নিশ্চিতভাবে বলতে পারি বিজ্ঞানীরা যদি সমীকরনীয় পদ্ধতি ত্যাগ করে বিজ্ঞানকে সাধারণ ভাষায় গল্পের মত প্রকাশ করতেন তাহলে জন্মের পর থেকেই একজন শিশু ঠাকুরমার ঝুলি রেখে বিজ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করত।
আইনস্টাইনের E=MC^2 একটি সমীকরণ যা দুনিয়া কাপিয়ে দিয়েছে বিশেষ করে হিরোশিমা নাগাসাকিকে। এই সমীকরণ বুঝতে গিয়ে আমার মাথার চুল কালো থেকে রূপান্তরিত হতে হতে লালচে এরপর সাদা রং ধারন করেছে।। কিসব উলটা পালটা চিহ্ন দিয়ে এসব বুঝিয়েছিলেন শুধু আইনস্টাইন মহাশয় জানেন। আমি এখনো এই সমীকরণ বুঝতে সক্ষম হইনি ।।। কোনো এক জ্ঞানী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ভাই এই সমীকরণ দ্বারা কি বুঝায় ।
তিনি ৩২ টা দাত বাইরে এনে হাসলেন আর বললেন, আরে এইটা যদি না বুঝো তাহলে HSC পাশ করলা কেমনে? এইটা তো খুবই সহজ , E হচ্ছে শক্তি , m হচ্ছে ভর আর c হচ্ছে আলোর গতি ।। পানির মত সহজ।
আমিতো অবাক হয়ে গেলাম। সমীকরণটা এত্ত সহজ আর আমি কিনা এতদিন ধরে নিজের চুল সাদা করে চলেছি। নাহ , লজ্জায় এখন মুখ ঢাকি কি দিয়ে।।
অপরাধীর মত জিজ্ঞেস করলাম ভাই, আরেকটু বুঝিয়ে বলবেন ??
আবার তিনি দাতা বের করে বললেন, ভর যত হবে তার সাথে দুইবার আলোর গতি গুন দিলে শক্তির মান পাবে। ধরে নিতে পারো যে ভর বাড়লে শক্তি বাড়বে।।
তখন গিয়ে মাথায় ঢুকলো আরেহ এইটা তো এত্ত সহজ একটা সমীকরণ। আইনস্টাইন মহাশয় তো মহাবোকা । মোটা মানুষের শক্তি বেশী হবে এইটা বুঝাতে কিসব ভর আর আলুর বেগ নিয়ে আসতে হয় নাকি??
আসলে বিজ্ঞানী গুলার মাথায় গোবর ভরা থাকে। একবার নাকি বিজ্ঞানীর কুকুর মা হয়েছে। এখন কুকুরের আর কুকুরের বাচ্চার জন্য ঘর বানাতে রাজমিস্ত্রির কাছে গেলেন বিজ্ঞানী। রাজমিস্ত্রি যখন ঘরের আকৃতি জানতে চাইলো।
বিজ্ঞানী বললেন, “ কুকুরের জন্য ঘর বানানো । ঘর হবে মোটামুটি আকারে। একটা বড় দরজা আরেকটা ছোট দরজা দিবেন। ”
রাজমিস্ত্রি আগ্রহ নিয়া বললেন, “ বড় দরজা বুঝিলুম বড় কুকুরীর জন্য। ছোট দরজা কার জন্য?”
বিজ্ঞানী বললেন, “ আরে মিয়া গাধা, সহজ সমীকরণ বুঝনা নাকি ? ছোট বাচ্চা গুলার জন্য ।।”
কথা শোনে রাজমিস্ত্রি আর আমি দুইজনই হা হয়ে বসে রইলাম। ব্যাটায় বলে কি !! ছোট কুকুর ঢুকার জন্য ছোট দরজার দরকার হয় ???!! এত কম বুদ্ধি নিয়ে মিয়া তুমি বিজ্ঞানী হয়েছ ?? ব্যাটা ভণ্ডামির জায়গা পাওনা আবার E=mc^2 লিখে ছাত্রদের মাথা খারাপ করার চেষ্টা? তুমি তো দেখি অনেক বড় ষড়যন্ত্রকারী।:3
মিয়া ভর বেশি হইলে শক্তি তো এমনিই বেশি থাকে এইটা আবার গণিত দিয়া প্যাচাইবার কি হইল ??? মোটা মানুষের সাথে চিকন মানুষ কখনো পারে নাকি ?? আবার সাথে যোগ কইরা দিছে আলুর বেগ। আরে ব্যাটা , শরীরে আলু ছুইড়া মারলে তো ব্যাথা পাইবই। এখন আলুর ওজন যদি ১ কেজির বদলে ২ কেজি হয় তাইলে তো আরো বেশি ব্যথা পাইবো এইডা বুঝাইতে কি গণিত আর পদার্থ বিজ্ঞান লাগে? বিজ্ঞানী হইয়া যতসব ভণ্ডামি করো আরকি , হুহ।