somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাসার এস্ট্রোনটদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই নারী

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৬০ সালে নাসা একজন আশাপ্রদ এস্ট্রোনটকে রিজেকশন লেটার দিয়েছিল একটা সিম্পল কারণে। আর সেই কারণটা হল সেই আশাপ্রদ এস্ট্রোনটটি ছিলেন একজন নারী। সেই সময় নারীদের জন্য এই বিষয়ে কোন ট্রেইনিং প্রোগ্রাম সেট করার জন্য না ছিল কোন উদ্যোগ, না ছিল কোন উদ্দীপনা। আর তারপর আমরা সময়কে বদলাতে দেখলাম। বর্তমানে নাসার এস্ট্রোনটদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই হলেন নারী। নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি তাই রিপোর্ট করেছে।

এস্ট্রোনটদের জন্য নাসার একেবারে লেটেস্ট ট্রেইনিং প্রোগ্রামের জন্য লোক নিয়োগ করা হয় ২০১৩ সালে। এদের সকলেই ছিল মঙ্গল গ্রহে মানব অভিযানের জন্য সব সম্ভাবনাময় ক্যান্ডিডেট। নাসা এই অভিযানগুলো ৩০ এর দশকের শেষের দিকে করবে বলে স্থির করেছে। আমরা জানি, নারী নভোচারী নতুন কিছু নয়। হেলেন শারম্যান, স্যালি রাইড, ভ্যালেন্টিনা তেরেস্কোভারা ইতোমধ্যে দেখিয়েও দিয়েছেন যে এস্ট্রোনট হওয়া লিঙ্গনির্ভর কিছু নয়।

ক্যান্ডিডেটদের মধ্যে একজন Dr. Jessica Meir বলেন, "মঙ্গল গ্রহ হল সব স্পেস এজেন্সিগুলোর জন্য আসল টারগেট। মঙ্গল আমাদের নিজেদের গ্রহের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কিছু শেখাতে পারে।"

Dr. Jessica Meir মেরিন বায়োলজির উপর পিএইচডি করেছেন এবং এন্টার্কটিকায় এম্পেরর পেংগুইন নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, তাকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হয়েছে। আর মহাকাশও তার কাছে সেরকমই একটা নতুন চ্যালেঞ্জ।

Christina Hammock Koch আরেক জন ক্যান্ডিডেট। তিনিও দক্ষিণ মেরুতে অনেক দিন কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি টেলিস্কোপ নিয়ন্ত্রণের কাজ করতেন। Nicole Aunapu Mann এর ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জীবন। তিনি ইরাকের উপর দিয়ে মেরিন কর্পস এর সাথে ফাইটার জেট বিমান চালিয়েছেন।

এস্ট্রোনট প্রোগ্রামের জন্য সিলেক্টেড হবার জন্য মেয়ার ও তার কলিগদের ৬০০০ জন প্রাথমিক ক্যান্ডিডেট এর সাথে প্রতিযোগীতা করতে হয়েছে। তাদেরকে দুই বছর ধরে টি-৩৮ সুপারসনিক জেট চালাতে হয়েছে, পানির নিচে কিভাবে কমপ্লেক্স টাস্ক করতে হয় শিখতে হয়েছে আর প্রতিনিয়তই "ভমিট কমেট" এ উড়তে হয়েছে। ভমিত কমেট হল একটি প্লেন জার্নি যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবীর দিকে ড্রাইভ করে জিরো গ্রেভিটি বা শূন্য অভিকর্ষ বল এর পরিবেশকে সিমুলেট করা হয়।

কিন্তু এগুলো যতই কঠিন কাজ হোক, একজন নভোচারীর জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজটি হল দীর্ঘ সময় ধরে পরিবার, পরিজন, বন্ধু, বান্ধব, প্রিয়জনদের থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা। লাল রঙ্গের সেই গ্রহটির সাথে পৃথিবীর সর্বনিম্ন দূরত্ব হল ৫৬ মিলিয়ন কিলোমিটার। এর অর্থ হল বর্তমান টেকনোলজি ব্যাবহার করলে সেখানে পৌঁছতে ৯টি মাস লেগে যাবে। এরপরও আছে রিটার্ন জার্নি আর মঙ্গলের বুকে কাটানোর ১টি মাস। মানে তাদের প্রায় দেড় বছরের মত পৃথিবীর বাইরে কাটাতে হবে।

কিন্তু এস্ট্রোনট Anne McClain বলেন, আমরা স্পেসে যা পাই তার মূল্য এরকম ইমোশনাল স্ট্রেইন দিয়ে দেয়াই যায়। স্পেসে পৃথিবীর মত কোন বর্ডার নেই। পৃথিবীতে সব সময় ঝামেলা ঝঞ্ঝাট লেগে থাকে যা স্পেসে নেই। তিনি বলেন, স্পেসে আরও বেশি মানুষের আসা উচিৎ যাতে তারা বুঝতে পারে যে পৃথিবীট কতটা ছোট আর সেখানে আমরা একজন আরেকজনের উপর কতটা নির্ভরশীল।

http://nytlive.nytimes.com/womenintheworld/2016/01/11/nasas-latest-class-of-astronauts-is-50-percent-female-and-could-be-heading-to-mars/
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×