যখন দেখি কেউ পাকিস্তানের জয় জয়কার করছে তখেন সেই ৩০লক্ষ শাহীদের কথা মনে পরে যায়।আর যখন ইন্ডিয়ার জয়জয়কার শুনি তখন ফেলানির লাস টা আর তিস্তার সেই শুকনো রূপটা আমার সামনে ভাসে।
যারা পাকিস্তান বা ইন্ডিয়া কে সাপোর্ট করেন। তাদের নিয়ে আমার কোন কথা নাই আপনি সাপোর্ট করতে পারেন।কিন্তু যারা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করার পক্ষে লজিক হিসাবে বলেন যে তারা আমাদের মুসলমান ভাই ইত্যাদি আমি তাদের বলব ভাই তারা মুসলমান ভাই দেখিয়াই আমাদের ৭১ তর এ ৩০লক্ষ মুসলমানকে মারছে। কেউ হয়ত বলবেন ৩০লক্ষ মুসলমান বলাম কেন সব ত আর মুসলমান না। উত্তরঃঅধিকাংশই মুসলমান ছিল তাই।২লক্ষ মুসলিম মা-বোন দের ইজ্জত নিয়েছিল।আরে ভাই এখনেও আগের কথা অধিকাংশ মুসলিম নারী।
আর যারা ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করার লজিক হিসাবে বলেন যে ইন্ডিয়া আমাদের মহান স্বাধীনতা আনতে সাহায্য করেছে তাদের বলি সেই ইন্ডিয়াইঃ16th Dicember নামে ফিল্মে বাংলার স্বাধীনতাকে পাক ভারত যুদ্ধ নামে চালিয়ে দিয়েছে।সেই ভারত যারা ফেলানিকে মেরে উলটো ঝুলিয়ে দিয়েছিল।আমি ২০১৪ তে ছিটমহল গিয়েছিলাম আঙারপুতাতে যাওয়ার আগে কিছু দিন পাটলিপুর ছিলাম কিছুদিন। দেখলাম কিছু দিন আগে যেখানে তিস্তানদী ছিল, পানির ছিল কানায় কানায় পূর্ন সেখান আজ শুকনো।যেখানে নদী নৌকা দিয়ে পাড় হওয়া মুশকিল ছিল, সেখানে নদী পাড় করা যাচ্ছে লাফ দিয়ে।তার পর যখন ছিটমহললের (এখানে নিশ্চয় কাউকে ছিটমহল কি তা ব্যাখ্যা করে বলতে হবে না আর জারা জানেন তা তাদের জন্য মহা পণ্ডিত গুগল সাহেব বসে আছেন প্লিজ কষ্ট করে জানে নিয়েন)ভিতর গেলাম দেখ তিস্তা কি বিশাল রে বাবা! ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীন হতে সাহায্য করেছে বলে আমাদের এই বাশ দিচ্ছে।আঙারপুতার মানুষদের অবস্তার কথা মনে হলে এখন আমার চোখে জল আসে।ইন্ডিয়ান সীমানায় যে কি পরিমান অত্যাচার তাদের সইতে হচ্ছে তা ত না দেখলে বুঝবেন না।তাদের অপরাধ কি তারা শুধু বাংলাদেশি বলে।তাদের মেয়ে রাস্তাদিয়ে যাবার সময় বাবা-ভাই আতংকে থাকে কখন ভিজিবির চোখে পরবে। রাতে প্রায় নির্ঘুম কাটাতে হয় যদি ইন্ডিয়ার বর্ডার ক্রস করে চোর আসে।অবশ প্রায়ই সে চোর চোরি করে যায়।আমি বলি পাকিস্তান ত এক বার আমাদের নির্জাতন করেছে এই ভারত প্রতিদিন রাত আমাদের নির্জাতন করে চলেছে।পাকিস্তান এক বারে ৩০লক্ষ মানুষ মেরেছে আর ভারত এক বারে না তিলে তিলে মারছে।