somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভক্তানগভ ও তার “ফ্যানটাসটিক রিয়েলিজম”

১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্তানিস্লাভস্কির নাম আমরা যতটা জানি তার চেয়ে অনেক কম জানি মায়ারহোল্ডের নাম, এবং আরো কম জানি ভক্তানগভের নাম। অথচ এই তিন বিশ্বনাট্য প্রতিভা একই সাথে-একই সময়ে-একই স্থানে তাদের নাট্যজীবন পার করেছেন। তিন জনই বিশ্ব থিয়েটারে অমর হয়ে আছেন তাদের উদ্ভাবিত থিয়েটার রীতির কারণে। আমরা শুনেছি এবং মানিও একটি মহীরুহের নীচে নাকি আরেকটি মহীরুহ কখনোই জন্মায় না। কনস্তানতিন স্তানিস্লাভস্কি দেখিয়ে দিয়েছেন, পরমত সহিষ্ণুতা ও বিশাল হৃদয় থাকলে স্তানিস্লাভস্কির মত বিশ্ব নাটকের অন্যতম বৃহৎ মহীরুহের পৃষ্ঠপোষকতায় একই ছাদের নীচে ভসভোলড মায়ারহোল্ড ও ইউজিন ভক্তানগভের মত বটবৃক্ষও জন্মায়।


কনস্তানতিন স্তানিস্লাভস্কি


ভসভোলড মায়ারহোল্ড
অথচ কী আশ্চরযের বিষয় মায়ারহোল্ড বা ভক্তানগভ কিন্তু কখনোই স্তানিস্লাভস্কির পথে হাঁটেননি বরং বিপরীত মতই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এর থেকে আমাদের চেনা মহীরুহদের অনেক শেখার থাকলেও সে প্রসঙ্গে না গিয়ে সরাসরি মূল উদ্দেশ্যে চলে আসি। ইউজিন ভক্তানগভ ও তার ফ্যান্টাসটিক রিয়েলিজম আজ আমাদের বিষয়। সেই সাথে বাংলাদেশের থিয়েটারে ভক্তানগভের প্রভাব নিয়ে পাঠক মনে আগ্রহ তৈরী করা এই সৌখিন লেখকের স্বাপ্নিক অভিপ্রায়।


ভক্তানগভ কে প্রকাশিত ডাকটিকেট

ইউজিন ভক্তানগভ ১৮৮৩ সালে রাশিয়ার ভ্যালদিকাভকাজ শহরে জন্মেছিলেন। খুব ধনী পরিবার থেকে আসা ভক্তানগভের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে তাদের পারিবারিক পেশা ট্যোবাকো ফ্যাক্টরি নিয়েই থাকবেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ভক্তানগভেরও মধ্যে থিয়েটারের প্রতি তীব্র অনুরাগ ছিল, যে কারনে ভক্তানগভের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন থিয়েটারে স্টেজ ড্রামা দেখেই কাটত। ভক্তানগভের বাবা তাকে পারিবারিক পেশায় আনার জন্য নানা চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু থিয়েটারের পোকা থাকলে যা হয়, গানের সুরে বলতে হয় .. তারে ফেরানো গেলনা কিছুতেই..। ভক্তানগভ ছোটবেলাতেই ঠিক করে ফেলেছিলেন তিনি বাকী জীবনটা থিয়েটারে কাটাবেন। কাটিয়েছেন ও তাই। পেয়েছেন স্তানিস্লাভস্কি ও মায়ারহোল্ডের মত নাট্যব্যক্তিকে তার শিক্ষক হিসাবে। মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মন যে পড়ায় বসে নাই তা বোঝা যায় তার পড়াশোনার বিষয়ের বৈচিত্র দেখে। প্রথমে পদার্থ বিদ্যা নিয়ে শুরু করলেও পরে বিষয় পাল্টে চলে যান অংকে, এবং পড়ে আইনশাস্ত্রে। দ্বিতীয় বছরেই পড়াশোনোর পাট চুকিয়ে ঢুকে গেলেন প্রফেশনাল থিয়েটারে। সালটা ১৯১১। ভক্তানগভের প্রথম প্রযোজনা ওপেন এয়ার মঞ্চে অভিনীত হয় যেভাবে অনেকটা কনস্তানতিন তেপলভ শেকভের ‘সীগাল’ করেছিলেন। তখন ভক্তানগভের বয়স ১৯ বছর। এই বয়সে কাউকে আমাদের দেশে বালক গণ্য করা হয়। তো সেই বালক ভক্তানগভ নর্থ ককেশাসের পর্বতমালা ও দিগন্তবিস্তৃত দৃশ্যাবলী দিয়ে ওপেন স্টেজ সাজিয়েছিলেন। ফ্যানটাসটিক রিয়েলেজিমের ধারণার বীজ কি এখান থেকেই?


