27 অক্টোবর গভীর রাতে বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানের বাসায় এক গোপন বৈঠক করেন সালমান রহমান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতের সাজানো প্রশাসনের অধীনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নেয়ার সর্বাত্দক চেষ্টা করার সিদ্ধানত্দ হয়। সিদ্ধানত্দের আলোকে আইএসআইয়ের এজেন্ট সালমান চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরে তারেক রহমানের পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন শেখ হেলাল। বিপুল অর্থের বিনিময়ে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়_ যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে কাজী জাফর উল্লাহ, সালমান এফ রহমান, শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল প্রথমে শেখ হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে_ বিরাজমান অবস্থায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে গেলে বিএনপি জামায়াত কোনোক্রমেই 80টির বেশি আসন পাবে না। এতে কাজ না হওয়ায় শেখ হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে_ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিরোধীদলীয় নেতাও থাকা যাবে না। নেমে আসবে নির্যাতন। অথচ বাসত্দবতা হচ্ছে, বিএনপির সাজানো বাগানে ইয়াজউদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের জন্য হবে আত্দহত্যার শামিল।
এছাড়া বর্তমান অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বিবেচনা করেই চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। অথচ সালমান এফ রহমানের কর্মচারী মাহবুবুল আলম পদত্যাগ না করে তারই নির্দেশে উল্টো তাদের পদত্যাগ ঠেকাতে শেষ মুহূর্ত পর্যনত্দ চেষ্টা করেছেন।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সকল প্রেসিডিয়াম সদস্য, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সকল অঙ্গ সংগঠন, সকল শরিক দলসহ স্বাধীনতার পক্ষশক্তি বিএনপি-জামায়াতের সাজানো বাগানে অংশ নেয়ার ঘোর বিরোধী। এ লিফলেট কারা প্রকাশ করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:৫২