রিষাব দূর থেকে দেখল নীরা একটা বেঞ্চে বসে আছে। রিষাব এর মুখে একটা বিচিত্র হাসি খেলে যায়। নিরা একটা নীল শাড়ি পরেছে।হাতে নীল চুড়ি। রিষাব এর এই রঙ টা খুব প্রিয়। ও মাঝে মাঝেই নীরা কে এই নীল শাড়ি টা পড়তে বলে। আজ ৩১ তারিখ। ও চেয়েছিল কাল দেখা করতে। কিন্তু নীরা হঠাত করেই বল্ল জরুরী কথা আছে। রিষাব এসে নীরার পাশে বসল। কি ম্যাম, এত জরুরী তলব?? আমি তো ভয় পেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি। কিছু হয়েছে নাকি? এনিওয়ে, আপনাকে তো হুরপরীদের মত লাগছে। মনে হচ্ছে নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ে যায়। ' নিরা শান্ত চোখে রিষাব এর দিকে তাকিয়ে আছে। রিষাব নিরার হাতে হাত রাখল। বল্ল, 'তুমি আমার পাশে থাকলে আমার আর কিছু প্রয়োজন হয় না। এই হাত ধরে তোমার সাথে বাকি জীবন কাটাতে চাই। রিষাব হঠাত নিরার চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল। অন্য সময় এগুলো বললে নিরা গভীর আবেগ নিয়ে ওর কাধে মাথা রাখত। আর আজ তার চোখে কোন আবেগ নেই। কেমন শান্ত কৌতুকপূর্ণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে। বুক কেপে উঠল ওর। এত পরিচিত লাগছে কেন নীরার চোখের দৃষ্টি। আজ চশমা পড়েনি নীরা। কেমন যেন অন্য রকম লাগছে ওকে। ওর চোখের মধ্যে যেন কার চোখের আভা। মনে হচ্ছে খুব পরিচিত দুটি চোখ। কোথায় দেখেছে এই চোখ!!! এত চেনা লাগছে কেন? এটি ভাবতে ভাবতেই ওর কাধে মাথা রাখল নীরা। হঠাত এক ভয়ানক চিন্তা রীষাব এর মাথার মধ্যে ঢুকল। এই দুপুর রোদেও ঘেমে উঠল ও।
নীরা বল্ল, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কোন জরুরী কথা নেই। মাথা তুলে নীরা রিষাব এর দিকে তাকিয়ে বল্ল, খুব গরম না রিষাব?? ইশ একদম ঘেমে গেছ! এটা বলে নীরা ওর ব্যাগ থেকে একটা রুমাল বের করল। রিষাব এর মুখের কাছে ধরতেই এক পরিচিত পারফিউমের সুবাস ওর নাকে এসে লাগল। ও অবাক হয়ে নীরার দিকে তাকাল। নীরার মুখে একটা মুচকি হাসি। হঠাত রিষাব ওর মাথার পিছনে একটা তীব্র ব্যাথা অনুভব করল। তারপর সব অন্ধকার।