somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

মূর্খের আওয়াজ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মূর্খের আওয়াজ
সাইয়িদ রফিকুল হক

রাত জেগে মূর্খের দল আওয়াজ করে বেশি,
কোলাহলে বিবেক জাগে না কারও
তবুও শুনি পাষণ্ডদের তারস্বরে চিৎকার,
চেঁচামেচিও এখন নাকি বাকস্বাধীনতার উদাহরণ!

গণতন্ত্রকে যারা একদিন অজ্ঞাত গোরস্থানে
কবর দিয়েছিল দলবেঁধে রাতের আঁধারে,
আর উল্লসিত হয়ে খুব হেসেছিল ভোজসভায়,
তারাও আজ গণতন্ত্রের জন্য খুব কাঁদে রাতদিন জেগে,
রাজকীয় সম্মানসহ শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক হিসাবে
এদের হাতে খেতাব তুলে দিতে হবে আগামী নববর্ষে।
প্রতিবাদীদের গোরস্থানে আজ কেউ যায় না ফুল দিতে,
ভণ্ডের পদতলে শহরের দামি ফুলগুলো খাচ্ছে গড়াগড়ি!

উলঙ্গ লোকগুলো রাতের আঁধারে চেঁচিয়ে বলছিল:
পৃথিবীর মানুষের লজ্জা নাই! ধর্ম নাই! চরিত্র নাই!
মানুষের ঘুম ভেঙে যায় এই পশুদের পাশবিকতায়,
ক্রমাগত দারুণ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে শয়তান
তবুও কেউ জেগে ওঠে না, জনপদ শুধু ঘুমায়,
মানুষের মনে বারুদ জমে না, ঘৃণার বিপ্লব হয় না কখনো,
হঠাৎ মনে হয়: আদিমসমাজ কায়েম হয়েছে বুঝি আবার!
মানুষ শুধু খেয়েপরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে নিরন্তর।

মূর্খের আওয়াজে ফেটে যায় রাতের পর্দা,
বুকের ভিতরে তবুও জাগে না কারও ঢেউ,
সওয়াবলোভীদের দাপটে হেরে যায় যুগশ্রেষ্ঠ ধার্মিক,
আদিমপশুরা চেঁচিয়ে জানায়, তারা পয়গম্বরদের প্রতিনিধি!

ছবি: bbc.com


সাইয়িদ রফিকুল হক
১৭/০১/২০২১
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×