একটি কথা প্রচলিত আছে যে, আমেরিকা যার বন্ধু তার কোনো শত্রুর প্রয়োজন নেই। এটা বুঝেছে পাকিস্তান, ইরাক, তালেবান এবং আরো অনেকে। বাংলাদেশও এখন কিছু কিছু বুঝতে পারছে।
প্রসঙ্গ এটা নয়। এখন প্রসঙ্গ বর্তমান সরকারী দল। আওয়ামী লীগ। একটি নতুন প্রবাদ রচনা করা যায় আওয়ামী লীগের কোনো শত্রুর প্রয়োজন নেই, তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ।
রাজনীতি থেকে সোহেল তাজ বিদায় নিয়েছেন আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র (আত্মীয়) নেতার কারণে। বিরোধী দলের সমালোচনায় বা অন্য কোনো ব্যর্থতায় তিনি রাজনীতি ছাড়েন নাই।
পদ্মা সেতুর ঋণ প্রস্তাব বিশ্বব্যাংক বাতিল করলো সেটা কিন্তু সরকারের একগুয়েমির কারণে। যে দুর্নীতিকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিন সেই দুর্নীতির অভিযোগেই পদ্মা সেতুর ঋণ প্রস্তাব বাতিল হলো।
আওয়ামী পন্থী সাংবাদিকদের কারণে সাগর রুনি হত্যাকান্ডের জট আরো পাকিয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর দিন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছে ছাত্রলীগ।
শেয়ার মার্কেটে বিপর্যয় এর পিছনে সরকারের ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ছিল যা তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এমপিরা দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে পিস্তলও তাক করে।
আওয়ামী লীগের কারণে পরিবহন শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বা ভূযা লাইসেন্সে তারা গাড়ী চালিয়ে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে।
সরকারের মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছে তাতে সরকারের ইমেজ এক বিন্দু আর অবশিষ্ট থাকছে না।
তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত দায়িত্বহীন আচরণে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ তাই আওয়ামী লীগ নিজেই।
বিরোধী দলের আন্দোলন এমনিতেই ব্যর্থ। যেমন তেমন কর্মসূচি দিয়ে তাদের প্রতি মানুষ বিরক্ত। তাদেরকেও আস্থায় নিতে পারছে না মানুষ। তবে তার মনে হয় দরকার নাই। পদ্মা যমুনায় পানি বাড়ছে। দেশ ভাসছে। বিরোধী দেশের মানুষের পাশে দাড়াক। আর আওয়ামী নৌকায় ফুটো বড় হচ্ছে, ডুবতে খুব বেশি সময় নেই। এখনি এর তলা মেরামত করতে না পারলে করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।
আমি কোনো দলকে সমর্থন করি না। সমর্থন করি এই দেশটাকে। এবং অধিকাংশ মানুষই তাই করে। অতএব দেশ নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সময়ে।