কোন এক সময় ঢাকা শহরের মেয়র সাহেব চিন্তা করলেন, আম জনতাকে আর ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার করাবেন না।
তিনি শহরে এক নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করলেন..!
প্রত্যেক মানুষের কাছে সেই যন্ত্র, রাস্তার এপাশে দাড়িয়ে মানুষজন সেই যন্ত্র টিপে দিচ্ছে ফুরুত করে গাড়ির উপর দিয়ে রাস্তার ওপাশে চলে যাচ্ছে..! কি সুন্দর অবস্থা, সাধারণ মানুষকে আর জীবনের রিস্ক নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে না।
এদিকে মফিজ উদ্দিন সাহেবের জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো তিনি ঢাকা শহর দেখবেন। তিনি টিভিতে দেখেছেন, মানুষ কত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। এগুলো তিনি দেখবেন...
মফিজ উদ্দিন সাহেব ঢাকা শহরে এলেন। এসে তিনি যেন আকাশে উঠে গেলেন, আর নামতে চাইছেন না। একি অবস্থা..!
মানুষ গাড়ির উপর দিয়ে কি সুন্দর করে ফুরুত ফুরুত উড়ছে, বা বাহ..! কি উন্নত হয়েছে দেশটা..। আর কোন চিন্তা নেই তার।
তার মনেও সখ জাগলো, সেও উড়তে চায়। যথারীতি তিনিও একটা যন্ত্র জোগাড় করলেন। এবার শহরের সবচেয়ে ব্যাস্ততম রাস্তায় গিয়ে দাড়ালেন। উনার মেজাজ খুব ফুরফুরে, এই প্রথম উড়াল দিয়ে তিনি রাস্তা পার হবেন। কঠিন ব্যাপার স্যাপার...!
উনি রাস্তার এপাশে দাড়িয়ে তার হাতে থাকা যন্ত্রে চাপ দিলেন। অমনি উড়াল দিলেন তিনি...!
হঠাৎ করেই ঘঠলো বিপত্তি..। অপর পাশ থেকে আশা এক টগবগে যুবক সজোড়ে এসে তাকে ধাক্কা দিলো। মুখোমুখি সংঘর্ষ বললেও ভুল হবে না। সাথে সাথে চলন্ত গাড়ির উপর পড়ে গেলেন তিনি।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো তাকে। চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরে গেলেন নিজ বাড়িতে।
তিনি বুঝতে পারলেন যত যন্ত্রই আবিষ্কার করা হউক, ঢাকা শহরে যন্ত্র বিভ্রাট ঘঠবেই। মফিজ সাহেব প্রতিজ্ঞা করে নিলেন, যন্ত্রের শহরে তিনি আর যন্ত্রমানব হয়ে আসবেন না...!