somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সব দোষ গার্জিয়ানদের

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইতে উল্টাপাল্টা জিনিস পড়াইতেসে, সেইটা কোনো গার্জিয়ানের নজরে পড়লোনা, পড়লো প্রাইভেট ভার্সিটির এক টিচারের! তারমানে পোলা-মাইয়াকে স্কুলে, বইয়ে কি পড়ে না পড়ে এইটা নিয়ে এই জেনারেশনের বাপ্-মায়ের কোনো মাথা ব্যাথা নাই। গোল্ডেন এ+ পাইলেই হইলো। ঝামেলা তো শুরু এখন থেকেই! যারা এই বিতর্কিত জিনিস বইতে ভরসে তারা বাপ্-মায়ের এই অবস্থা যাইনাই ভরসা।
এই জেন্ডার আইডিওলজি নিয়ে আমেরিকা তে তোলপাড় চলতেসে, এবং স্কুল থেকে শুরু বাকি যারা ইনভল্ভড তাদেরকে কোর্টে নিতেসে কে? অভিভাবকরা। আর আমাদের সম্মানিত গার্জিয়ানরা জানেওনা তাদের বাচ্চারা কি পড়ে না পড়ে।

যাই হোক, নজরে আসলো, কথা শুরু হইলো। কিন্তু কি লেখা, না লেখা সেইটা নিয়ে কথা নাই। কেউ একজন কিছু একটা বলসে, হৈহৈ রৈরৈ শুরু হইলো। পড়ার পর দেখা গেলো হিজড়া সমাজের কথা বুঝাইতে গিয়া ট্রান্সদের কে নিয়েও লিখসে। হিজড়াদেরকে নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরী দরকার এবং সেটা স্কুল থেকেই। এই ব্যাপারে ধর্ম-সমাজ কোনো দিক থেকেই বিতর্ক নাই। উল্টা ইসলাম হিজড়াদেরকে মেইনস্ট্রিমে আনতে বলে। এখন বয়ঃসন্ধিকালের বাচ্চাদের কিভাবে, কোন ভাষা প্রয়োগ করে এই ব্যাপারে শেখানো হবে সেইটা খুব সেনসিটিভ বিষয় প্রাথমিক পর্যায়ে। বাচ্চাদের সাইকোলজি খুবই সেনসিটিভ। তারা আজীবন জেনে আসছে লিঙ্গ দুইটা, পুরুষ এবং স্ত্রী। জেনেটিকাল কারণে যে আরেকটা লিঙ্গ মাঝে মাঝে তৈরী হয় এইটা বায়োলজি বইতে থাকলে সবচেয়ে সহজ বুঝানো, আর সমাজ বইতে থাকলে খুবই কেয়ারফুল ভাষায় বুঝতে হবে যেন বাচ্চাদের মাইন্ড ফাকড-আপ না হয়ে যায়।

কিন্তু, বাবারা, কিন্তু, ট্রান্সদেরকে নিয়ে কথা বলার কোন সুযোগই নাই। এইটা একটা পিওর শয়তানি আইডিওলজি। ধোন কেটে ফেললেই মেয়ে, স্তন কেটে ফেললেই ছেলে, হরমোন নিয়ে ভয়েস মোটা চিকন করলেই চলবে, মনে মনে যা ফিল করবো আমি তাই-ই ইত্যাদি বালছাল আপনাদের তীর্থস্থান পশ্চিমা বিশ্ব'ও মেনে নিচ্ছেন। প্রচুর প্রোগ্রেসিভ রাষ্ট্র পর্যন্ত এটাকে মেনে নেয়নি। কারণ সবাই জানে এইটা একটা পলিটিকাল ফাইজলামি সমাজ ধ্বংস করার জন্য। একদিকে সমান অধিকারের আন্দোলন চলবে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে আবার অন্যদিকে ধোন কাটা/লুকানো পুরুষকে নারীর বাথরুমেড্রেসিং রুমে ফ্রি এক্সেস দিয়ে দিতে চান, এইসব কন্ট্রাডিক্টরি মতবাদ ফলো কইরা এতে ঘুমান কেমনে? ছেলে-মেয়ের স্পোর্টস আলাদা, লাইফস্টাইল আলাদা, ক্রোমোজোম আলাদা, সেখানে কৈতাসে সেক্স আর জেন্ডার নাকি আলাদা জিনিস।

