সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মারা গেছেন এই জন্য সামুর কিছু ব্লগার খেয়ে না খেয়ে পোস্ট দেয়া শুরু করেছেন। দৈনিক পত্রিকাওলাদের অবস্থাও একই। তাদের ভাবখানা এমন যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মারা যাওয়াতে বাংলাদেশের খুব বড় ক্ষতি হয়েছে। নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে বাংলা সাহিত্যের। যত দূর জানি আমাদের হুমায়ুন আহমেদ স্যার মারা যাবার পর কলকাতার মিডিয়া তাদের মিডিয়ায় এই খবর খুব একটা আমলে প্রচার করেনি, তার কারন বেচে থাকতে হুমায়ুন আহমেদের বই কলকাতার লেখকদের ভাতে মেরেছেন, তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে না আবার তার বইয়ের বাজার চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায় এই ভয়ে। শুধু মাত্র আনন্দবাজার পত্রিকায় এক কোনায় খুব ছোট কলাম আকারে তার মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিলো। সাম্রাজ্যবাদ চলছে সারা পৃথিবীতে, সবাই চাচ্ছে যে যার বাজার দখলে রাখতে এবং সেই সাথে নিজেদের বাজার আরও প্রসার করতে। কলকাতার মিডিয়া তখন যা করেছে তাদের দৃষ্টিতে আপাতত ঠিক কাজটিই তারা করেছে। নিজেদের দেশের বাজারের লেখকদের কথাই চিন্তা করে তারা এটি করেছে, এজন্য আমি বা আমরা কেউই তাদের মিডিয়া বা দেশের দোষ দিতে পারি না। কারন নিজেদের অস্তিত্ত রক্ষার অধিকার সবার আছে। আমাদের মিডিয়া যা করছে তাতে লাভের লাভ হচ্ছে আমাদের বইয়ের বাজারে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই বেশ কিছু দিন বেশ ভালো একটা কাটতি যাবে তার কারন বাংলাদেশিরা হুজুগে জাতি, হুজুগে মাতে বেশি। হুজুগের কারনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই এর বেশ ভালো চাহিদা সৃষ্টি হবে। সাময়িক মুনাফার কারনে দেশের বাজার নষ্ট করবো এবং সুযোগের সদ্বব্যাবহার করবো। সবাই যখন নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত তখন আমরা কি করি ? উত্তরঃ গোলামি করি। আমরা আগেও পরের গোলামি করেছি, এখনো গোলামি করে যাচ্ছি। এই যখন অবস্থা আমরাও কি পাড়ি না, অন্তত নিজ দেশের লেখকদের বইয়ের বাজার চাহিদা ধরে রাখতে। জানি অনেকে আমার কথা পড়ে গালি দিবেন, ছাগু বলবেন, তাতে কোন সমস্যা নাই, আমি বলবো, বলতেই থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




