somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

ব্লগে কিছু পড়ে মন্তব্য করতে হলে সবার আগে মন্তব্য করা শিখতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ব্লগে কিছু পড়ে মন্তব্য করতে হলে সবার আগে মন্তব্য করা শিখতে হবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক

আমাদের কথা বলা শিখতে হবে। আমাদের লেখার ভাষাও শিখতে হবে। আমাদের মনের ভাব প্রকাশের রীতিনীতি, ভাষারীতি ও শালীনতাবোধও শিখতে হবে। মানুষের সমাজে, মানুষের পৃথিবীতে মানুষের কাছে মনের কোনো কথা কিংবা কিছু ভাব তুলে ধরার জন্য আমাদের মানুষের গ্রহণযোগ্য ভাষা-ব্যবহারের নিয়মকানুন শিখতে হবে। এগুলো আমাদের জানতে হবে। আর তা জেনেবুঝে মানব-সমাজে প্রয়োগ করতে হবে।
আমরা সবাই কথা বলতে জানি। মাতৃভাষা-বাংলায় তা খুব সহজে প্রকাশ করতে পারি। কিন্তু এই পারাটাই শেষ ও চূড়ান্ত কথা নয়। লেখার ক্ষেত্রে আমাদের ভাষায় যথেষ্ট পরিমিতবোধের পরিচয় দেওয়া অত্যাবশ্যক। এর ব্যত্যয় ঘটলেই বিপদ। মুখের ভাষা ও লেখার ভাষার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বলাটা সহজ আর তা অস্থায়ী। কিন্তু লেখাটা কঠিন ও চিরস্থায়ী। তাই, এতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করাটাও জরুরি।

ভাষা-ব্যবহারের ব্যাকরণ জানতে হবে। ভদ্রসমাজে চলার মতো কথাবার্তা ও চালচলনও শিখতে হবে। সবার আগে আমাদের শিক্ষিত হতে হবে। আর সবাই শিক্ষিত হতে না-পারলেও সমস্যা নাই। কিন্তু সবাইকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতার চেয়ে বড় কোনো ডিগ্রী বর্তমান পৃথিবীতে নাই। পরমতে অসহিষ্ণুতার কারণেই আজ পৃথিবীজুড়ে যুদ্ধবিগ্রহ চলছে। মরছে মানুষ। বিপন্ন হচ্ছে মানবতা। তাই, আবারও বলছি, পরমতসহিষ্ণুতার ভীষণ প্রয়োজন। আজকের দিনে এর কোনো বিকল্প নাই। যাক, প্রসঙ্গক্রমে কয়েকটি কথা বেশি বলে ফেললাম। মদীয় আলোচ্য বিষয় ব্লগে আমাদের মন্তব্য কী ধরনের হওয়া উচিত। আর তাতে কতটুকু শালীনতার প্রয়োজন। শালীনতা কেন বজায় রাখতে হবে। আর ভাষা-ব্যবহারে শালীনতার প্রয়োজনইবা কতটুকু?

আলোচনার এই কথাটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বলা হচ্ছে। আমরা আসলেই ভাষা-ব্যবহারের ব্যাকরণ ভুলে গিয়েছি। আর নয়তো আমাদের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতার বিরাট অভাব ঘটেছে।
আমি ৮ বছর ৩ মাস যাবৎ এই ব্লগে লিখছি। বিভিন্ন বিষয়ে ৪০৮টি লেখাও পোস্ট করেছি। বিভিন্নজনের লেখা পড়েছি। কোনোটায় মন্তব্য করেছি। আবার কোনোটায় করিনি। অবশ্য বেশিরভাগক্ষেত্রে আমি মন্তব্য করি নাই। কিন্তু আমি বেশিরভাগ লেখা পড়ি। আমি মন্তব্য বেশি করি না। আমার মন্তব্য করার অভ্যাস খুব কম। এটা আমার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। এতে কেউ ভুল বুঝবেন না।

