somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নপুরী অভিযান - পর্ব ২ ( ছবি সহ!!) ;);) "এটাই কিন্তু শেষ পর্ব।"

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার জীবনের এক মজার ভ্রমণ কাহিনী - (স্বপ্নপুরী অভিযান) - পর্ব ১

_________________
প্রথম পর্বের পরঃ

শেষমেশ বেলা ১১ টার সময় স্বপ্নের স্বপ্নপুরীতে আমাদের বাস পৌঁছল। সবার ভেতরে এতটাই উত্তেজনা কাজ করছিল যে বাস থামার আধাঘন্টা আগে থেকেই আমরা সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হইচই আরম্ভ করে দিলাম। আর বাসটা যখন স্বপ্নপুরীর মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছিল তখন (বাকিদের কথা জানিনা) কিন্তু, আমি আনন্দের চোটে ঠিক কি করব বুঝে উঠতে পারছিলামনা। যাই হোক কাউন্টার এ বাসের ভাড়া মিটিয়ে আমরা স্বপ্নপুরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করলাম। নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিং করার পর হুড়মুড় করে বাস থেকে নেমে সবাই একত্রে দাঁড়িয়ে গ্রুপ ফোটো তোলার হিড়িক পড়ে গেল। ফোটোসেশন সমাপ্ত হলে হাঁড়ি ডেকচি এবং রান্নার আরও বাকি সরঞ্জামাদি বহন করে রান্নার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া হল।

ঠিক এই সময়টিতে আমার সাথে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল, সেটি এখানে উল্লেখ করছি। আগেই বলেছি আমরা ছেলেপুলেরা ভোর ৫ টায় বাসে করে রওনা হয়েছি। আর পৌঁছলাম বেলা ১১ টায়। যেহেতু বাসজার্নি, সুতরাং, এই ৫ ঘন্টা বাথরুম চেপে রাখতে হয়েছে। অবশ্য তারা বাদে, যারা কিনা সকাল ৮ টার যাত্রাবিরতিতে কলাবাগানেই ওই কর্মটি সেরে ফেলেছে। আমি এবং আমার আরও কয়েকজন বন্ধু যারা একটু বেশিমাত্রায় ভদ্র, তারা তখন কষ্ট করে বাথরুম চেপে রেখেছি কিন্তু লজ্জাবশতঃ খোলা জায়গায় কাজটা সারতে পারিনি। তারা এখন দু একটা ফোটো তুলেই দৌড় দিলাম টয়লেটের উদ্দেশ্যে।
টয়লেটের কাছে পৌঁছেই আমার এক বন্ধু বলল যে তার বড় বাথরুম চেপেছে। এবং ওখানকার ৪ টির ভেতর তখন মাত্র ১ টি ফাঁকা। আমার যেহেতু ছোট কাজ তাই আমি আগে সারলাম। কিন্তু মুশকিল হল দোস্ত কে নিয়ে। ও বেচারা নাকি আবার জুতো পড়ে বড় কর্ম সারতে পারেনা। আর আমার পায়ে ছিল সান্ডেল। অগত্যা অদল-বদল করলাম। আরও মজার ব্যাপার হল যে ও তখন ওর গায়ের জামাটাও খুলল। গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি, পরনে প্যান্ট আর পায়ে আমার স্যান্ডেল পড়ে মহা আয়োজন করে বড় বাথরুম করতে গেল। আমিতো এইসব আয়োজন দেখে থ। এতো দেখি পুরাই পাগল। যাই হোক, আমি পাশেই একটা দোকানের বেঞ্চিতে বসে থেকে ওর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম। যাবার আগে ব্যাটা আমাকে বলে গেল সে মিনিট পাঁচেকের ভেতরেই কাজ সেরে ফেলবে।
:P:P
যদিও ৬ ঘন্টা বাসে বসে স্বপ্নপুরিতে পৌঁছনোর অপেক্ষা করার পর এখন আবার এই স্বপ্নপুরীতেই বসে থেকে ঘুরে না বেড়িয়ে একজনের জন্যে অপেক্ষা করাটা আমার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছিল, তবুও কি আর করা? বন্ধু বলে কথা। খালি মনে হচ্ছিল যে, ব্যাটা বসিয়ে রাখার জন্য আর কাউকে পেল না? আশপাশটা ঘুরে বেড়ানোর নেশায় তখন আমি এতই উতলা যে ওই ৫ মিনিটই আমার মনে হল যেন ৫ বছর।
যাই হোক ৫ মিনিটের কথা বলে ৭ মিনিট ছোটঘরের ভেতর কাটিয়ে অবশেষে বন্ধু বেরুল। হাতমুখ ধুয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে দুই জনে হাঁটতে হাঁটতে বাকিদের খোঁজ আরম্ভ করলাম।

