স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের অমর সৃষ্টি শার্লক হোমস অসাধারণ বিশ্লেষণী ক্ষমতা দিয়ে যেকোনো রহস্যের সমাধান করতে পারেন। লন্ডনের তাবৎ পুলিশ অফিসার যেসব রহস্য ভেদ করতে পারেন না, শার্লক হোমস তা এক নিমেষেই সমাধান করে দেন। যদি শার্লক হোমসকে বাংলাদেশের বর্তমান অভেদ্য রহস্যের কূল-কিনারা করতে দেওয়া যেত, তবে যেমন হতো। ভেবেছেন ইশতিয়াক
লোডশেডিংয়ের ওভারলোড
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনগণের পাশে দাঁড়াতে শার্লক হোমস সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ভ্রমণ করবেন। যেহেতু একজন লোককে দেখেই শার্লক তার অনেক কিছুই বলে দিতে পারেন, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট যারা লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী, তাদের শনাক্ত করতে তাঁকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। তবে কুইক রেন্টালের কুইক তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের কুইক শকে শার্লক মানসিক ভারসাম্যও হারাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের মতো শার্লকও রহস্য হয়েই থাকবেন।
পদ্মা সেতুর শাপমোচন
শার্লক হোমস পদ্মার তীরে ভ্রমণে গিয়েই বুঝতে পারবেন যে আদিকালে কোনো এক সাধুবাবার অভিশাপে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে না। শাপমোচনে শার্লক দেশের সব খাঁটি দেশপ্রেমিকের সাহায্য চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে খাঁটি দেশপ্রেমিকদের নাম আবুল হয়। সব নিষ্ঠাবান আবুলের দেশপ্রেমের জোয়ারে সাধুবাবার অভিশাপ ভেসে সাগরে চলে যাবে। শাপমোচনের পর শিগগিরই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে।
রেলওয়ের কালো বিড়াল প্রকল্প
যেহেতু রেলওয়েতে সব দুর্নীতির মূলে কালো বিড়াল, তাই শার্লক দেশ থেকে কালো বিড়াল দেখিবা মাত্র নিধন প্রকল্প হাতে নেবেন। এ ক্ষেত্রে বিড়াল নিধনের সময় শার্লক কালো বিড়ালদের সম্মিলিত আক্রমণের শিকার হতে পারেন। কালো বিড়ালের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে কালো বিড়াল মরিবার পূর্বেই শার্লক হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
শেয়ারবাজারের কারচুপি
শেয়ারবাজারে ধসের তদন্তে নেমে শার্লক জানতে পারলেন, শেয়ার ব্যবসায়ীরা সব ফাটকাবাজ। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে কোনো ফাটকাবাজকে খুঁজে না পেলেও এক সাদা চুলধারীর আস্তানা খুঁজে পেলেন। শেয়ারবাজারে লস খাওয়া ফাটকাবাজদের সেখানে বিলাপ করতে দেখা গেল। আপাতদৃষ্টিতে শেয়ারধস রহস্যের কূল-কিনারা না পেয়ে শার্লক নিজেই সেখানে বিলাপ করতে লাগলেন!
গুম তদন্তে নিজেই গুম
গুম হয়ে যাওয়ার কেসগুলো সমাধানে শার্লককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গুমকারীরা তাঁকেই গুম করে নদীতে ভাসিয়ে দিল। কিন্তু শার্লকের জান, কই মাছের প্রাণ। নদীর ধারে এক বেদে দলের সরদারের মেয়ে তাকে উদ্ধার করল। শার্লক তাঁর জীবন রক্ষাকারী বেদের মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলেন আর স্বভাবসুলভ নিয়মে বেদের মেয়ে তাঁকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। ছ্যাঁকা খেয়ে শার্লক দেবদাস হতে পারতেন, কিন্তু তিনি আর বাংলাদেশে না আসার পণ করে জীবন নিয়ে এ যাত্রায় লন্ডনে ফিরে যাওয়াই শ্রেয় মনে করলেন
প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