কিন্তু এই ৮ বছর ৩ মাসে কারও ব্লগে কখনোই কোনো অশালীন মন্তব্য করি নাই। এমনকি যারা আমার পোস্টে অশালীন, মারাত্মক অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন তাদের মন্তব্যের প্রতিউত্তরও আমি অশালীন ভাষায় দিইনি। শালীনতার মধ্যে সবকিছু সীমাবদ্ধ রেখেছি। আর এটা শোভনসুন্দর হবে না ভেবে আমি এমনটি করেছি।
এই ব্লগ আমাদের পরিবারের মতো। আমরা যেন একই পরিবারভুক্ত। আমরা সবাই এই ব্লগের নিয়মিত ও অনিয়মিত সদস্য। সশরীরে আমাদের দেখা নাহোক, আমাদের লেখার মাধ্যমে প্রতিদিন আমাদের দেখা হচ্ছে। আমরা অনেকটা আত্মীয়ের মতো। আত্মীয়। আবার একদিক থেকে, আমরা যথাযথ প্রতিবেশীও। তাই, আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করা। বন্ধুসুলভ মতপ্রকাশের মাধ্যমে সহজ ও মানবিক আচরণ করা।

ব্লগে কারও কোনো লেখা পড়ে কীভাবে আমাদের মন্তব্য করা উচিত এ-বিষয়ে নিচে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হলো:

