বিদায়ের শেষ মুহূর্তে মন্ত্রী-আমলারা দুনর্ীতির কোন নথি বা প্রমাণপত্র রেখে যেতে চাইছেন না। এ সংক্রান- ফাইলপত্র আগেই গায়েব করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু ফাইল কাটাকাটি কিংবা নোটশিট পরিবর্তন করে পূর্বের সিদ্ধান- সরিয়ে ফেলা হয়। কিন' এতকিছু করেও যেসব অনিয়ম-দুনর্ীতি কোনভাবেই আড়াল করা যাচ্ছিল না, সেসব নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান- নেয়া হয়েছে। রোববার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল বিদায় নেয়ার দু'ঘণ্টা আগে নথি পোড়ানো হয়।
সকাল 10টায় যুব ও ক্রীড়া দফতরের সামনে বাথরুমের মধ্যে এ ধরনের কিছু গোপনীয় নথিপত্র জড়ো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। প্রতিমন্ত্রীর পিএস কাওসারের নির্দেশে প্রতিমন্ত্রী দফতরের দু'জন পিয়ন নথিতে আগুন দেয়। হঠাৎ আগুন দেখে মন্ত্রণালয়ের অনেকে ভীতসন্ত্রস- হয়ে পড়েন। বাথরুমের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বেরুতে শুরু করলে বাইরে থেকেও অনেকে আগুন ধরেছে বলে ছুটে আসেন। এ সময় জানালা বন্ধ করে দেয়া হলে মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ধোঁয়ার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। তবে এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী দফতরের কেউ কথা বলতে চাননি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত ঘোষিত ফাইল পোড়ানোর জন্য নিয়ম-কানুন রয়েছে। নিয়মানুযায়ী মন্ত্রণালয়ের সচিবের সিদ্ধান- সাপেক্ষে তালিকা করে লিখিতভাবে নথি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে। এরপর তা সচিবালয়ের নির্ধারিত চুল্লীতে পোড়ানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের কাছে হস-ান-র করতে হবে। কিন' এভাবে মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ফাইল পোড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



