ইসলামে শুধু পোশাকের পর্দার কথা তো বলা হয়নি। সকল ধরণের পর্দার কথা বলা আছে। দৃষ্টির পর্দা, মনের পর্দা, চিন্তা ধারার পর্দা, কল্পনার পর্দা... সব। যে ইসলাম মেয়েকে পর্দা করে চলতে বলেছে সে ইসলাম ছেলেদেরকেও দৃষ্টি অবনত রাখতে বলেছে। যে ইসলাম মেয়েকে মাথায় কাপড় রাখতে বলেছে, বোরকা পড়তে বলসে সে ইসলাম ছেলেদেরকেও মাথায় টুপি রাখতে বলসে, টাখনুর উপর ঢোলা প্যান্ট পরতে বলসে, দাড়ি রাখতে বলসে। কই আমি তো কোন ছেলেকে সেটা করতে দেখিনা। একটা মেয়ে পর্দা করবে কি করবে না, ইসলামিক অনুশাসন মানবে কি মানবে না সেটা, আল্লাহকে ভয় করবে কি করবে না এটা একান্তই তার ব্যাপার। তার জন্য আল্লাহ দোজখ বানায় রাখসে অনেক আগেই। মেয়েটার এইসব দিক দেখার জন্য, গাইডলাইন দেয়ার জন্য তার পরিবার আছে, শাসন করবে, কথা শোনাবে তার পরিবার। আর মেয়ে বিবাহিত হলে তার স্বামী তার দায়ভার নিবে। কিন্তু রাস্তার সকল ছেলেকে তো সে দায়ভার দেয়া হয়নি? "মেয়েটা বোরকা পরে নাই, তাই সে অশ্লীল" এই কথা তোমাকে কে বলসে? বোরকাই এক মাত্র শালীন ড্রেস? কেন? ত্রিপিস বা সেলোয়ার কামিজে শালীনতা থাকতে পারে না এতো উন্নত জ্ঞান তোমাকে দিসে কে? "মেয়েটা যেহেতু বোরকা পরে নাই, সেহেতু সে শালীন নয়, তাই তাকে রেপ করতে ছবক দিতে হবে" এই আইন তোমাকে কোন ধর্ম দিসে? ইসলাম তো অবশ্যই না। মেয়েটাকে ছবক দেয়ার তুমি কে? ওর বাপ? ভাই? না স্বামী? এই তিনটার কোনটাই হওয়ার যোগ্যতা তুমি রাখো না। এই ধরণের মেন্টালিটির ছেলেদেরকে বলতে চাই - শুধুমাত্র মেয়েরা ছেলেদেরকেই বিয়ে করে বলে অইসব ছেলের কপালে কোন অভাগী জুটে। নাহলে কপালে কিছুই জুটত না ।এদের ছুঁড়ে ডিরেক্ট নরকে ফেলা উচিত।
তোমার কুপ্রবৃত্তি, কুলালসা চরিতার্থ করার জন্য তুমি ইসলামকে ইউজ করতে পারো না।
এইধরনের ছেলেরা যার ভাই, যার বন্ধু বা যার সন্তান তাদের সবাইকে এদের against এ দাঁড়ানো উচিত। নাহলে কাল এর হাত থেকে তোমার মেয়ে, বোন বা তোমার মাও নিরাপদ থাকবে না ।
বিঃদ্রঃ আমি নারীবাদী পুরুষ বিদ্বেষী নই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, ধর্ষক বা ধর্ষকের সাপোর্টার কোন পুরুষ তো নইই, মানুষেরও আওতায় পড়ে না! আমার এই লেখা শুধুমাত্র তাদের উদ্দেশ্যে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