গল্পের টাইটেল পড়েই বুঝতে পারছেন আজকের গল্পটা একটু বিব্রতকর। আজকে আমি আপনাদের সাথে তিনটি গল্প শেয়ার করবো। গল্পগুলো মজার কিন্তু কিঞ্চিৎ বিব্রতকর। যাই হোক শুরু করা যাক_
প্রথম গল্পঃ
তখন আমি ইন্টার পরীক্ষার পর প্রাইমেটে কোচিং করতাম। তো একদিন আমাদের স্যার আমাদের কে তার জীবনের ১ টা গল্প শুনালো। গল্পটা ছিল এরকম,
একদিন স্যার আর তার ওয়াইফ স্যার এর বন্ধুর ছেলের জন্মদিনে গিয়েছে। তো স্যার খেয়াল করলো যে পার্টিতে এক কোণে একটা পিচ্চি চুপ করে বসে আছে। স্যার ওর কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো , বাবু তুমার নাম কি? পিচ্চি বাচ্চাটি কোন জবাব দিলনা। স্যার আবারো জিজ্ঞেস করলো, বাবু তুমার নাম কি? কিন্তু এইবারও সে কোন কথা বললনা। স্যার ভীষণ রেগে গিয়ে আবার বলল, এই পিচ্চি নাম কি তুমার? এরপর যা হবার তাই হল, পিচ্চিটি চিৎকার করে বলে উঠলো, “কুত্তার বাচ্চা তোর নাম কি?”
অতঃপর সারা ঘর নিস্তব্ধ সবাই একবার পিচ্চি টা কে দেখছে আর একবার স্যার কে দেখছে। স্যার আমাদের বলল তার নাকি তখন মনে হচ্ছিলো ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে। এই জন্য স্যার আমাদের কে সব সময় বলত,
“be aware of children”
কাজের কথা।
দ্বিতীয় গল্পঃ
এটা এক বড় ভাইয়ের গল্প, রেগিং বিষয়ক। তিনি মাওলানা ভাসানিতে চাঞ্চস পেয়েছিলেন। তো ক্লাসের প্রথম দিন সিনিয়ররা তাকে বলে, “তোর পিছনে যে খাম্বা টা আছে ওইটার মধ্যে দেখ নায়ক সাকিব খান আর নায়িকা শাবনুর এর পোস্টার লাগানো। তোর কাজ হচ্ছে আমাদের সবার সামনে তোকে ওই পোস্টারের চুমু খেতে হবে নইলে তোর খবর আছে।“
অবশেষে সেই ভাইয়াকে সবার সামনে সাকিব খানের ওই পোস্টারে চুমু খেতে হই। মান সম্মান সবার সামনে গেলো আরকি।
শেষ গল্পঃ
এটি হচ্ছে আমার শেষ গল্প আর গল্পটি হচ্ছে এই অধম আমার। একদিন সব বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম দেখা করবো। তো যেই কথা সেই কাজ। দেখা করার দিন আমি একটা নতুন ড্রেস পরেছিলাম আর বেশ সাজগোজ করে বেরিয়েছিলাম। ওই দিন বেশ ভাবে ছিলাম আরকি। যাইহোক গন্তব্যে পোঁছানোর পর রিক্সাওয়ালাকে টাকা দিয়ে নামার সময় কি হলও জানিনা, আচমকা পা পিছলে আমি পাশের ময়লার স্তুপের উপর পরে যাই। আর আশেপাশের সবাই আমার এই কাজে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। আমি নিজেও হতবাক এটা কি হলো? সেদিন অন্য রিক্সা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসি।
কেউ একটা কথা বলেছিল, “Life is full of surprise” এর পরের মুহূর্তে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে আপনি নিজেও তা জানেন না।