বিএনপির প্রেস ব্রিফিঙ্গে এই যে বিষয় টা উঠে এসেছে আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত। সেই সাথে একমত পোষণ করছি যে যারা বিক্ষোভ করতে এসেছিলো তারা নিরীহ জনগণ......
সতিই তো, এই দেশে গনতন্ত্র বলে কিছু আছে নাকি, নিরীহ জনগণ কোন কিছুর প্রতিবাদও করতে পারবেনা !!
শান্তি প্রিয় মানুষগুলি না হয় ২/৩ টা পুলিশ কে পিটিয়েছে... পুলিশ গুলোও এমন দুইটা বারিও সহ্য করতে পারে না। এই ক্ষেত্রেও সরকার ব্যর্থ , ভারতীয়দের সুবিধা দেবার জন্য পুলিশে শারীরিক ভাবে দুর্বল করে রেখেছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
এই দেশে ৮০% মানুষ ধর্ম প্রান ( আমাকে কেন হিসেবের বাহিরে রাখলো, ও আচ্ছা আমিতো ব্লগে লিখছি, তাইলে তো নেত্রীর সংজ্ঞায় আমি নাস্তিক)। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের এই দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ কেন থাকবে? বিধর্মী মানেই নাস্তিক, কাফের, মুরতাদ। আচ্ছা রাসুল (সঃ) বা খলীফারা এমন করেই কি কাফেরদের কে শেষ করে দিয়েছিল। তাহলে কি ইসলামের বিস্তৃতি ঘটেছে তরবারির মাধ্যমে? নিশ্চয়ই না। তাহলে ইসলামের নামে কি রূপ দেখছি বাংলাদেশে।
যাই হোক, শিশুরা অকারনে রাগ করে জিনিষ পত্র ছুঁড়ে মারে, খাতার পাতা ছিঁড়ে ফেলে, এরা নিরীহ। ঠিক তেমনি ধর্মপ্রাণ নিরীহ জনগণ সামান্য কিছু সরকারি স্থাপনা ভেঙ্গেছে/ সম্পদ পুড়িয়েছে, এটা করতেই পারে কারণ এটা জনগণের সম্পত্তি। পতাকা ছিঁড়েছে তো কি হয়েছে, রাগ হলে কি আমরা আমাদের প্রিয় রুমাল ছিঁড়ি না? একই ডিজাইনের শহীদ মিনার আর কত, ভেঙ্গেছে আবার গড়া হবে। পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে আমরা নতুন বিল্ডিং কি গড়ছি না? আবেগ !! কি মুশকিল, বাব- দাদার ভিটের ঘর না ভাঙ্গলে ২৪ তলা ভবন হবে কি করে।
নিরীহ জনগণ যা খুশি করুক প্লিজ কষ্টের টাকায় কেনা গুলি দিয়ে পাখির মতন মানুষ মারবেন না। মারতেই যদি হয় ঐ সব নিরীহ জনগণ যে পদ্ধতি ব্যাবহার করে তা অনুসরন করুন। কুপিয়ে কুপিয়ে জখম করুন, মাথার ভিতর রড ঢুকান, রগ কেটে দিন, ধর থেকে মাথা আলাদা করুন, পেট্রোল ঘরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিন। তবুও প্লিজ পাখির মতন মানুষ মারবেন না।