যেই শ্রেণীর মানুষরা এই ট্রান্স ধারণাকে সমর্থন করে এরা আসলে রিলেভেন্ট থাকতে চায়, বুঝাইতে চায় আমি আধুনিক, বিজ্ঞান মনস্ক এবং যুগের সাথে তাল মিলায়ে চলি। এখন যখন বলবেন বিজ্ঞান এই ধারণাকে সমর্থন করেনা, তখন কাচুমুচু হয়ে যাবে।
কি ভয়ংকর একটা ব্যাপার! জেন্ডার সার্জারি করার পর আপনাকে আজীবন মেডিকেল ট্রিটমেন্টে থাকা লাগবে। সাধারণ না, ক্রিটিকাল ট্রিটমেন্ট। ওষুধ বন্ধ করলে খবর আছে। আবার কিছু ইতর ফাইজলামি করে ছেলে হওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু জোরে রেখে দেয়। এরপর ছেলের মতন দেখতে শরীরে বাচ্চা ধারণ করে। সেই বাচ্চা গুলার কথা ভাবা যায়! যদি তোরা বিৱৰ্তনেও বিশ্বাস করস, আর প্রকৃতির দুইটা জেন্ডার দরকার না হইতো রিপ্রোডাকশনের জন্য, তাইলে মিলিয়ন বছরের বিবর্তনে ক্রোমোজোম হয় একটাই হয়তো নাইলে ইনফিনিট হইতো। মানুষকে যে এখন এগুলা বুঝানো লাগতেসে এইটাই তো ফ্রাস্ট্রেটিং। এইসব শাওয়ার মতবাদ নিয়ে যে কথা বলা লাগতেসে এইটাই তো প্রমাণ করে কি রকম ফাকড-আপ একটা সময় যাইতেসে।

শেষের আলাপ দুইটা, কোন আবালরা এই আলাপের সাথে সমকামী আলাপ গুলিয়ে শরবত বানাইসে এবং কি উদ্দ্যেশে? এই দেশে পুরুষগামী একটা বড় গোষ্ঠী ধর্মীয় লেবাসে চলে। পেডোফাইলিং করে বেড়াই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এদেরকে নিয়ে কথা বলাকে গুনাহের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হইসে। আগে এই ট্যাবু ভাঙা লাগবে। ধর্মের কারণে যারা সমকামী বিরোধী আন্দোলন করে তাদেরকে প্রথমে এই জায়গায় হাত দিয়ে ঠিক করতেই হবে নাইলে তাদের এইটা নিয়ে পশ্চিমাদের অজুহাত দিয়ে কথা বলার অধিকারী নাই। কারণ তুমি এক আঙ্গুল ওদের দিকে তাকে করলে বাকি চাইর আঙ্গুল এখন তোমার দিকে তাকে করা আছে বাপধন।

আর, ফাইনালি, এতো সুন্দর সাটেল ভাবে ক্লাস ৭ এর বইতে এতো এম্যাচার ভাষায় কে এই লেখা লেখসে, কারা লেখসে, কেন লেখসে, হিজড়া শব্দের সাথে ট্রান্স শব্দের প্রয়োগ কেন করা হইলো এইটা নিয়ে কোনো আলোচনা নাই কেন? নাকি খোদাকে ভয় করেন ঠিকই কিন্তু দুনিয়ার আজাবে ভয়টা আপাতত বেশি?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১২
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×