somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরীয়তের দৃষ্টিতে রোজা ভঙ্গের কারণ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা (১ম অংশ)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে ইঞ্জেকশন নেওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। কেননা বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইঞ্জেকশনের ভূমিকা অপরিসীম, বিশেষ করে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত ইঞ্জেকশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নেওয়া, না নেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। কিছু সংখ্যক নামধারী মাওলানা ইঞ্জেকশনের কার্যকারিতা সম্পর্কে অজ্ঞতা হেতু বিভ্রান্তিমূলক ফতওয়া দিয়েছে যে, রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়না। অথচ ইসলামী শরীয়তের উসুল মোতাবেক যা সম্পূর্ণ ভূল। অর্থাৎ রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হবে।

হাদীস শরীফ মোতাবেক শরীয়তের সাধারণ উসুল হলো “শরীরের ভিতর থেকে কোন কিছু বের হলে ওযূ ভঙ্গ হয় এবং বাইর থেকে কোন কিছু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়।” রোজার ব্যাপারে ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি–এর যে উসুল, অর্থাৎ “বাইরে থেকে রোজাবস্থায় যে কোন প্রকারে বা পদ্ধতিতে শরীরের ভিতর কিছু প্রবেশ করলে, যদি তা পাকস্থলী অথবা মগজে প্রবেশ করে, তবে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।” এই উসুলের উপরেই ফতওয়া এবং অন্যান্য ইমাম-মুজতাহিদ্গণও এ ব্যাপারে একমত যে, যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, ওষুধ মগজ অথবা পাকস্থলীতে পৌঁছায়, তবে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে, অর্থাৎ ওষুধ ইত্যাদি মগজ পর্যন্ত পৌঁছানো শর্ত।

যে কোন প্রকারের বা পদ্ধতিতেই ইঞ্জেকশন নেওয়া হোক না কেন, ইঞ্জেকশনের ওষুধ কিছু সময়ের মধ্যে রক্তস্রোতে মিশে যায় ও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তের মাধ্যমে তা কয়েক মিনিটের মধ্যে মগজে পৌঁছে যায়। কেননা রক্ত এমন একটি মাধ্যম, যার সাথে সরাসরি শরীরের প্রত্যেকটি কোষ (Cell) ও কলা (Tissue)-এর সংযোগ রয়েছে।

ইঞ্জেকশনের আহ্‌কামঃ হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

“আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতদিন তোমরা এ দু’টিকে আকড়ে ধরে রাখবে, (অর্থাৎ মেনে চলবে) ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট বা গোমরাহ্ হবে না। একটি হল আল্লাহ পাক-এর কিতাব, অপরটি হল আমার সুন্নাহ।” (মুসলিম শরীফ)

অতএব, আমাদেরকে কোনকিছু করতে হলে, বলতে হলে, তা কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের ভিত্তিতেই করতে হবে। তবে কোন বিষয়ে যদি কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া না যায়, তখন সেক্ষেত্রে কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করার আদেশ শরীয়তে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এসেছে, আল্লাহ পাকের হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়ালাহু তায়ালা আনহুকে ইয়মেনের গভর্নর করে পাঠনোর সময় বলেছিলেন,
“হে মুয়ায রদ্বিয়ালাহু তায়ালা আনহু! তোমার নিকট কোন মুকাদ্দমা আসলে তা কিভাবে ফায়সালা করবে? জবাবে হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়ালাহু তায়ালা আনহু বললেন, আল্লাহ পাকের কিতাবের দ্বারা। যদি তাতে না পাও তাহলে? আল্লাহ পাকের হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ দ্বারা। অতঃপর জিজ্ঞেস করলেন, যদি তাতেও না পাও তাহলে? আমি কুরআন ও সুন্নাহ্-র ভিত্তিতে ইজতিহাদ করে রায় দেব। এ উত্তর শুনে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সমস্ত প্রসংশা ঐ আল্লাহ পাকের, যিনি তাঁর রসূলের দূতকে এ যোগ্যতা দান করেছেন, যাতে তাঁর রসূল সন্তুষ্ট হন।” (মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)

