(১)
'কিরে, ২১ তারিখ তোর মোবাইল বন্ধ ছিল কেন?'
'একটা মহান কাজে গেছিলাম ভাবি। যেন কেউ বিরক্ত না করে সেজন্য মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিলাম।'
'মহান কাজ মানে? তাও আবার মোবাইল বন্ধ রেখে! কিরে, তুই প্রেমেটেমে পড়লি নাকি? মেয়েটা কেমন, কী করে? কোথায় থাকে? কই কই ঘুরতে গেলি?'
এতো প্রশ্নের উত্তর একসাথে দেয়া সম্ভব নয় দেখে সহজেই উত্তর দিলাম
'এতো সুন্দর ভাবি থাকতে গার্লফ্রেন্ড খোঁজতে যাব কোন দুঃখে!'
(বাদবাকি ইতহাস; ভাবির পানিশমেন্ট )
(২)
আমার আগমনের মহৎ উদ্দেশ্যগুলোর সাথে একটা অসৎ উদ্দেশ্যও ছিল। আর সেই অসৎ উদ্দেশ্যের প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছতে মনিরা সুলতানা আপুর উপস্থিতি ও তাকে ম্যানেজ করাটা ছিল খুবই প্রয়োজন। মনিরা আপু নিজের থেকেই উপস্থিত হলেন আর সবার আন্তরিকতায় উনাকে ম্যানেজও করে ফেলেছিলাম, যদিও নিমচাঁদ ভাই একটু বুঝতে পেরেগেছিলেন, তবে উনি বুঝেছিলেন ভাঁজা মামলেটের উলটো পিঠ ।
মনিরা আপু আসার পর অপেক্ষা করছিলাম কাঙ্ক্ষিত সেই ভদ্র মহিলা ব্লগারের আগমনের। আসার পথে উনাকে কল দিয়ে প্রলুব্ধও করে ফেলেছিলাম। উনাকে স্বামীসহ পূর্ণ প্রস্তুতির সাথে আসার জন্য বললাম। বলা তো যায় না পরে যদি...।
জাদিদ ভাইয়েরা অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত মনোরম এক জায়গা পছন্দ করেছিলেন বটে। একদল হলের ভেতরে কিশোরী ব্লগার মৌরী ও তার মায়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন আর আরেকদল আহমেদ জী এস ও জাদিদ ভাইকে নিয়ে ছাদের অন্য পাশে আড্ডা দিচ্ছেন। আর আমি এইফাঁকে সময়ের সদ্ধব্যবহার করতে গিয়ে ভদ্র মহিলাকে একের পর এক টুপ গিলাচ্ছি। উনি গিলছেনও অনায়াসে। উনার এই গিলন পক্রিয়া দেখে আমি তো লাইলি প্রেমিক মজনু হওয়ার উপক্রম। অবশেষে আবেগকে রশি দিয়ে বেধে ভেতরকার আড্ডায় যুক্ত হলাম কিন্তু এখানে তেমন শান্তি পেলাম না, উঠে চললাম আহমেদ জী এস ভাইদের আড্ডায়, না এখানেও শান্তি পাচ্ছি না! হঠাৎ দেখি imo প্যাকপ্যাক করে উঠল। ম্যাসেজ শো করে দেখি ভদ্র মহিলার আগমন কেনসেল!
বুঝতে পারলাম অশান্ত মনের কারণ; ছ্যাঁকা খাওয়ার পূর্বের এক্সপেরিয়েন্স বলে কথা।
ব্লগ দিবসের কিছু রসমস্তি ...
(১)
(২)
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ নাহিদ ভায়া!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