জৈনক তরুণী একদা ফ্লেক্সিলোডের দোকানে গেলো তাঁহার মোবাইলে কিছু টাকা ফ্লেক্সির জন্য। তাঁহার পাশে এক চায়ের দোকানে বসিয়া লুল সম্প্রদাএর একজন লুল বসিয়া বসিয়া চা পান করিতেছিল এবং ম্যাস এর কাঠি দিয়া তাঁহার ফাঁকা ফাঁকা দাঁত পরিষ্কার করিতেছিল। মাঝে মাঝে চুপি চুপি সেই তরুণী কে লক্ষ্য করিতেছিল। তরুণী তাঁহার মোবাইল এ ফ্লেক্সি করা মাত্র যত্রতত্র প্রস্থান করিল। অতঃপর রাত ১২ টাই তরুণীর মোবাইল এ ১টি ফোন কল ত্রিং ত্রিং,
তরুণীঃ হ্যালো
লুলঃ হ্যালো
তরুণীঃ কে বলছেন?
লুলঃ আমি জিসান, জয়া আছে?
তরুণীঃ জী না, রং নাম্বার।
লুলঃ আচ্ছা, আপু এইটা কোন জাইগা?
তরুণীঃ কোন জাইগা মানে? আপনে কোথাই ফোন করছেন আপনি নিজে জানেননা ? যোতসব।
অতঃপর তরুণী নাম্বার কাটিয়া দিলো। কিছু সময় পর আবার, ত্রিং ত্রিং,
তরুণীঃ হ্যালো
লুলঃ হে হে, আপু ফোন টা কেটে দিলেন যে ? টাকা তো আমার খরচ হচ্ছে আপনার এত চিন্তা কেন আমার টাকা বাঁচানোর?
তরুনিঃ আশ্চর্য, আপনি আবার ফোন করছেন? সমস্যা কি আপনার আজব!!!
লুলঃ হে হে, আপু রাগ করেন ক্যান? আপনার সাথে একটু কথা বলবো।
তরুণীঃ কি কথা? আপনি আমার নাম্বার কোথাই পাইছেন? লজ্জা করেনা রাত দুপুর বেলা মেয়েদেরকে ফোন করে ডিস্টার্ব করতে?
লুলঃ না :ডি , ছিঃ আপনার মতো মিষ্টি একজন মেয়ের মুখ থেকে এইরকম কথা শুনতে ভালো লাগেনা। আচ্ছা আপু আপনি কি সিঙ্গেল?
তরুণীঃ ওই হারামজাদা সেইটা জেনে তুই কি করবি? আমি যে বিরক্ত হইতাছি সেইটা কি তুই বুঝতাছস?
লুলঃ উফ, রাগলে আপনার কণ্ঠ টা যা মধুর লাগে না শুনতে, দারুন।
তরুণীঃ আমি এখন ফোন কাটবো। তুই যদি মানুষের বাচ্চা হইয়া থাকস তাইলে আর এই নাম্বারে কোনও ফোন দিবিনা, আর যদি তুই কোনও ফোন দেস তাইলে তুই প্রমান করবি যে তুই আসলে একটা কুত্তার বাচ্চা তাও আবার “গু” খাওয়া কুত্তার বাচ্চা। বুজছস নাকি এখনও বুঝছ নাই কোনটা?
লুলঃ আপু ঠিকি কইছেন আমি ১ টা “গু” খাওয়া কুত্তা, এইবার চলেন আমরা দুই কুত্তা-কুত্তি মিলা ফোনে টাংকি মারি ঃডি।
তরুণীঃ ওই বদমাইশ, তুই কুত্তি কারে কইলি?
লুলঃ আপা অত খেপেন ক্যান? আইচ্ছা জান সহজ কইরা কতা কই। আমি আপনার লগে প্রেম করবার চাই।
তরুণীঃ তোর ভাগ্য ভালো তুই এই মুহূর্তে আমার সামনে নাই, নইলে হাতুড়ী দিয়া বাইরাইয়া তোর সব কইতা দাঁত আমি নীচে ফালাইয়া দিতাম। হারামজাদা ফাইযলামি মাড়াও?
লুলঃ এই যে আপু মুখ কিন্ত আমিও খারাপ করতে পারি, বালা কইরা কতা কন নইলে কিন্ত আমি কেড়া এইডা চিনাইতে বেশীদিন লাগবনা।
তরুনিঃ ওই কি করবি তুই?
লুলঃ আপাতত আফনের লগে প্রেম করবার চাই অন্য কিছু করতে কন নাকি? ডিঃ
তরুণীঃ bloody bust***
অতঃপর সংযোগ বিছিন্ন এবং ছিম চেঞ্জ।
গল্পটি বলার মূল উদ্দেশ্য ছিলও মোবাইল এ টাকা ভরার সময় ফ্লেক্সি না করে কার্ড ব্যাবহার করা উচিত। কারন আমাদের আনাচে কানাচে এই রকম অনেক কুরুচিসম্পন্ন মানুষ থাকে যাদের মূল উদ্দেশ্য হলও মেয়েদের নাম্বার যোগার করে তাদের কে অহেতুক বিরক্ত করা, সুতরাং সাবধান থাকবেন।