somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-১ (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যারা আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় শহীদ হয়েছেন তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। অথচ তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছো না।” (সূরা বাক্বারা/১৫৪)
আর ওলীআল্লাহগণের শানেও বলা হয়েছে, “ওলীআল্লাহগণ মৃত্যুবরণ করেন না। বরং তারা অস্থায়ী জগৎ থেকে স্থায়ী জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” (মিরকাত ৩য় খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা)। এছাড়া সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণও স্বীয় রওযা মুবারকে জীবিত রয়েছেন। যেমন কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুসা আলাইহিস্‌ সালামকে উনার রওজা মুবারকে নামাযরত অবস্থায় দাঁড়ানো দেখেছেন। অনুরূপভাবে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্‌ সালামকে দেখেছেন।” (মিরকাত ৩ জিলদ ২৪১ পৃষ্ঠা)
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণ স্বীয় রওযা শরীফ-এ জীবিত থাকেন। উনারা রওযা শরীফ-এ নামাযও আদায় করেন।” (তারিখে ইস্পাহান ২/৮৩, ফয়জুল ক্বাদীর ৩/১৮৪, আবু ইয়ালা, দায়লামী শরীফ/৪০৪)
শুধু তাই নয়, বরং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণই স্বীয় রওযা শরীফ-এ অবস্থান করে আল্লাহ পাক-এর ইবাদত-বন্দিগীতে মশগুল রয়েছেন এবং রিযিকও পাচ্ছেন। যেমন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “আল্লাহ পাক-এর নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণ স্বীয় রওজা মুবারকে জীবিত রয়েছেন এবং উনারা খাদ্যও খেয়ে থাকেন।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত, মিরকাত/৩খণ্ড, ২৪১)। অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আউস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক যমীনের জন্য নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণের শরীর মুবারককে ভক্ষণ করা (নষ্ট করা) হারাম করে দিয়েছেন।” (আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, ইবনু হিব্বান, মুস্তাদরাকে হাকিম, কানযুল উম্মাল, মিরকাত)
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা মুবারকের নিকট এসে আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করে আমি অবশ্যই তার দুরূদ শরীফ শুনতে পাই।” (বায়হাক্বী, মিশকাত/৮৭) অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “হে আমার ছাহাবীগণ! হে আমার উম্মতগণ!! তোমারা আমার প্রতি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দুরূদ শরীফ পাঠ করো। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সেই দুরূদ শরীফ বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি হাক্বীক্বীভাবে বিনা মধ্যস্থতায় তা শুনতে পাই।” (মিরকাত ২য় খণ্ড, ৩৪৭ পৃষ্ঠা)। কিতাবে আরো উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রওযা মুবারকে জীবিত অবস্থায় আছেন।” (মিরকাত/২/২২৩)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ওলীআল্লাহগণসহ শুহাদায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ এবং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণ স্বীয় মাযার শরীফ বা রওযা শরীফ-এ জীবিত রয়েছেন। আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি হায়াতুন নবী। কিয়ামত পর্যন্ত তথা অনন্ত কাল পর্যন্ত উম্মতের অবস্থা তিনি পর্যবেক্ষণ করবেন।
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×