প্রথমেই গেলাম রান্নার জন্য নির্দৃষ্ট স্থানে। যেয়ে দেখি চুলোয় রান্না চাপিয়ে দেয়া হয়ে গেছে। কয়েকজন বন্ধু বাবুর্চিদেরকে সাহায্য করছিল। ওখানে রান্নার আয়োজন দেখা শেষ করে আমরা একটু এগিয়ে গিয়ে একটা বাগানের মত জায়গায় প্রবেশ করলাম। ওখানে হাঁটতে হাঁটতে চারপাশের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী মোবাইল ফোনের পিচ্চি ক্যামেরায় বন্দি করতে লাগলাম। একটা ভাস্কর্য দেখলাম সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় সবকিছু একত্রে বানানো হয়েছে। একটা বড় পুকুরের পাড় ধরে কিছুদুর হাঁটার পথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অল্প একটু দূরে এক বাউল দলেরও সাক্ষাত পেলাম। আরে না না জীবিত নয়, সবই ভাস্কর্য।
এভাবে মিনিট সাতেক হাঁটার পর বন্ধুদের একটা বিশাল দলের খোঁজ পেয়ে গেলাম। দেখি একটা দোকানের সামনে বসে ওরা হাল্কা নাস্তা করছে। দেখাদেখিও আমিও কিছু কিনে খাওয়া শুরু করলাম। ইতোমধ্যে এক বন্ধুর কাছে শুনলাম যে ওরা নাকি দল বেঁধে এইমাত্র মৎস্য জগত থেকে বেড়িয়ে এসেছে। শুনে মনটা একটু খারাপই হল। ‘মৎস্য জগত’ জায়গাটার ভেতর জলজ প্রাণীদের অনেক সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য আছে। কয়েকটা জলপরীর ভাস্কর্যও আছে। জায়গাটা নিজের চোখে দেখার শখ ছিল। কিন্তু একা একা ঘুরে তো আর মজা নেই। তাই ওটাকে ‘পরবর্তী আকর্ষণ’ এর খাতায় তুলে রাখলাম।:((
নাস্তার পাট চুকিয়ে আমরা ১০-১২ জনের একটা দল রওনা হলাম পশু দেখার উদ্যেশ্যে। আসলে সেখানে কোন জ্যান্ত পশুই ছিলনা। যা দেখলাম সবই জড় মূর্তি। প্রমাণ সাইজের বাঘ, সিংহ, গন্ডার, জেব্রা, জিরাফ, ডাইনোসর, জলহস্তী এসবের সাথে ছবি তোলার জন্য ধুম পড়ে গেল। পশু দেখা শেষ করে আমরা আশপাশ কিছুটা ঘুরাঘুরি করলাম।

