মৃতের পরিবারই কেবল আপনজনের লোকান্তরিত হওয়ার শোক অনুধাবন করতে পারে, সে-ও কিছুটা অনুধাবন করতে পারে যে পিতা তার সন্তান হারিয়েছে, যে সন্তান হারিয়েছে তার বাবা; আমরা কেবল সমবেদনায় যা প্রকাশ করতে পারি তাই। এমন কঠিনতম সময়ে দূর থেকে আগত মেহমানদের মেজবানি করা তাদের জন্য খুবই দুষ্কর। আর তাই, তখন মেহমানদের মেজবানের দায়িত্ব বর্তায় প্রতিবেশি/আত্মীয়দের উপর। এটা এমন একটা বিষয় যা মৃতের প্রতিবেশী/আত্মীয়দের পরিবর্তে পরিবারের আদায়ের কারণে অদূর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট এক গোষ্ঠীকে এর খেসারত দিতে হবে। যেরকমটা দিয়ে আসছে বর্তমান সময়ের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দারিদ্র্য পরিবারের লোকেরা; তাদের কন্যার বিবাহের সময়ে।
বিয়ে-শাদিতে আমরা বরের চৌদ্দপুরুষ-মহিলাকে উদরপূর্তি করাই হৃদয়ে পবিত্র মানসিকতা লালন করে। একসময় এই অনাচারটি ছিল এলিট বা ধরবানদের কাজ; তাদের জন্য তা গ্রহণ ছিল অতি স্বাভাবিক। কিন্তু এটা ধীরেধীরে সমাজের নিম্নবর্গের দিকে ধাবিত হয়। যা বর্তমানে নিম্ন মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত দারিদ্র পরিবারের জন্য একটি মারাত্মক ঘাতকের ভূমিকায় রয়েছে। অথচ না তারা এর প্রতিবাদ করতে পারছে না সহ্য করতে পারছে। আর তাই অনেকে গোপনে বিক্রি করছে নিজের ভিটেমাটি; কেবলমাত্র অধর্ম ও অপসংস্কৃতি রক্ষার্থে।
মৃতের মৃত্যুর দিন ভোজনায়োজন উদযাপনের মাধ্যমে আজ আমরা যারা সমাজের অদূর ভবিষ্যতের জন্য একটি ঘাতক সর্প পুষছি তা যে সমাজের নিম্নবর্গকে চুষে খেতে যথেষ্ট আগ্রাসী ভূমিকা রাখবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সুতরাং অধর্ম ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করুন তার প্রতিবাদের মাধ্যমে।
#লেখাটাকে নির্বাচিত পাতায় নেওয়ার জন্য মডারেটরকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৬