প্রথমত; লেখাটি আপনার মনঃপুত না-হলে আপনি দ্রুত উত্তেজিত হবেন না। লেখাটা পড়ুন। ভালো না-লাগলে ওই পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসুন। আর যদি মন্তব্য করতেই হয় তাহলে কেন ভালো লাগেনি তা অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় লিখবেন। এক্ষেত্রে আপনি কোনোপ্রকার রাগ-ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ করতে মন্তব্য করবেন না। যদি তা করতে না-পারেন তাহলে ওই পোস্ট থেকে সরাসরি বেরিয়ে আসুন। এটা আপনার এবং লেখকের জন্যও ভালো।
দ্বিতীয়ত; অহেতুক খোঁচাখুঁচি করার জন্য কারও পোস্টে কোনো মন্তব্য করবেন না। খোঁচা দেওয়ার মতো মন্তব্যগুলো কোনো কাজে লাগে না। কাউকে অহেতুক কেন খোঁচা মারবেন? অবশ্য যদি ইতিবাচক বা প্রেরণাদায়ক হয় তাহলে খোঁচা মারা যেতে পারে। অন্যথায় কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কারও পোস্টে অযথা খোঁচাখুঁচি করবেন না।
তৃতীয়ত; আপনি সমালোচনা করবেন কারও লেখা পড়ে। কারও লেখার সমালোচনা করবেন। লেখার সমালোচনা করার অধিকার আছে আপনার। তাও গঠনমূলক ও মার্জিত ভাষায়। কিন্তু কখনোই কোনো পোস্টদাতা বা লেখককে বা ব্লগারকে আক্রমণ করে তার সমালোচনা করবেন না। এটা অবশ্যই নেতিবাচক একটি দিক। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চতুর্থত; ব্লগে অনেক ধরনের লেখা পোস্ট করা হয়ে থাকে। একেকজন একেক বিষয়ে লিখে থাকেন। কেউ-কেউ কোনো-কোনো বিষয়ে পারদর্শী। কিন্তু আপনি এই বিষয়ে কম জানেন বা আপনার কোনো ধারণা নাই। সেখানে আপনি কোনোকিছু না-বুঝে হুট করে কোনো মন্তব্য করে বসবেন না। তখন এটা হাস্যকর দেখাবে। পোস্টদাতা আপনার চেয়ে জ্ঞানী হতে পারেন। তিনি আপনার মন্তব্য পাঠ করে হাসবেন। আর ভাববেন, আপনি কতটা দুর্বল ও অজ্ঞ। তাই, কারও হাসির খোরাক হবেন না। নিজেকে গড়ে তুলুন একজন সুন্দর ও যোগ্য মানুষ হিসাবে।
পঞ্চমত; ব্লগে অনেকে কবিতা, গল্প, উপন্যাসও ছাপেন। এগুলো অনেকেই মনের আনন্দে পাঠ করে থাকেন। এগুলো পড়তে অনেকের কাছেই ভালো লাগে। কিন্তু মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গল্প, কবিতা ও উপন্যাসের সমালোচনা করতে হলে আপনাকে ছন্দ, অলংকার, কবিতার বিষয়বস্তু; গল্পের প্লট, চরিত্র, গল্পের বিষয়বস্তু; উপন্যাসের কাঠামো, প্লট, গঠনশৈলী, শিল্পরূপ ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। নাহলে আপনার উদ্ভট মন্তব্য কারও কাছে হাসির খোরাক হবে। আপনার কথা শুনে পোস্টদাতাও হাসবেন। আর আপনি না-বুঝে বাজে একটা মন্তব্য করলে পোস্টদাতা মনঃক্ষুণ্ন হবেন। এটা করা কি ঠিক?
ষষ্ঠত; সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো খুব জটিল। এইসব বিষয়ের পোস্টে আরও বেশি সাবধানি হতে হবে। কোনো লেখা আপনার ভালো না-লাগলে আপনি অশালীন মন্তব্য করতে পারেন না। যুক্তি দেখাতে পারেন। প্রশ্ন করতে পারেন। তার কাছে প্রয়োজনে রেফারেন্স চাইতে পারেন। কিন্তু তাই বলে তাকে আক্রমণ করে দুই-চারটা গালি দিয়ে ফেলবেন না। ব্যাপারটা মোটেই শুভকর হবে না। এতে আপনার ও পোস্টদাতার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। এটা ভয়ানক অশুভ ইঙ্গিত। এটা ব্লগে সবাই মিলেমিশে থাকার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের বাধা ও অশনি সংকেত।
সপ্তমত; ব্লগে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা থাকে। আপনি বিজ্ঞান মানেন না। ভালো কথা। সবাই বিজ্ঞান মানবে তাও নয়। আপনি বিজ্ঞান না-মানলে সেই লেখায় কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। আবার বিজ্ঞানের কোনো পোস্ট দেখামাত্র তার সঙ্গে ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করতে শুরু করবেন না। মনে রাখবেন, ধর্ম আর বিজ্ঞান কখনোই এক জিনিস নয়। বিজ্ঞানের সঙ্গে কখনোই ধর্মকে মিলাতে যাবেন না। ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানকেও কখনো মিলাবেন না। বিজ্ঞান পরিচালিত হয় গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষার দ্বারা। আর ধর্মের বেশিরভাগ বিষয়ের পরীক্ষানিরীক্ষা করার কোনো সুযোগ থাকে না। এখানে বিশ্বাস ও আবেগ কাজ করে। দুইটা দুই জিনিস।
অষ্টমত; ধর্মবিষয়ক পোস্ট অনেকেই করেন। প্রথমে বলে নিই, ব্লগ ধর্মচর্চার জায়গা নয়। তারপরও আপনার অধিকার রয়েছে এখানে ধর্মচর্চার। কিন্তু আপনি ধর্মকথা বলতে গিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে বিজ্ঞানকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন না। অন্য-ধর্মে আঘাত করবেন না। তাহলে, আপনাকেও কেউ খোঁচাবেন না। এইসকল পোস্টে মন্তব্য করার আগে ভেবেচিন্তে করবেন। হুট করে কোনো কথা বলে দিবেন না। আপনার ভালো না-লাগলে মন্তব্য করার কোনো দরকার নাই। মনে রাখবেন, এখানে মন্তব্য করা আপনার জন্য ‘ফরজ’ বা ‘ফরজে আইন’ নয়। আর আপনি যদি ধর্ম না-ও মানেন তবু কারও বিশ্বাসে আঘাত করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিবেন না। এটা সমীচীন নয়। সুখকর নয়। আর আধুনিক মানুষের বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও পড়ে না এটা।
নবমত; প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব মতামত আছে। নিজস্ব পথ আছে। নিজস্ব দলও আছে। কাজেকাজেই, কাউকে জোর করে আপনার মতো আপনার দর্শনে বিশ্বাসী বানানোর কোনো দরকার নাই। মানুষের ভিন্নমতে আঘাত করবেন না। কিন্তু কেউ যদি ভিন্নমতের নামে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে, বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে লেখে বা এসবকে আক্রমণ করে বসে তখন তাকে সমালোচনা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে, মার্জিত ভাষায় সমালোচনা করাই উত্তম। ‘যুক্তি’ দিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হবে। আর মনে রাখবেন: জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোর দিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হবে। তাহলে, সে আর মাথা জাগাতে পারবে না।
দশমত; ব্লগ কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয়। এটা মতামত-প্রকাশের একটা জায়গা। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্র। তবে এখানে স্বাধীনতা বলতে শুধু নিজের স্বাধীনতা দেখলে চলবে না। অন্যের মতামতকেও যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আপনি অধিকার ভোগ করতে চাইলে আপনাকে কর্তব্যও পালন করতে হবে। অধিকার ও কর্তব্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এ-কথার অর্থ হলো—আপনি অধিকার ভোগ করবেন কিন্তু অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারবেন না। এই দায়িত্ব-কর্তব্য আপনাকে পালন করতে হবে। ব্লগ একটা প্ল্যাটফর্ম। ঠিক রেলগাড়ির প্ল্যাটফর্মের মতো। এখানে, কত মানুষ যাতায়াত করবে। আসবে আর যাবে। আর কত মানুষ এই প্ল্যাটফর্মে বসে আড্ডা জমাবে।
একাদশতম; আবারও বলছি আমাদের পরমতসহিষ্ণু হতেই হবে। আর সবসময় সৃজনশীল মন্তব্যের চেষ্টা করতে হবে। অন্যকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অন্যের “অকাট্য যুক্তি” বা “প্রমাণসাপেক্ষ তথ্য-ইতিহাসকে” কখনোই মিথ্যা-প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগবেন না। কারণ, সত্য সবার জন্য। অন্যের স্বার্থে আপনি নিজেকে কেন মিথ্যাবাদীদের প্ল্যাটফর্মে নিয়ে দাঁড় করাবেন? কী স্বার্থ আপনার? সবসময় আমাদের সত্যের পক্ষ নিতে হবে। নিজের মিথ্যা ভেঙে গেলে মনখারাপের বদলে আরও খুশি হতে হবে। আমরা হবো এই প্রজন্মের ‘সত্যের মশালবাহী’। আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘আধ-মরাদের ঘা মেরে বাঁচানো’র নতুন কুশীলব।