আর আল্লাহ পাক কালামে পাক-এ ইরশাদ করেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমারা আল্লাহ পাকেরের ইতায়াত করো (অনুসরণ করো) এবং আল্লাহ পাকের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর (আদেশ দাতা) রয়েছে তাঁদের ইতায়াত করো।” (সূরা নিসা ৫৯)

এখানে “উলিল আমর” বলতে ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং “উলিল আমর” যেমন ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবেন, তদ্রুপ ইজতিহাদের দরজাও ক্বিয়ামত পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর ইজমা-ক্বিয়াস এই ইজতিহাদেরই অন্তর্ভূক্ত। অতএব, পৃথিবীতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত নতুন সমস্যারই উদ্ভব হোক না কেন, তার ফায়সালা অবশ্যই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে করতে হবে।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, আমরা শরীরের রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করে থাকি, তার মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হল- ইঞ্জেকশন। এ ইঞ্জেকশন বর্তমান আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক বিশেষ পদ্ধতি, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে ইসলামের ৫টি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো- রমজান মাসের রোজা, যেটা উম্মতে মুহম্মদীর জন্য ফরযে আইন করা হয়েছে। এটার অস্বীকারকারী কাফির আর তরক করলে কবীরা গুণাহ হবে। অতএব উক্ত ফরয রোজাগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে হবে আর সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই তার মাসয়ালা-মাসায়িলগুলো জানতে হবে। অর্থাৎ কি করলে রোজা ভঙ্গ হয়, আর কি করলে রোজা ভঙ্গ হয় না, এ সম্পর্কিত ইল্‌ম (জ্ঞান) অর্জন করাও ফরয। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
“প্রত্যেক মুসলমানের (নর-নারী) জন্য ইল্‌ম অর্জন করা ফরয।” (ইবনে মাজাহ, বায়হাক্বী)

অতএব শরীয়ত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের প্রয়োজনীয় ইল্‌ম অর্জন করা যেমন ফরয তদ্রুপ রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা এ সম্পর্কিত ইল্‌ম অর্জন করাও ফরয। সুতরাং যারা না জেনে রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিবে, তারা এ সম্পর্কিত ইল্‌ম অর্জন না করার কারণে ফরয তরকের গুণাহে গুণাগার হবে।

মূলতঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ইমাম, মুজতাহিদ্গণ তাঁদের ফিক্বাহের কিতাবসমূহে রোজা ভঙ্গ হওয়া, না হওয়ার কারণসমূহ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। তবে সম্প্রতি যে বিষয়টি নিয়ে মুসলিম উম্মাহ বেশী সমস্যার সম্মুখীন, তা হলো- রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা। পূর্ববর্তী ইমাম, মুজতাহিদ্গণের সময় যেহেতু ইঞ্জেকশনের ব্যবহার ছিলনা, তাই উনারা ইঞ্জেকশন সম্পর্কে কোন আলোচনা করেননি। তবে রোজা ভঙ্গ হওয়া, না হওয়ার কারণ বা উসুলসমূহ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে কি হবেনা। হাদীস শরীফ, ফিক্বাহ্‌-এর কিতাবে বর্ণিত উসুল ও বর্তমান আধুনিক বিশ্বের উন্নততর চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভালভাবে তাহক্বীক বা গবেষণা করার পর এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ইঞ্জেকশন সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কিছু আলোচনা করা হলো-

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ইঞ্জেকশনঃ রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে (বিভিন্ন Dosage Form-এ) ওষুধ সেবন করি। বিভিন্ন Dosage Form- বলতে বোঝায় ওষুধ গ্রহণের যত রকম পদ্ধতি আছে, যেমন- ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সাসপেনশন, সিরাপ, ইঞ্জেকশন ইত্যাদি। ইঞ্জেকশন হচ্ছে সেই Dosage Form-এর একটি পদ্ধতি। ইঞ্জেকশন পদ্ধতিটি মূলতঃ প্যারেন্ট্যারাল (Parenteral) পদ্ধতির একটি অংশ। প্যারেন্ট্যারাল পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়- প্যারেন্ট্যারাল পদ্ধতিটি হচ্ছে সে পদ্ধতি, যেখানে এক বা বেশী সংখ্যক শরীরের ত্বকের স্তর বা মিউকাস মেমব্রেনের স্তরের মধ্য দিয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হয়।
ইঞ্জেকশনকে ৫টি সাধারণ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-

