somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহান বিজয় দিবসঃ বর্তমান প্রজন্মের ভাবনা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তিনশত ছিষট্টি দিনে অনেক রক্ত, জীবন আর ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ-বাংলাদেশ। এত অল্প সময়ে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে শুধু এই কারনেই মনে হয় যে, এদেশের তরুন, যুবক, নারী, বৃদ্ধ এককথায় আপামর সকল মানুষ এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার কারনেই সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের আমরা যখন আজকে তৎকালীন সময়ে অবস্থানকারী ব্যক্তি বাবা, মা বা অন্যান্য মুরুব্বিদের নিকট থেকে সংগ্রামের দিনগুলির গল্প শুনি তখন নিজের অজান্তেই ওই সময়ে চলে যাই। বার বার মনে হয় কি সৌভাগ্যই না হতো যদি ওই সময়ে জন্মগ্রহণ করতাম আর মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীনে শরীক হতে পারতাম!
কিন্তু মনে হয় আমাদের এটা অনেক বড় একটা দূর্ভাগ্য যে, এই দেশের স্বাধীনতা নিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বসম্মতিক্রমে কোন ইতিহাস রচিত হয়নি। মুরুব্বিদের কাছে ইতিহাস শুনলে স্বাধীনতার এক স্বাদ আর বই-পুস্তকে পড়লে পাই অন্য স্বাদ। এখন আমরা যারা এই প্রজ¤েœর তারা কোনটা বিশ্বাস করবো? আমাদেরকে যেহেতু ইতিহাস পড়েই সবকিছু জানতে হয় তাই সঠিক ইতিহাস রচনা করা ছিল সময়ে অনিবার্য দাবী। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য যে, যেই সরকার যখন ক্ষমতায় আসে সেই সরকার তাদের মতো করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করেন! আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় তখন তারা বলেন যে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু আর বাকিরা প্রায় সকলেই হয় চর না হয় রাজাকার! এক সময়ে আওয়মীলীগের মন্ত্রী হয়েও একে খন্দকার ’৭১ নিয়ে একটি বই লেখার কারনে তিনি হয়ে গেলেন রাজাকার বা পাকিস্তানের চর! শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়েও তিনি আওয়ামীলীগের কর্মী না হওয়ার কারনে হয়ে গেলেন পাকিস্তানের চর! যিনি এই মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন সেই কর্ণেল ওসমানী কোন রাজনৈতিক দলের নেতা- বা কর্মী না হওয়ার কারনে আজকে সেই নেতাকেও মানুষ ভুলতে বসেছেন।
অন্যদিকে শুধু আওয়ামীলীগ হওয়ার কারনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও নাকি কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন! বঙ্গবীর আব্দুল কাদের ছিদ্দিকী তাঁর “স্বাধীনতা ’৭১” নামক বইয়ে এমনটাই বলেছেন।
আবার বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন আর কাউকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছেন এমন কাউকে স্বীকৃতি দিতে চান না। তারা তখন তাদের নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
এরপর আসি জাতীয় পার্টির কথায়। বর্তমান প্রজন্মের আমরা যারা তারা ইতিহাসে পড়েছি সাবেক রাষ্ট্রপতি (যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বলতে নিষেধ করেছেন) হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের পক্ষেই কাজ করেছেন। পাকিস্তান থেকে যদি কোন সেনা কর্মকর্তা বা সেনা সদস্য মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আসার জন্য চেষ্টা করতেন আর এই চেষ্টার সময়ে যদি কেউ ধরা পড়তেন তাহলে তার কোর্ট মার্শাল করা হতো আর এই কোর্ট মার্শালে যিনি নেতৃত্ব দিতেন তিনি হলেন হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি দেশে ফিরে আসলেন। সেনা প্রধান হলেন। রাষ্ট্রপতি হলেন। কিন্তু আমরা বর্তমান প্রজন্ম তাকে কি হিসেবে দেখবো- মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী না অন্য কিছু?