শেষত; জগতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন জিনিসের কদর বেশি। তা দেখে আপনি কখনোই মনখারাপ করবেন না। এজাতীয় ভিত্তিহীন কথাবার্তা দেখেও উত্তেজিত হবেন না। এদের বিরুদ্ধে আপনার বুদ্ধিদীপ্ত অথচ ক্ষুরধার যুক্তি ব্যবহার করুন। এতে কাজ না-হলে তার সঙ্গ ছাড়ুন। দোহাই লাগে, তবু জোর করে কাউকে ভালো বানাতে যাবেন না। অন্যের মিথ্যা ও চরম অসত্য দেখেও মনখারাপ করবেন না। আপনি সত্যের পথে থাকুন। শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।
দার্শনিক কবি রবীন্দ্রনাথ তাই বলেছেন:

সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চণা।

আসুন, আমরা ব্লগে আরও বেশি মিলেমিশে বসবাস করি। চিন্তামূলক ভাবনার সম্প্রসারণ করি। কথা বলা ও লেখার ক্ষেত্রে সাবধানি হই। আর সবসময় মনে রাখবেন, আমরা সবাই লিখিয়ে বন্ধু। আমরা কেউই বড় নই, কেউই ছোট নই। সকলেই সমান। তাহলে, আমরা ব্লগটাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে পারবো। শেষ করছি কবি কামিনী রায়ের বিখ্যাত সেই কবিতার দুটি লাইন দিয়ে।

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’

ছবি: গুগল ও নিজস্ব


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
১৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×