(১) দ্রবণ জাতীয় ইঞ্জেকশন,
(২) শুষ্ক দ্রব্য, কিন্তু শরীরে ইঞ্জেকশন পদ্ধতিতে দেয়ার পূর্বে কোন দ্রবণে দ্রবীভূত করে নেয়া যায়,
(৩) সাসপেনশন জাতীয়,
(৪) শুষ্ক, অদ্রবণীয় দ্রব্য কিন্তু কোন মাধ্যমে মিশিয়ে দেয়া হয়,
(৫) ইমালশন জাতীয়।

এই ৫ প্রকার ইঞ্জেকশন আবার বিভিন্ন পথে শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং কোন্‌ পথে ইঞ্জেকশন দেয়া হবে, তা নির্ভর করে সাধারণতঃ ওষুধের গুণাগুনের উপর। যেমন- সাসপেনশন জাতীয় ইঞ্জেকশন সরাসরি রক্তে দেয়া হয় না, কেননা বড় বড় দানা রক্ত জালিকা বন্ধ করে দিতে পারে। আবার সলিউশন জাতীয় ইঞ্জেকশন ত্বকের স্তর দিয়ে দিতে হলে Tonicity adjustment খুব গুরুত্বপূর্ণ, নতুবা ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। সে কারণেই ইঞ্জেকশন আবার বিভিন্ন পদ্ধতিতে দেয়া হয়। এর মধ্যে নিচের মাধ্যমগুলো উল্লেখযোগ্য-

(১) Intravenous (ইন্ট্রাভেনাস)
(২) Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস)
(৩) Intradermal (ইন্ট্রাডার্মাল)
(৪) Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার)
(৫) Intrathecal ((ইন্ট্রাথিকাল)
(৬) Intra areterial (ইন্ট্রা আরটারিয়াল)

Intravenous (ইন্ট্রাভেনাস)– এ পদ্ধতিতে শিরার মাধ্যমে রক্তে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে যায়।
Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস)- শরীরে ত্বকের এবং মিউকাস মেমব্রেনের এক বা একাধিক স্তরের মধ্য দিয়ে এ পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং ওষুধ রক্তে মিশে যায়।
Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার)-এ পদ্ধতিতে ওষুধ শরীরের পেশীসমূহের মধ্যে প্রয়োগ করা হয় এবং কিছু সময় পর ওষুধ রক্ত স্রোতে গিয়ে মিশে।
Intrathecal ((ইন্ট্রাথিকাল)- অনেক সময় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রয়োগ করলে বিলম্বে পৌঁছায় আর সে কারণে এখন এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ওষুধ সহজেই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায়।

এটা সহজেই বোঝা যায় যে, ইঞ্জেকশনের যে কোন পদ্ধতিতেই শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হোক না কেন শরীরে ওষুধ শোষনের কিছু সময় পরেই রক্ত স্রোতের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ওষুধ মূলতঃ রক্ত স্রোতের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে, কেননা রক্তকে বলা হয় সংযোগ কলা। রক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়- রক্ত হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে খাদ্য, অক্সিজেন, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান কলাসমূহে পৌঁছে এবং বর্জ্য দ্রব্যসমূহ বহন করে নিয়ে আসে। এটা এক ধরণের সংযোগ কলা। সুতরাং রক্ত স্রোতে পৌঁছে ওষুধ শরীরের সর্বাংশে ছড়ায় অর্থাৎ মগজে পৌঁছে।

Brain (মগজ)- আমাদের মগজের উপর আছে ৩টি পর্দা-
(১) Dura Mater (ডুরা মিটার)
(২) Arachnoid (এরাকনয়েড)
(৩) Pia Meter (পায়া মিটার)

