"মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি অন্যরকম কাহিনী "র লেখককে ধন্যবাদ, এতো ইনফরমেশন সম্বলিত একটি পোষ্টের জন্য। কিন্তু পোষ্টটিতে কোন রেফারেন্স নাই। লেখক আসলে মু্ক্তিযুদ্ধের অন্যরকম কাহিনী বলতে কি বুঝাতে চাইছেন বুঝলাম না। আমার ইচ্ছা হলো আমি কিছু কথা বলে ফেললাম, তাতেই কি ইতিহাস অন্যরকম হয়ে যায়? তার কোন সুত্র প্রয়োজন হয়না বা প্রমাণ-এর প্রয়োজন নাই? জানিনা। আমার সন্দেহ লেখক নিজেও কি জানেন, আসলে বক্তব্যটা কি? মনে হয় না। মু্ক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আওয়ামীলীগের অনেক ভুল আছে তার অনেক খেসারতও তারা দিয়েছে এবং দিচ্ছে। কিন্তু তার মানেতো এই না যে, আমরা আমাদের দেশকে অস্বীকার করবো। আর করে কোন লাভ নেইতো। যারা এখনো মনে মনে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন তারা কি কোনদিন ঘুম থেকে উঠবেন না! শুধু স্বপ্নই দেখে যাবেন! উঠেন, জাগেন, দেখেন আজ পাকিস্তানের অবস্থা। বোঝার চেষ্ঠা করেন কি হচ্ছে সেখানে। অন্ধের মতো শুধু অন্যের কথামতো লাফালাফি করে লাভ নেই। এরপর যখন টের পাবেন, ততক্ষনে আপনি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছেন। আর উঠে আসার রাস্তা পাবেন না।
ব্যাপারটা খুব সহজ। ৪৭ এর দেশভাগের সময় যারা মনে করেছিল তাদের দেশ ইন্ডিয়া তারা চলে গেছে তখনই হয় বদল করে নতুবা বিক্রি করে, আবার কেউ কেউ সব কিছু ছেড়ে দিয়ে। তারা কিন্তু পিছে ফিরে তাকায়নি। পরে অনেকে আফসোস করেছে। কিন্তু যারা মনে করেছিল পাকিস্থান তাদের দেশ, পশ্চিম পাকিস্থান-এর আত্মসমর্পনের পর তারা কিন্তু পাকিস্তানে চলে যায়নি। যারা পালিয়েছিল তারা আবার লবিং করল দেশে ফিরে আসার জন্য। এবং আসলও জিয়াউর রহমানের বদৌলতে (যদিও তিনিও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন)। পাকিস্থান তাদেরকে ঠাই দেয় নাই। অতএব পাকিস্থানপ্রেম ভুলে গিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে শুরু করুন। আর যারা পাকিস্থানপ্রেমী আছেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের বিরোধীতা না করে ইচ্ছা হলে পাকিস্থান চলে যান। অন্যথায় দেশদ্রোহীতার অভিযোগে আপনাকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের জন্য মায়াকান্না কেন এতো? আর ভয়ই বা কিসের যদি নিজেদেরকে নির্দোষ মনে করেন?