এভাবে ঘন্টা খানেক কেটে গেল। ইতোমধ্যে আমার পেটে ক্ষুধা চাগিয়ে উঠেছে। আর কিছুদুর হাঁটার পর সবাই ‘আদিম যুগের আজব গুহা’ নামক এক জাদুঘরের সামনে হাজির হলাম। জন প্রতি ১০ টাকা করে টিকেট কেটে মাটির নিচের এক বিচিত্র জাদুঘরে প্রবেশ করা হল। সেখানে সেই কোন আদিম যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারা অনুসারে অসংখ্য ভাস্কর্য বানিয়ে রাখা আছে। সেখানেও যথারীতি ফোটোসেশন! মজার ব্যাপার এই যে, ওখানে কিছুটা অশ্লীল দৃশ্য প্রদর্শনকারী কিছু মূর্তি বানানো ছিল, যেগুলো আমার মনে হয়, (অন্যরা কি মনে করেন জানিনা) ওখানে না বানানোই বোধহয় ভাল ছিল, তবে ওগুলো নিয়ে কিন্তু আমাদের ভেতর সেদিন খুব একচোট হাসাহাসি হয়েছিল (আসলে এটাই স্বাভাবিক!)।;);)
যাই হোক ফ্যাকাসে কমলা রঙের আলোয় আলোকিত সেই সত্যিই আজব গুহা থেকে বাহিরে সূর্যের তীব্র আলোয় বের হয়ে এসে হঠাৎ আমার কেন জানি (বোধহয় ক্ষুধার কারনেই) খুব মাথা ঘুরতে লাগল। ওই সময় অন্যরা একটা পুকুরের ওপর দিয়ে ঝোলানো ইলেকট্রিক কেবল ট্রেনে চড়ে হাওয়া খেতে গেল। আর এদিকে আমি এবং আমাদের সাথের আর একজন গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা হাওয়া খেতে লাগলাম। আমার তখন এতই খারাপ লাগছিল যে বন্ধুদের হাজার চাপাচাপিতেও ওদের সাথে গেলাম না। কেননা, ওই কেবল ট্রেনটাতে উঠতে হলে আগে ৩ তলা বেয়ে উঠতে হবে। আর ওই মুহূর্তে আমার ৩ তলার ওপর ওঠার ক্ষমতাই নেই। যা হোক, কিছুক্ষন পর ওরা ফিরে এল। গাছের ছায়ায় আর ঠান্ডা হাওয়ায় আমিও ততক্ষনে অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছি। সবাই ফের ঘুরাঘুরি শুরু করলাম।

হাঁটতে হাঁটতে একটা দোকানে এসে সবাই বসল। বুঝলাম কমবেশি ক্লান্ত সবাই হয়েছে। তো সেখানে আর এক পশলা হালকা নাস্তার আয়োজন হল। তখন বাজে দুপুর ১ টা। নাস্তা সেরে উঠে আমরা ফের হাঁটা আরম্ভ করলাম। খানিক বাদেই এক বিশাল বাগানে নিজেদের আবিষ্কার করলাম। সেখানে এক জায়গায় ছোট্ট একটা কাঠের সাঁকো পেরিয়ে ছোট্ট একটা দ্বীপে সবাই ভিড় করলাম। সাঁকোর দিকে তাকিয়ে তার গায়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলার স্পষ্ট চিহ্ন চোখে পড়ল। কাঠের তক্তাগুলির অনেকগুলোরই বেহাল দশা। কখন যে ভেঙ্গে পড়ে কে জানে। যাই হোক, সেটি পার হওয়ার সময় খুব সতর্ক থাকতে হল। আমরা পৌনে এক ঘণ্টা ওই বাগানে ঘোরাফেরা করলাম। ইতোমধ্যে বন্ধুদের আরও একটা গ্রুপ এর সাথে দেখা হয়ে গেল। সব মিলিয়ে আমরা তখন সেখানে ২৬ জন।