ডুরা মিটারের গঠন একটু পুরু এবং পায়া মিটার অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি পর্দা, যা কিনা মগজকে ঢেকে আছে। আর এ দুয়ের মাঝামাঝি হলো এরাকনয়েড। রক্তনালী এ ৩টি পর্দা পার হয়ে মগজে পৌঁছেছে এবং জালিকার মতো মগজের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে আছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ইঞ্জেকশন সাধারণতঃ দু’ধরণের হয়ে থাকে- (১) ওষুধ ভিত্তিক ও (২) খাদ্য ভিত্তিক ইঞ্জেকশন, উভয়টির একই হুকুম।

এ পর্যন্ত আলোচনায় আমরা ধারণা পেলাম যে, যত প্রকারের ইঞ্জেকশন হোক না কেন, তা এক সময় রক্ত স্রোতে মিশবে এবং মগজে পৌঁছাবে। অতএব, চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যবহুল আলোচনার দ্বারা স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে, ইঞ্জেকশন ইত্যাদি মগজে পৌঁছে। সুতরাং রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কারণ ফিক্বাহ-এর কিতাবে উল্লেখ রয়েছে যে,
“যা নাক, কান, পায়খানার রাস্তা ইত্যাদি দ্বারা মগজ অথবা পেটে পৌঁছবে, তাতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।” (বাদায়ে)

এ প্রসঙ্গে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয় যে,
“কান, নাক ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছা সকলের নিকটেই রোজা ভঙ্গের কারণ।” (খোলাসাতুল ফতওয়া) অনুরূপ হিদায়া, আইনুল হিদায়া, মাবসূত, বাহ্‌রুর রায়িক, রদ্দুল মুহ্‌তারে উল্লেখ আছে।

উপরোক্ত কিতাবসমূহে যদিও ওষুধ ইত্যাদি মূল রাস্তা অর্থাৎ নাক, কান, মুখ ইত্যাদি দিয়ে মগজ অথবা পেটে পৌঁছার কথা বলা হয়েছে কিন্তু ইমামগণের নিকট মূল রাস্তা শর্ত নয়, যেমন এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
“হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রোজা ভঙ্গের কারণ হলো- রোজা ভঙ্গকারী কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করা। সুতরাং পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য, মূল রাস্তা নয়।”(মাবসূত)

আর ফতহুল ক্বাদীর ২য় জিলদ্‌ ২৬৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে,
“হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য।”

অতএব, মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক অথবা মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য কোন স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
রোজা ভঙ্গের ব্যাপারে ফিক্বাহ্‌র কোন কিতাবেই মূল রাস্তাকে শর্ত করা হয় নি অর্থাৎ কোথাও এ কথা বলা হয় নি যে, রোজা ভঙ্গ হওয়ার জন্য ওষুধ ইত্যাদি মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা শর্ত।


আর সাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি মূল রাস্তাকে গ্রহণ করেছেন, তবে উনারা মূল রাস্তাকে এ জন্যই গ্রহণ করেছেন যে, মূল রাস্তা দিয়ে ওষুধ ইত্যাদি পেটে অথবা মগজে পৌঁছার ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে না কিন্তু অন্য স্থান দিয়ে প্রবেশ করলে তাতে সন্দেহ থেকে যায়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
“মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য কোন স্থান দিয়ে যদি কোন কিছু প্রবেশ করানো হয়, আর তা যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে সাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মতে রোজা ভঙ্গ হবে না। উনারা দু’জন মূল রাস্তাকে গ্রহণ করেছেন, কেননা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা বিশ্বাসযোগ্য, আর অন্য স্থান দিয়ে প্রবেশ করা সন্দেহযুক্ত। সুতরাং আমরা সন্দেহের উপর ভিত্তি করে রোজা ভঙ্গের আদেশ দিতে পারি না।” (বাদায়ি, অনূরূপ ফতহুল ক্বাদীর)

