " আমি সেই ছেলেটির সাথে কথা বলে দেখলাম ছেলেটি আর কোন মেয়েকে বিশ্বাস করে না। মেয়েদের কথা শুনলে রেগে যায়। উত্তরে বলে " সব *নকি ! "

আমি ছেলেটিরে মারজুক রাসেলের কবিতার লাইন শোনায় দিলাম " হাত কখনো শশুড় বাড়ী যায় না ! " হা হা হা.....
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪১
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×