সবাই খুবই ক্লান্ত সুতরাং, একটা ফাঁকা জায়গা দেখে আড্ডা দিতে বসে গেলাম। কথায় কথায় খাওয়ার কথা উঠল। ঘড়িতে দেখি ২ টা বাজে। এক বন্ধু জানাল যে রান্না শেষ। শোনামাত্র আমরা কয়েকজন প্রস্তাব দিলাম যে এখনই খেতে যাওয়া যাক। শুনে বাকিরা সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল।
তো তারপর আমরা দল বেঁধে খেতে চললাম। আরও যারা যারা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছিল তাদেরকেও ফোন করে ডেকে আনা হল। যেখানে রান্না করা হচ্ছিল, সেখানে পৌঁছে দেখি রান্না শেষ। বাতাসে খাবারের চমৎকার সুগন্ধ। :Dসেই মনকাড়া সুগন্ধে মনে হল যেন খিদেটা একশ গুন বেড়ে গেল। জলদি করে হাতমুখ ধুয়ে নিয়ে চুলোর এক পাশে চট পেতে আমরা খেতে বসলাম। কয়েকজন বন্ধু আমাদেরকে খাবার সরবরাহ করতে লাগল। আমাদের খাওয়া শেষ হলে ওরা খেতে বসবে। খাবারের মেন্যুতে ছিল মুরগির মাংস দেয়া বিরিয়ানি, কয়েক প্রকার সবজির সাথে মাংস দিয়ে বানানো বিশেষ এক ধরনের তরকারি আর সালাদ। সেই সাথে কোল্ড ড্রিংক্স। রান্নাটা খুবই চমৎকার হয়েছিল। খাবারগুলো অসম্ভব সুস্বাদু ছিল। অতএব গপাগপ গিলতে লাগলাম।
ভরপেট খেয়ে উঠে মনে হল শরীর আর চলছে না। তাই একটু বিশ্রাম নিতে বাসের দিকে চললাম। বাসে উঠে সিটে গা এলিয়ে দিলাম। আর বাসের স্টাফদেরকে খাওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিলাম। আমি তখন এক ঢিলে দুই পাখি মারছি। বিশ্রাম নিচ্ছি আর আমাদের মালপত্র পাহারা দিচ্ছি। খানিক বাদেই আরও কয়েকজন বাসে বিশ্রাম নিতে উঠল। ওদের মাঝে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ও বলল যে ও নাকি কিছু একটা কিনবে। আমাকেও ওর সাথে দোকানে যাওয়ার জন্য ডাকল। সুতরাং দুই বন্ধু আবার বেরোলাম। কয়েক দোকান ঘুরে ঘুরে একটা সুন্দর দেখে শো-পিস পছন্দ করা হল। জিনিসটা ছিল মাটির তৈরি একটা পরীর মূর্তি। ওটার পাখাগুলি ছিল সবচেয়ে সুন্দর। যাই হোক স্বপ্নপুরী বেড়াতে আসার একটা স্মৃতি থাকল। কেনাকাটা শেষ করে আবার আমরা বাসের উদ্দেশ্যে চললাম।

