আমাদের গ্রামীণ সমাজের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বাল্যবিবাহের কারনে ঝরে যাচ্ছে।
আমাদের মা-খালাদের দিকে তাকালে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয়।
সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি একটি মেয়ের বাল্যবিবাহের অন্যতম কারন হচ্ছে উপার্জনহীনতা ।
তারা যদি স্বাবলম্বী হোত তাহলে তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের অনেক বড় একটা
অংশ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারত।
আমরা যদি আমাদের দেশীও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ক্লাস One থেকে Ten পর্যন্ত বিজ্ঞান বইয়ে
যে সকল পড়া ডায়াগ্রাম দেখে পড়ি যেমন ডায়ানামো, মোটর, জেনারেটর, ষ্টীম ইঞ্জিন, ব্যাঙ এর অঙ্গ
প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি এগুলো যদি খেলনা আকারে পড়াশুনার পাশাপাশি তাদেরকে
দিয়ে বানাতে পারতাম এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারতাম, আমার মনে হয় আমরা তাদের জন্য
কর্মসংস্থানের অনেক বড় একটা ক্ষেত্র তৈরি হত।
এটা সবার জানা যে আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাইরের উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পদ্ধতি,
কারিকুলামের তো বিস্তর পার্থক্য রয়েছে তাছাড়া সেখানে একজন শিক্ষার্থী স্কুলে পরাশুনাকালিন অবস্থা
থেকে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আত্ম নির্ভরশীলতার জন্য উপার্জন করে কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেটা সম্পূর্ণ উল্টো
একজন শিক্ষার্থী অনার্স, মাস্টার্স করার পর চিন্তা করে কি কি উপায় আত্ম নির্ভরশীল হওয়া যায়।
তবে আমার মতে গ্রামের এবং মফঃস্বলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পরার হাত থেকে আমরা যদি মুক্তি দিতে চাই
আমার মনে হয় এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ হতে পারে।
শিক্ষার্থীরা যদি পাঠ্য বইয়ের এই জিনিস গুলো Visualize করতে পারত তাহলে মুখস্ত বিদ্যা থেকে কিছুটা
হলেও বের হয়ে আসতে পারত। এক্ষেত্রে ৩ টা কাজ সম্ভব হত
*বাল্য বিবাহ রোধ
*করমসংস্থান তৈরি
*শিক্ষা উপকরন প্রস্তুতকরণ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