পুণ্য-রাতের আগমন
সাইয়িদ রফিকুল হক
পুণ্য-রাতে ভাগ্য খোলে,
সেই আনন্দে মনটা দোলে!
কেউ থাকে না নিরাশ হয়ে
সবাই ছোটে আশা লয়ে।
বিশ্বজুড়ে শবে বরাত
মন্দভাগ্যে চালাও করাত।
ভাগ্য-চাকা খুলছে না রে,
প্রেম-রজনী তোমার দ্বারে।
ঘরে-ঘরে রুটি তৈরি
কেউ হবে না কারও বৈরী,
ইবাদতে সবাই মশগুল,
বিরান-ভাগ্যে ফুটবে ফুল?
বছর ঘুরে এলো আবার
শবে বরাত তোমার-আমার।
মাসলা-টাসলা খুলছো কেন?
শবে বরাত আছে জেনো।
হালুয়া তুই খাবি নারে
পণ করেছিস কেমনতর!
মাসলা-ফাসাদ ভুলে গিয়ে
সরল-সঠিক পথটা ধরো।
শবে বরাত রুটি নিয়ে
করিস কেন মামদোবাজি?
যুগ-জামানায় সবাই জানে
তুই যে বড় ভণ্ড-পাজি।
ধর্মসভায় চোর ঢুকেছে
তাইতে এত ফতোয়া আজ,
ইবলিশ শয়তান আলেম সাজে
ফিতনাবাজি তারই কাজ।
আমল ছাড়া, ইলম ছাড়া
শণ্ঢগুলো দাপায় মাঠে,
ধর্মলেবাস গায়-চাপিয়ে
ঘুমায় ওরা দামি খাটে!
ওরাই এখন ফতোয়া দেয়—
‘শবে বরাত ধর্মে নাই রে’,
মগজধোলাই দিতে হবে
এবার ওদের ধরে-ধরে।
শবে বরাত সবার জন্য,
রাত্রি জেগে হবে ধন্য।
তোমার মনে না-চাহিলে
কষ্ট দিবে অপর-দিলে?
ফতোয়া আজ রাখো তুলে,
সবাই মাতি বিভেদ ভুলে।
পুণ্য-খেয়াল আসবে মনে,
খোদার প্রেমে জ্ঞান হারাবে
সারাবিশ্বে জনে-জনে।
পুণ্যরাতের আগমনে
মন হারিয়ে যাচ্ছে সবার,
দাওয়াত দিলাম সংগোপনে
সবাই মিলে রাত্রি জাগার।
তাইতো রফিক বলছে শেষে:
খোদার প্রেমে এসো ডুবি,
দুঃখ ভুলে, কষ্ট ফেলে
রাতগভীরে চুপিচুপি।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