বাসের কাছে যেয়ে দেখি পাশের একটুকরো ফাঁকা জায়গায় সবাই জড় হয়েছে। খানিকক্ষণ গল্প গুজব করে আবার আমরা ঠিক করলাম যে বাড়ির পথে রওনা দেয়া যাক। স্বপ্নপুরীর মোটামুটি সবই তো দেখা হল। ঠিক হল বাসের সিটের জন্য আবার লটারি হবে। যথারীতি লটারি করা হল। একেবারে সামনের সারিতে আমার সিট পড়ল। সবাই বাসে ওঠার পর ঠিক বিকেল ৪ টার সময় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বাস ছাড়া হল। আমরা স্বপ্নপুরীকে বিদায় জানালাম।
বাস চলা শুরু হওয়ার খানিক বাদেই আমার দু’চোখ জুড়ে ঘুম নেমে এল। যখন ঘুম ভাঙল তখন বাইরে তাকিয়ে দেখি সন্ধ্যা নেমেছে। পশ্চিম দিগন্ত রক্তের মত লাল। সেদিকে কিছুক্ষন উদাস নয়নে তাকিয়ে রইলাম। একটু পরেই বাস ফুলবাড়ি এসে থামল। সেখানে মাগরিবের নামাজের জন্য ১০ মিনিট বিরতি নেয়া হবে। কয়েকজন নামাজের জন্য পাশের একটা মসজিদে চলে গেল। আমার খুব ঠাণ্ডা লাগছিল তাই আরও দু’জন বন্ধুর সাথে পাশের একটা দোকানে চা খেতে ঢুকলাম। চা খাওয়া শেষ করে ফের বাসে উঠে বসলাম।
সবাই ফিরলে আবার যাত্রা শুরু হল। একটু পরে আমাদেরকে বিকেলের নাস্তা সরবরাহ করা হল। তাতে ছিল কেক, বিস্কিট আর ডাল্ভাজা। নাস্তা শেষ হলে একটা ছোট্ট অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হল। যে যার ইচ্ছেমত গান গাওয়া, গল্প আর কৌতুক বলা। সবার জন্য একটা করে শুভেচ্ছা উপহার ছিল। অনুষ্ঠানের প্রথম আধাঘণ্টা আমিও শামিল ছিলাম। তারপর আর হইচই ভাল লাগল না। আমি এমনিতেই খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ। তাই বেশিক্ষন হইচই করতে পারিনা। অতএব, সেখান থেকে সরে সামনে এসে ইঞ্জিন এর উপরের গদি মোড়া জায়গায় বসে পড়লাম। ওখানে বসে বাসের হেডলাইটের আলোয় শাঁ শাঁ করে পেছন দিকে সরে যাওয়া সামনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালই লাগছিল। ওভাবেই পুরো দু’টি ঘণ্টা পার করে দিলাম।

আমাদের বাস পুঠিয়া পৌঁছনোর পর তেল নেয়ার জন্য খানিকক্ষণ থামা হল। তেল নেয়া শেষে আবার ছুটে চলা। অবশেষে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রাত্রি ১০ টার সময় আমাদের বাস রাজশাহীতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছল। আগেই ঠিক করা ছিল যে পাশেরই একটা হোটেল থেকে আমাদেরকে রাতের খাবার (খিচুড়ি আর ডিমভাজা) প্যাকেট করে দিয়ে দেয়া হবে। সুতরাং, বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে সকলে সেদিকে দৌড় লাগালাম। খাবারের প্যাকেট পাওয়ার পর এবার যে যার বাড়ি ফেরার পালা। তো বন্ধুদের সবাইকে শুভরাত্রি জানিয়ে একটা অটোরিকশা ধরে বাড়ি ফিরে এলাম।

-------------------------------------------------------------------------------
এই হল আমার স্বপ্নপুরী অভিযানের গল্প। সেদিন বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করেছিলাম। আমার মনে হয় এই ঘটনাটা আমার সারাজীবনই মনে থাকবে। সাথে সাথে আমার বন্ধুদেরও, যারা সেদিন সেই উৎসবে শামিল হয়েছিল। গল্পের শেষে সবার উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই যে, যদিও আমরা এই একবিংশ শতাব্দীর মানুষেরা নিজেদের জীবনে দিনরাত শুধু কাজ নিয়ে অনেক বেশি ব্যাস্ত হয়ে গেছি, তবু আমাদের চেষ্টা করা উচিত অন্তত ছয় মাসে একবার হলেও যেন আমরা কাজে একটু বিরতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি ভ্রমন করতে পারি। এটা শুধু বিনোদনের কাজই করেনা, এসব ভ্রমন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতেও পারি। এছাড়াও, নিজের দেশটাকে ভালভাবে চেনাটা কিন্তু জরুরি। সুতরাং, আমরা সবাই যেন বেশি বেশি ভ্রমনের জন্য চেষ্টা করি। সবাইকে শুভকামনা।।
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×