
যখন গাজার কচি শিশুর ছোট বুকটা
বোমায় জ্বলসে গ্রিল হওয়া মুরগির মতন
প্রশ্ন করি নিজেকে
পবিত্র ভুমির কেন এমন পতন ?
ইচ্ছে করে
বদলে দেই দিবা রাত্র
থামিয়ে দেই আহ্নিক গতি বার্ষিক গতি
টালমাটাল আমার হাঁটা চলা
নাওয়া খাওয়া থেকে ঘুম।
ভাবি বসে,
লাভ কি চালিয়ে কলম
যেখানে জমা অজস্র কথা
ব্যাথা কমাবার নাই কোন দাওয়াই মলম !
হুশ ফিরবে না ততক্ষণ
হচ্ছে না নিজেদের সমস্ত ছারখার যতক্ষণ
ছি:! লজ্জা
কেমন মুর্দা আমরা সকল !
যখন দেখি,
গাজার কচি দুটি হাত
খুঁজে বেড়াচ্ছে হারিয়ে ফেলা মা বাবার মুখ
তখন আমি স্রষ্টার মতো চুপ।
এক বোতল জল
যাদের কাছে
শরাবুন তহুরা
আশ্চর্য খুব আশ্চর্য !
কেমন করে বাঁচে ওরা ?
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার
যাই বলুন না কেন
ওদের বরাদ্দ ম্যানু একটাই
রক্ত,বারুদ,গুলি,
কাফন আর চাটাই !
যখন দেখি,
গাজার চার পাঁচ বয়সের ছেলেটি
বাবার হাত ধরে ছুটছে
যেন পিতা ইব্রাহিম
পুত্র ইসমাইল
খানিক পর কুরবানী!
খুব দেখতে পাই
স্পষ্ট গোসসা ওর চোখে মুখে
প্রশ্ন করছে মনে মনে
কেন ছাড়ছি ঘরবাড়ি ?
লাশের উপর লাশ
এ কেমন মহামারী?
কেনই বা এতো আহাজারি?
কেনই বা এতো কাড়াকাড়ি?
কেনই বা মাথার উপর
বোমারু বিমান সারি সারি?
উত্তর নাই এর কোন
বিশ্বমানবতা যেখানে মরে তুলোধুনো!
যখন দেখি,
গাজার কচি শিশুর নিথর দেহখানি
খিস্তিখেউড় হয়ে উঠে অমৃতবাণী
মাফ করবেন জনাব,
আপনারা নেতারা
বেহায়া খচ্চর
বাতিল বুড়ো বেশ্যা চুতমারানি !
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