বর্তমান প্রজন্ম আমরা অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করলাম। কিন্তু ইতিহাস পড়ে আমরা যতটুকু জানতে পারি তা হলো, পাকিস্তানের বাহিনী যখন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলেন তখন কিন্তু তারা বাংলাদেশের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন নি। তারা আত্মসমর্পন করলেন ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে, সেখানে আমাদের উল্লেখযোগ্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি আত্মসমর্পনের সময় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কেউ কেউ বলেন যে, তাঁকে সেখানে উপস্থি থাকতে দেওয়া হয়নি। এই কারনে যা হওয়ার তাই হলো। ইতিহাস হয়ে থাকলো যে, পাকিস্তান তো বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পন করে নাই করেছে ভারতের কাছে, তাই যুদ্ধ হয়েছে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে! আর এই দিনটিকে ভারত সরকারও বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে এবং বলে যে এটা নাকি তাদেরই বিজয় দিবস! এই কথাগুলো বলার সাহস কেউ পেত না যদি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেনারেল আতাউল গণি ওসমানির নিকট আত্মসমর্পন করতেন।
কথায় আছে, কেউ মরে বিল সেচে, কেউ খায় কই। এত এত রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করলেন বাংলাদেশের নারী-পুরুষ আর মাঝখান থেকে ভারত কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশে এসে পেয়ে গেলেন সর্বচ্চ সম্মান। যারা হওয়া ভাতে এসে নুন ছিটিয়ে দিল তাদের কাছে করা হলো আত্মসমর্পন আর যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেন তাদের কাছে আত্মসমর্পন করা তো দূরের কথা আত্মসমর্পনের অনুষ্ঠানে পর্যন্ত ডাকা হলো না!
এই ইতিহাসগুলো কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে আমাদেরকে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করবো কোনটা? আওয়ামীলীগের লেখা ইতিহাসই আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির লেখা ইতিহাস বিএনপিই বিশ্বাস করতে চায় না সেখানে যুদ্ধ না দেখা আমাদের এই প্রজন্ম কিভাবে বিশ্বাস করবে? আর সঠিক ইতিহাস না জানলে আমাদের মধ্যে স্বাধীনতার “চেতনা” বলতে যে বিষয়টা আছে তা আসবে কি করে?
আমরা দেখলাম বিভিন্ন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর উদ্যোগ নিলেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো তারা কেউই সেই তালিকা পূর্ণাঙ্গ করলেন না! আর এই তালিকা করতে গিয়ে কত যে নাটক মঞ্চস্থ হলো তার ইয়ত্তা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে গিয়ে দেখা হয় কে কোন দলের সমর্থক। যদি তাদের মতের সাথে মিল খায় তাহলেই কেবল তাকে সনদ দেওয় হয়। এরপরও কথা আছে। এই তালিকা তৈরী করতে গিয়ে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়েছে কিন্তু মজার বিষয় হলো এই ভুয়াদেরকে আমাদের জানামেত কখনই কোন শাস্তির ব্যবস্থ করা হয় নি, কারন তিনি যে ওই দলের সমর্থক। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করার জন্য যদি ফাঁসি হতে পারে সেখানে ‘মুক্তিযুদ্ধ চোরা’দের কি কোন শাস্তি পাওয়ার অধিকার নেই? আমার তো মনে হয় এই চোরারাই মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। যদি তাই না করবে তাহলে এখন কেন তারা মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চাচ্ছেন? তারা মূলতো তাদের দোষ ঢাকার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করছে বলে মনে হয়।
কিছুদিন আগে এরকম কয়েকজন সচিব ধরা পড়লেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা সেজে দেশ থেকে ফায়দা হাসিলের জন্য চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু বিধি বাম শেষ মুহুর্তে ধরা পড়ে গেলেন। তবে তাদের কিন্তু উল্লেখ করার মতো কোন শাস্তি এই সরকার দেন নাই! কিন্তু কেন এই খাতির? যারা মুক্তিযুদ্ধ না করে মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করছেন তাদের শাস্তি তো রাজাকারদের চেয়ে আরো বেশি হওয়া দরকার ছিল। যদি এই সচিবদেরকে দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তি দেওয়া যেত তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো আর কেউ এই সাহস দেখানোর সুযোগ পেতো না।

আমরা ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পড়েছি, সেখানে দেখেছি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার কারন কি। সেই ঘোষনাপত্রে লেখা আছে,
“যেহেতু আমরা বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কর্তৃক আমাদিগকে প্রদত্ত কর্তৃত্বের মর্যাদা রক্ষার্থে, নিজেদের সমন্বয়ে যথাযথভাবে একটি গণপরিষদরূপে গঠন করিলাম, এবং পারস্পারিক আলোচনা করিয়া, এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণার্থে, সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষনা করিলাম।’’
এখানে আমরা দেখছি যে, মূলতো ৩টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়। এক. সাম্য, দুই. মানবিক মর্যাদা এবং তিন. সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণ। কিন্তু বর্তমানে এই তিনটার কোনটার জন্যই বাংলাদেশে কাজ করা হচ্ছে না বলেই মনে হয়। বাংলাদেশে সাম্যের কোনো অস্তিত্ব নেই। মানবিক মর্যাদা আজ ভুলন্ঠিত আর সামাজিক সুবিচার কাকে বলে তা আমরা জানি না।
মুক্তিযুদ্ধের একজন সাব কমান্ডারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন যেই চেতনা নিয়ে সেই চেতনা এবং বর্তমান অবস্থা এই দুইয়ের মধ্যে আপনি কিভাবে দেখছেন? তিনি খুব সহজে একটা উত্তর দিলেন। তিনি বললেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো হাইজ্যাক হয়ে গেছে!
