জাকির নায়েক সাহেবকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, অনেক তর্ক বিতর্কও হয়েছে কিন্তু নায়েক সাহেবের অনুসারীদের চটকদার বক্তব্য কেবল পানি ঘোলা করেছে আর সেই ঘোলা পানিতে উত্থাপিত যুক্তির বিপরীতে সুফীবাদীদের পক্ষ হতে উপযুক্ত উত্তর কমই দেয়া সম্ভব হয়েছে ,তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আবার লিখতে হচ্ছে। জাকির নায়েক সাহেবের গোমরাহীর চারটা প্রমান দিচ্ছি এবং কথা দিচ্ছি আমার যুক্তি ভুল প্রমাণ করতে পারলে আমি তওবা করে জাকির নায়েককে ফলো করা শুরু করবো।
০১. জাকির নায়েক নিজেকে সুন্নাত এর অনুসারি হিসেবে দাবি করলেও তার নিজের পোষাকে সুন্নাতের ছিটে ফোঁটাও নেই। অর্থাৎ তিনি কথায় এবং কাজে আলাদা যা গোমরাহীর প্রধান লক্ষণ।
০২.জাকির নায়েক কতৃক রাসূল করিমের উছিলাকে অস্বীকার করা মানে রাসূল পাকের শাফায়াতকেও অস্বীকার করা। রাসূল পাকের শাফায়াতের বাইরের কেউ কোনোদিন উম্মতে মোহাম্মদীতে স্হান পাবে না এবং হাশরে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তও হবে না।
০৩.জাকির নায়েকের কোনো বক্তব্যে তাসাউফ বা আধ্যাত্মিকতার কথা কেউই শোনেনি, তবে কি ইসলামে আধ্যাত্মিকতার কোনো স্থান নেই? যে ধর্মে আধ্যাত্মিকতার স্থান নেই তা আদৌ কি কোনো ধর্ম হতে পারে?
০৪.যে আহলে বায়তকে রাসূল সর্বাধিক গুরুত্ব সহ আমানত দিয়ে গেলেন সেই আহলে বায়তের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জাকির নায়েক কোনোদিন কোনো বক্তব্য দেয়নি। এর মাধ্যমে রাসূল এবং রাসূলের পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসার অভাব প্রমাণিত হয় আর কুরআন নিশ্চিত করেছে যে রাসূলকে ভালোবাসতে পারেনি সে কোনোদিন আল্লাহকে ভালোবাসতে পারবে না।
এখন বাকি সিদ্ধান্ত বিদগ্ধ পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিলাম আর জাকির নায়েকের অন্ধ ভক্তদের আমাকে ভুল প্রমান করার অপেক্ষায় রইলাম।