তৎকালিন মস্কো আর্ট থিয়েটার

স্তানিস্লাভস্তি এবং সুলারঝিটস্কির নিবিড় তত্ত্বাবধানে ভক্তানগভ তৎকালিন রাশিয়ার একজন সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ১৯২২ সালে মৃত্যুর আগ পরযন্ত তিনি রাশিয়ার একজন অন্যতম সেরা নাট্য নির্দেশক। ক্ষণজন্মা এই মানুষটি ছিলেন রাশিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান নাট্যব্যক্তিত্ব। সেই সাথে তার প্রতি ছিল সবার অনেক কৌতুহল ও আগ্রহ কারণ তার নাট্য দর্শনকে মস্কোর মানুষজন কখনোই স্তানিস্লাভস্কি বা মায়ারহোল্ড কারো সাথেই মেলাতে পারতেন না। তিনি স্তানিস্লাভস্কির থিউরিকে যেমন ন্যাচারালিজম এর স্তরে গিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করেছেন, কাজে লাগিয়েছেন তেমনি তিনি একই সাথে ছিলেন স্তানিস্লাভস্কি বিরোধী মায়ারহোল্ড এর বড় ভক্ত। ভক্তানগভ মনে করতেন মায়ারহোল্ড আধুনিক থিয়েটারের বীজ বপন করে গেছেন অতীতেই।


মায়ারহোল্ড


স্তানিস্লাভস্কি

পরষ্পর বিরোধী স্তানিস্লাভস্কির রিয়েলিস্টিক অভিনয়রীতি আর মায়ারহোল্ডের থিয়েট্রিকাল অভিনয় রীতি - দুটোরই এক অদ্ভুৎ মিথস্ক্রিয়া হয়েছিল ভক্তানগভের মধ্যে। কিন্তু ভক্তানগভ এর ভেতর আটকে না থেকে সব সময় খুঁজেছেন নিজের রীতিকে। পেয়েছেনও। বিশ্ব থিয়েটারকে দিয়ে গেছেন তার নিজের থিয়েটার ভাবনা- ফ্যানটাসটিকাল রিয়েলিজম বা ফ্যান্টাসটিক রিয়েলিজম।


প্রিন্সেস টুরানডট প্রয়োজনার একটি ফটোগ্রাফ

স্তালিস্লাভস্তির মত ভক্তানগভও মনে করতেন অভিনয় শিল্পী হচ্ছেন থিয়েটারে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ উপাদান। কিন্ত সেই সাথে তিনি এও মনে করতেন অভিনয় শিল্পীর উপস্থিতি থিয়েটারে এমন ভাবে হওয়া উচিত যেন দর্শক মনে করেন তারা থিয়েটারেই আছেন, বাস্তব কোন জগতে নয়। এখানেই ভক্তানগভ স্তানিস্লাভস্কি থেকে আলাদা হয়ে যান। তিনি থিয়েটারে যে জগত তৈরী করতেন তাতে যাদুকরি ও কাল্পনিক অনেক উপাদান ব্যবহার করতেন, যেখানে রুপকথার মত অনেক আশ্চরয ঘটনা ঘটতো। কিন্তু সেখানে আবার স্তানিস্লাভস্কির মনো: বৈজ্ঞানিক অভিনয় কৌশলও উপস্থিত থাকতো। মনো বৈজ্ঞানিক অভিনয় কৌশল মানে স্তানিস্লাভস্কির সাইকো টেকনিক ব্যবহার করে অভিনেতার প্রস্তুতি। ভক্তানগভ তার ফ্যানটাসটিক রিয়েলিজেম পদ্ধতি ব্যবহার করে যেসব প্রযোজনা করেছেন সেগুলোকে ব্রেখট সহ বিশ্বের খ্যাতিমান নাট্য তাত্ত্বিকরা স্তানিস্লাভস্কির রিয়েলিজম ও মায়ারহোল্ডের থিয়েট্রিকালিজম এর চুড়ান্ত এবং উৎকৃষ্ট সিনথেসিস হিসাবে গণ্য করেন। বিশ্বের অনেক দেশেই নাট্য নির্দেশকগণ এই উৎকৃষ্ট সিনেথেসিস কে ব্যবহার করে ভক্তানগভের পথেই হেঁটেছেন। অবশ্য কালের পরিক্রমায় তাতে ব্রেখট, গ্রটস্কি, পিটার ব্রুক ও মিশে গেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে ভক্তানগভের রীতির সরাসরি অনুসরণ অনেক বেশি।