এ প্রসঙ্গে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয় যে,
“যখন জানা যাবে যে, শুকনা ওষুধ মগজ অথবা পেটে পৌঁছেছে, তবে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, ভিজা ওষুধ মগজ অথবা পেটে পৌঁছেনি, তবে রোজা ভঙ্গ হবে না। অনূরূপ এনায়াতে উল্লেখ আছে। আর যদি পৌঁছালো কি পৌঁছালো না কোনটিই জানা না যায়, আর এমতবস্থায় ওষুধ যদি ভিজা হয়, তবে ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহির মতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কারণ, স্বভাবতঃ ভিজা ওষুধ পৌঁছে থাকে। আর সাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- (ওষুধ মগজে পৌঁছালো কি পৌঁছালো না) এটা নিশ্চিতভাবে না জানার কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না। কেননা সন্দেহের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়না। আর যদি ওষুধ শুকনা হয় এবং যদি জানা না যায় যে, পৌঁছালো কি পৌঁছালোনা, তবে কারো মতেই রোজা ভঙ্গ হবেনা। অনূরূপ ফতহুল ক্বাদীরে উল্লেখ আছে।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ১ম জিলদ্‌ পৃষ্ঠা-২০৪)

ফতওয়ায়ে হিন্দীয়াতে এ বিষয়টা আরো সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন বলা হয়-
“ওষুধ মগজে অথবা পেটে পৌঁছাটাই মূলতঃ গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ রোজা ভঙ্গের কারণ। ওষুধ শুকনা বা ভিজা হওয়া নয়।”

উপরোক্ত কিতাবসমূহের বক্তব্য দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, ওষুধ ইত্যাদি মূল রাস্তা ব্যতীত অন্যস্থান দিয়ে পৌঁছার ব্যাপারে ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাথে সাহেবাইনের মূলতঃ কোন মতভেদ নেই। অর্থাৎ তাঁদের সকলের মতেই যদি নিশ্চিত জানা যায় যে, ওষুধ ইত্যাদি মগজ বা পেটে পৌঁছেছে এবং ওষুধ ইত্যাদি মগজে পৌঁছার ব্যাপারে যদি কোন সন্দেহ না থাকে, তবে ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ন্যায়, সাহেবাইনের মতেও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক বা অন্য স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন। অতএব, ইঞ্জেকশনের দ্বারা ব্যবহৃত ওষুধের ব্যাপারে যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে যে, তা নিশ্চিত মগজে পৌঁছে, সেহেতু সকলের ঐক্যমতে রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যদিও তা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেনি। অতএব, মূলরাস্তা শর্ত নয়, শর্ত হলো মগজ বা পেটে পৌঁছা।

উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, রোজা ভঙ্গকারী কোন কিছু যেমন ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছালে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ফিক্বাহ্‌বিদ্গণের নিকট রোজা ভঙ্গ হওয়ার জন্য ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছা শর্ত। আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বক্তব্যের দ্বারা যেহেতু স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে, ইঞ্জেকশন মগজে পৌঁছে যায়, সেহেতু ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

আর লোমকুপ, অন্যান্য জখম বা ত্বকের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য রাস্তা দিয়েও যে ওষুধ অর্থাৎ মলম, মালিশ ইত্যাদি রক্তে পৌঁছে, তা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আলোচনা করা হলো-

মলমের বর্ণনাঃ এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ- ফার্মাসিউটিক্যাল সেমিসলিড প্রিপারেশনস সমূহের মধ্যে রয়েছে, মলম (Ointment), পেষ্ট (Paste), ক্রীম (Cream), ইমালশান (Emulsion), জেল (Gel) ইত্যাদি। এ সবগুলোর মাধ্যমেই ত্বকে ওষুধ প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে খুব অল্পসংখ্যক মাধ্যম দ্বারা (Topical Semisolid Dosage Forms) মিউকাস মেমব্রেনে যেমনঃ রেকটাল টিস্যু (Rectal Tissue),বাক্কাল টিস্যু (Buccal Tissue),ইউরিথ্রাল মেমব্রেন (Urethral Membrane), কানের বাইরের ত্বক (External Ear Lining), নাকের মিউকোসাতে (Nasal Mucosa) এবং চোখের কর্ণিয়াতে (Cornia) ওষুধ দেয়া হয়। মিউকাস মেমব্রেনে ওষুধ প্রবেশ করলে, তা রক্তে ছড়িয়ে যায় কিন্তু শরীরের সাধারণ ত্বক তুলনামূলকভাবে মিউকাস মেমব্রেনের চেয়ে কম ওষুধ প্রবেশের যোগ্যতা রাখে।

