somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বারিক্কা টিলা, সুনামগঞ্জ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বারিক্কা টিলা/ বারেক টিলা সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার অন্তর্গত। একপাশে বাংলাদেশের সীমান্ত, ওপাশে ভারতের মেঘালয়, খাসিয়া পাহাড়। বারিক্কা টিলাতে রয়েছে ৪০ টির মত আদিবাসীদের পরিবার। ঘন সবুজে পূর্ণ টিলাটির মাঝখান দিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি পাকা রাস্তা যেটি দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে যাওয়া যায় টেকেরঘাট। বারিক্কা টিলার পাশে রয়েছে যাদুকাটা নদী যা ভারতের খাসিয়া পাহাড় হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীর অপর পাড়ে রয়েছে লাউয়ের গড় বি.ডি.আর ক্যাম্প। বর্ষার ঢলে ভারতের পাহাড় হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বালু আর পাথর। বালু-পাথর তোলার জন্য শত শত নৌকা জড় হয় এখানে। দূরে পাহাড়, এক পাশে টিলা, তার পাশ দিয়ে নদী, সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। এছাড়া ভারতের পাহাড়ে রয়েছে একটি তীর্থস্থান ও একটি মাজার যেখানে বছরের নির্দিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন দিনে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজার হাজার লোক জড় হয় পূণ্য স্নান ও উরসে, তখন বিডিআর ও বিএসএফের সমঝোতায় ২-১ দিনের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করা হয় (সেই সময় উভয় দেশের লোক উৎসবে জড় হয়)।

বারিক্কা টিলা / বারেকটিলার উপরে উঠলে দেখা যায় সুউচ্চ মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়। টিলার উপরে ২ দেশের সীমানা পিলার। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডদের একটা টহল চৌকিও আছে। কড়ই গড়া ও রাজাই নামে দুটি আদিবাসী গ্রামও রয়েছে এ টিলাতে। বারেকটিলা থেকে বড়ছড়া চারাগাঁও শুল্ক স্থলবন্দর ৪০ মিনিটের হাঁটা পথ। বারিক্কা টিলার উপর থেকে দেখা যায়, যাদুকাটা নদীতে স্বচ্ছ পানি আর নীল আকাশের সঙ্গে সবুজ পাহাড় মিলে যেন তৈরি হয়েছে নীলাভ চিত্রকল্প। টাঙ্গুয়ার হাওরের আশপাশে সবচেয়ে সুন্দর ও মনোরম দৃশ্যপট।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সিলেট (Sylhet) / সুনামগঞ্জ (Sunamganj) রুটে নন এসি ও এসি উভয় ধরনের বাস চলাচল করে, নন এসি ভাড়া– ৪৫০-৪৪০-৩০০ টাকা এবং এসির ভাড়া সর্বোচ্চ ১১০০-৯০০-৮৫০-৮০০০ টাকা। এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রীণ লাইন, আল-মোবারাকা, সোহাগ, সৌদিয়া ও এস.আলম পরিবহন। আর নন-এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, মামুন, ইউনিক পরিবহন।

ঢাকা থেকে সরাসরি শ্যামলী পরিবহনে সুনামগঞ্জ, ভাড়া ৫৫০/- জনপ্রতি। নাস্তা খেয়ে সিএনজি বা হোন্ডা নিয়ে সরাসরি চলে যাবেন বারেক টিলা।

তবে বর্ষাকালে সাহেব বাড়ি ঘাট হতে স্পীড বোট অথবা ইঞ্জিন বোটে গন্তব্যে পৌঁছা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে গেলে এখানে অবশ্যই একবার যাওয়া উচিত। তাছাড়া হাওরে থাকতে চাইলে খাবার বা বাজার সদায় করে নিতে চাইলে এখান থেকে কিছু করে নিতে পারবেন। লাইফ জ্যাকেট অবশ্যই সঙ্গে নেওয়া উচিত।

কোথায় থাকবেন:
বড়ছড়া বাজারে রেস্ট হাউজ আছে ২০০-৪০০ টাকায় থাকা যায়। বারেক টিলা পাড় হয়েই বড়ছড়া বাজার। চাইলে টেকেরঘাট থেকে হেটেও আসতে পারবেন বড়ছড়া বাজারে। এছাড়াও লেকের পাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি চুনা পাথরের কারখানা আছে তার গেস্ট হাউজে থাকতে পারবেন যদি খালি থাকে।

১. উপজেলা ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার কৃপেশ দাস: ০১৭২৪৯৬৮১৬১
২. উপজেলা গেস্টহাউজের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আনিসুল হককে অনুরোধ করতে হবে: ০১৭১৫১৭২২৩৮

এছাড়া সুনামগঞ্জে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকার জন্যে হোটেল ভাড়া পাবেন।

হোটেল নূর-পূর্ববাজার স্টেশন রোড সুনামগঞ্জ
হোটেল সারপিনিয়া-জগন্নাথবাড়ী রোড, সুনামগঞ্জ
হোটেল নূরানী, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড , সুনামগঞ্জ
হোটেল মিজান, পূর্ব বাজার-সুনামগঞ্জ
হোটেল প্যালেস, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড
সুরমা ভ্যালী আবাসিক রিসোর্ট

কোথায় খাবেন:
বারেক টিলাতে খাবারের হোটেল আছে, এছাড়াও বড়ছড়া বাজারে খেতে পারেন অথবা লেকের পাশেই টেকেরঘাট একটা ছোট বাজার আছে। একটি মাত্র খাবারের হোটেল আছে।
সূত্র: আদার ব্যাপারী
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×