প্রিন্সেস টুরানডট প্রয়োজনার একটি ফটোগ্রাফ

ভক্তানগভ সেট নির্মাণের দিকে তেমন জোর দিতেন না। তিনি সহজ সরল মঞ্চসজ্জ্বা পছন্দ করতেন। গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত জিনিষ আলোর চমৎকারিত্বের মাধ্যমে ব্যবহার করে মঞ্চসজ্জ্বা করতেন। এসব দিয়েই তিনি দুর্গ,শহর এসব বানাতেন। তার অন্যতম সেরা প্রযোজনা প্রিন্সেন টুরানডট – এই রীতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি দর্শকের সামনেই অভিনয় শিল্পীদের প্রয়োজনীয় সাজ পোষাক পড়াতেন যেন দর্শক বুঝতে পারেন কিভাবে একজন অভিনয় শিল্পী একটি চরিত্রে রূপান্তরিত হচ্ছেন। এখানে প্রশ্ন আসতেই পারে ব্রেখট কি তাহলে ভক্তানগভ থেকে প্রভাবিত? এ নিয়ে নিশ্চই কেউ বাংলা ব্লগে আলোকপাত করবেন আশা করি।


প্রিন্সেস টুরানডট প্রয়োজনার আরেকটি ফটোগ্রাফ

ফ্যা্‌ন্টাসটিক রিয়েলিজম জীবনের বাস্তবতা এবং থিয়েটার প্রকৃতির মেধাবী সংমিশ্রণ যাকে থিয়েট্রিকাল রিয়েলিজম ও বলা হয়ে থাকে। অন্যভাবে বলা যায় ফ্যানটাসটিক রিয়ালিজম, রিয়েলিজম, ন্যাচারালিজম ও ড্রামাটিক প্রসেসের মাধ্যমে কাজ করা থিয়েটারের অন্তরনিহিত বোধের সমন্বয়। এসব মিলিয়েই তিনি ১৯২২ সালে তৈরী করেছিলেন সম্পূর্ণ অভিনব ও গতিশীল এক থিয়েটার প্রয়োজনা প্রিন্সেন টুরানডট। ইতালিয়ান নাট্যকার কার্লো গজির এর নাটকটি ছিল ভক্তানগভের অন্যতম সেরা প্রযোজনা। প্রিন্সেস টুরানডটের প্রথম পুর্ণাঙ্গ রির্হাসাল দেখে স্তানিস্লাভস্কি ভক্তানগভ নিয়ে গর্ব করার পাশাপাশি নিজেকেও নতুন করে আবিস্কার করেছিলেন।


ভক্তানগভ

প্রিন্সেস টুরানডট ভক্তানগভের জীবনের শেষ প্রযোজনা। তিনি প্রিন্সেস টুরানডটের প্রথম রজনীর কয়েক সপ্তাহ আগেই ক্যান্সারে মারা যান। দিনটি ছিল মে’র ২৯ এবং ভক্তানগভের বয়স ছিল মাত্র ৩৯। তার স্ত্রীর ডাকে রির্হাসালের সবাই ছুটে যান তার বাসায়। ভক্তানগভ তখন ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। খানিকটা ঘোরের মধ্যে থেকে তিনি অপেক্ষা করছিলেন লিও তলস্তয়ের, বলছিলেন তলস্তয় এখনি আসবেন। মৃত্যুর আগে কখনো ভক্তানগভ রাজনৈতিক নেতা হয়ে নানা উপদেশ দিচ্ছিলেন আবার কখনো রির্হাসালের খোঁজ নিচ্ছিলেন। মৃত্যুর কয়েক মূহূর্ত পূর্বে শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে তার চেতনা পুরো ফিরে আসে, তিনি মোলায়েম ও শান্ত ভাবে বলেছিলেন “গুড বাই, দেন।”


ভক্তানগভের সমাধি

আমরাও বলি গুডবাই, ভক্তানগভ। আমরা বাংলাদেশের থিয়েটারে তোমার রীতি বহন করে চলেছি ব্যপক ভাবে জেনে অথবা না জেনেই। মূলত ঢাকার কয়েকটি নাট্যদল ছাড়া সারা বাংলাদেশের নাট্যদল গুলোকি জানে তারা ভক্তানগভকে কতটা অনুসরণ করে? জেলা শহরে মঞ্চনাটকের জীবন শুরু হওয়ায় ও জেলা শহরের থিয়েটার নিয়ে ২০ বছর কাজ করার সুবাদে আমি জানি।

দীপংকর দীপন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×