ত্বকের মধ্য দিয়ে ওষুধের প্রবেশ পথটি বর্ণনার পূর্বে আমরা ত্বক নিয়ে আলোচনা করব। এনাটমী অনুযায়ী ত্বকের প্রধানতঃ ৩টি স্তর।

১। বহিঃত্বক (Epidermis)
২। অন্তঃত্বক (Dermis)
৩। ত্বকের চর্বির স্তর (Subcutaneous Fat Layer)

এদের মধ্যে সবচেয়ে বাইরের অংশটিকে বলা হয় ষ্ট্রেটাম কর্নিয়াম অথবা হর্ণি স্তর (Stratum Corneum or Horny Layer)। ষ্ট্রেটাম কর্নিয়ামের নীচে বহিঃত্বক এবং বহিঃত্বকের নীচে রয়েছে অন্তঃত্বক কোরিয়াম (Corium)।
জানা গেছে যদি ত্বকে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং তা কোনভাবে ষ্ট্রেটাম কর্নিয়াম ভেদ করে, তবে পরবর্তীতে বহিঃত্বকীয় এবং কোরিয়াম স্তর ভেদ করে যেতে উল্লেখযোগ্য কোন বাধা নেই এবং সহজেই ক্যাপিলারির মাধ্যমে রক্ত স্রোতে মেশে।

ত্বকের মধ্য দিয়ে ওষুধ প্রবেশের ব্যাপারে Biopharmaceutics–এ বলা হয়েছে-
সাধারণতঃ ত্বকের মধ্য দিয়ে এবং আরো কয়েকটি মাধ্যম দিয়ে রক্তে ওষুধের শোষণ ঘটে বায়োলজিক মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে নিস্ক্রিয় ব্যাপন (Passive Diffusion) দ্বারা এবং এ সকল মেমব্রেনসমূহ লিপয়ডাল প্রতিবন্ধকতা (অর্থাৎ চর্বি জাতীয় স্তর) তৈরী করা, যা শরীরের ভিতরের অংশ থেকে বাইরের অংশকে পৃথক করে।

বায়োলজিক মেমব্রেন সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে-
বায়োলজিক মেমব্রেন হচ্ছে চর্বি জাতীয় এবং যার মধ্য দিয়ে চর্বিদ্রাব্য ওষুধ প্রবাহিত করা হয়। এবং এ সকল মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে এবং একটি ওষুধের চর্বিদ্রাব্যতা নির্ধারিত হয় সাধারণত ওষুধের অণুর মধ্যে নন-পোলার গ্রুপের উপস্থিতির উপর এবং পাশাপাশি যেগুলো আয়নিক অবস্থায় ভেঙ্গে যায় এবং pH দ্বারা প্রভাবিত হয় তার উপর। সুতরাং এ পর্যন্ত যে ধারণা পাওয়া গেল তা হচ্ছে-
(১) সেমিসলিড প্রিপারেশনসমূহের মধ্যে যেমন, মলম, ক্রীম, জেল (Gel) ইত্যাদি শরীরে প্রয়োগ করলেই তা শরীরে শোষিত হবেনা। কেননা কোল্ড ক্রীম, ভেনিসিং ক্রীম এগুলোও টপিক্যালি ব্যবহৃত হয় এবং সেমিসলিড প্রিপারেশন।
(২) রক্তে শোষণের জন্য প্রয়োজন জায়গা নির্বাচন করা যেমন রেকটাল টিস্যু, বাক্কাল টিস্যু ইত্যাদি।
(৩) ওষুধের গুণাগুণের উপর শোষণ নির্ভরশীল, অর্থাৎ ত্বকে চর্বিদ্রাব্য ওষুধ প্রয়োগ করলে বেশী মাত্রায় শোষিত হয়। কেননা বায়োলজিক মেমব্রেন দিয়ে সহজেই প্রবেশ করে।

শরীয়তের দৃষ্টিতে রোজা ভঙ্গের কারণ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা (২য় অংশ)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×