তার মানে আমরা বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে যেই বক্তব্য শুনি তার সাথে ইশতেহারে প্রকাশ করা চেতনার কোন মিল নেই। কেউ বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করা, কেউ বলেন জাতীয়তাবাদে আবার কেউ বলেন অন্য কিছু, আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা কি? আমরা যদি স্বাধীনতার আগে প্রকাশিত ইশতেহারকে (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা) বিশ্বাস করি তাহলে বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্নজনের কথিত চেতনাকে অবিশ্বাস করতে হয়। কউে কেউ তো আবার এই চেতনা ধারন করতে গিয়ে ইসলামকে দূরে ঠেলে দেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শুনেছি যে, বিজয়ের জন্য তখন প্রায় সবাই রাত জেগে নামাজ আর দিনে রোজা রেখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। তাদের একটাই চাওয়া ছিল- বিজয়। এত এত বিষয়ের মধ্যে তাহলে আমরা এই প্রজন্ম কোনটাকে বিশ্বাস করবো?
সব দিক পর্যালোচনা করে একটা মৌলিক প্রশ্ন মাথায় কিলবিল করে, আর তা হলো, এই স্বাধীন দেশে আমরা কি আমাদের কাঙ্খীত বিজয়ের স্বাদ পাচ্ছি? ডাস্টবিনে খাবারের জন্য কুকুরের সাথে লড়াই করে অনেক আদম সন্তান। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি প্রতিদিন অসংখ্য খুন আর গুমের ঘটনা। যেই মা বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধ সেই মাকে যখন তাঁর ছেলের সামনে ধর্ষিত হতে হয় আর তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যখন এই দেশেরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে খুন হতে হয় তখন বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয় যে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে বাস করছি। যখন সেভেন মার্ডারের প্রধান আসামীকে দেখি দাঁত কেলিয়ে হাসছে আর তাকে এক দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ারও কোন আবেদন নেই অথচ ঘুম থেকে নির্দোষ পিতা-পুত্রকে তুলে রিমান্ডে নেওয়ার নামে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হচ্ছে শুধু মতবিরোধের কারনে তখন সত্যিই বিজয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত মনে করি। পশ্চিম পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানীদেরকে যেভাবে নির্যাতন নিপিড়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত করতো এখন এই দেশেরই কর্তা ব্যক্তিদের কাছেই যদি তেমনটা হতে হয় তাহলে বিজয়ের অর্থ কি দাঁড়ায়?
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন,
‘‘টেলিফোনে আমার সাথে তার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপর, আমার মানুষের বুকের উপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন।”
আমরা বিজয় অর্জন করলাম কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের প্রশ্ন “আমার মানুষের বুকের উপর গুলি করা” কি বন্ধ হয়েছে? “আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে” তাও কি বর্তমানে শাসন ক্ষমতায় থাকা শাসকরা বন্ধ করতে পেরেছেন? তার মানে আমরা আমাদের টার্গেট থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমতাবস্থায় আমাদেরকে একটি শোষনহীন, সুবিচার পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আরো অনেক বেশি বাস্তবিক হতে হবে, স্বাধীনতার ইশতেহারের কথা বার বার স্মরণ করে কাজ করতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সর্বশেষ, জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৯৭৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষনের কিয়দংশ উল্লেখ করে লেখার ইতি টানছি। তিনি সেই ভাষনে বলেছিলেন “ষোলই ডিসেম্বরের সঙ্গে আমাদের অনেক ব্যথা, বেদনা-আনন্দ, গৌরব এবং আশা-আকাঙ্খা জড়িত। এই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় এক লাখ পাকিস্তানী শত্রু আত্মসমর্পন করেছে। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে আরো শক্তিশালী শত্রু, এই শত্রু হলো অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, অশিক্ষা, বেকারী ও দূর্নীতি। এই যুদ্ধের জয় সহজ নয়। অবিরাম এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে এবং একটি সুখী, সুন্দর অভাবমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তবেই হবে আপনাদের সংগ্রাম সফল, আপনাদের শেখ মুজিবের স্বপ্ন ও সাধনার সমাপ্তি।”
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×