সেদিন দুপুরের ভাত খাচ্ছি। আম্মা পাশের সোফায় বসে আছে। টিভি চালু ছিল। তা সার্চলাইট নামের একটা অনুষ্ঠান চলছিল। ভাত খেতে খেতে দেখলাম নার্গিস আক্তার নামের এক নারীর কি ভয়ংকর চিন্তা ভাবনা !
সে এক বিরাট ব্যবসায়ী কে বিয়ে করে এরপর তার সেই ভদ্রলোক এর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর দেনমোহর বাবদ ভালো টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরপর লোকাল আওয়ামীলীগ নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং আরও উপর লেভেলের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে থানা আওয়ামীলীগের একটা পোস্ট হাসিল করে।
এরপরে তার সেই পুরনো ব্যবসায়ী স্বামীকে নানান মামলায় জর্জরিত করে নাস্তানাবুদে লিপ্ত আছে। এলাকার মানুষ তার ভয়ে কিছু বলে না।
দেশে এরকম নারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবার এসব বিষয় কে ডাল-ভাত ভাবে। সম্পর্কের নামে এক ধরনের বিজনেস চালু হয়ে গেছে।
এ তো গেল দেশের খবর। সেদিন ঈদের দিন প্যারিসে ফোন দিলাম এক ছোট ভাইকে ফ্রান্সের এসব দেখে কেমন আছে হালহকিকত জানতে? কথায় কথায় আরেক কাহানী শুনলাম, ঘটনা এমন ওর রুমমেটের।
ছেলেটি এদেশ ও দেশ ঘুরে বহু কষ্টে ফ্রান্সে আসে এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে থাকতে শুরু করে। ছেলেটির দেশে থাকতে একটা মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। সে যাই হোক ছেলেটি তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে মেয়েটিকে অনার্স পাশ করায়। এক সময় ছেলেটি ফ্রান্সে থাকার বৈধতা পায়। সে দেশে যায় ধুমধামে বিয়ে করে।দেনমোহর দেয় আট লাখ টাকা। মোট কুড়ি লাখের মতো খরচ করে বিয়ে করে। বিয়ের দুই মাস পর ছেলেটি ফ্রান্সে ফেরত আসে। বছর দুই এর মাথায় মেয়েটিকে নিয়ে আসে ফ্রান্সে।ছেলেটি তখন দুই বেলা কাজ শুরু করে। মেয়েটি অবসর সময়ে আশেপাশের এর সাথে ওর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এক রেস্টুরেন্টে ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। শেষমেশ যা হয় আর কি!ছেলেটি এসব দেখে মেয়েটির সাথে ঝগড়া করে। মেয়েটি সেই ব্যবসায়ীর কথা মতো পুলিশ ডেকে ছেলেটিকে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।
এখন মেয়েটি সেই ব্যবসায়ীর রক্ষিতা হিসেবে আছে। ফেসবুকে লম্বা চওড়া ক্যাপশন দিয়ে ছবি আপলোড করে " লাভ ইউ জান ! " লগে সেই টাকলা ব্যবসায়ী ।
ছেলেটি মেয়েটির আত্মীয় স্বজনদের জানালে তাদের এক উত্তর আরেকটা বিয়ে করে নাও। সবাই তো খারাপ না ! মেয়েটির মা বাবা কেউ জীবিত নেই। মজার ব্যাপার মেয়েটি নাকি দেশে থাকতে রোজ সুরা ইয়াসিন ঘুমানোর আগে পড়িত।
এসব শুনে ভাষা হারায় গেছে। এরপর শুনতে হয় "পুরুষ জাত বজ্জাত! " আমি সেই ছেলেটির সাথে কথা বলে দেখলাম ছেলেটি আর কোন মেয়েকে বিশ্বাস করে না। মেয়েদের কথা শুনলে রেগে যায়। উত্তরে বলে " সব *নকি ! "
আমি ছেলেটিরে মারজুক রাসেলের কবিতার লাইন শোনায় দিলাম " হাত কখনো শশুড় বাড়ী যায় না ! " হা হা হা.....