আমরা তার 'রাবিশ" মনে রেখেছি। মনে রেখেছি "স্পিড মানি"। আমরা কেবল মনে রাখিনি আশি বছরের সদা হাস্যোজ্জল পরিশ্রমী স্বপ্ন বাজ এই মানুষটার কর্ম সাফল্যের কথা।
মনে রাখিনি ভঙ্গুর অর্থনীতির একটা দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভীতের উপর দার করিয়ে দেয়ার জন্য তার দেশপ্রেম-সততা আর অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা।
আমরা মনে রাখিনি ২০০৮-০৯ সালে প্রণীত এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এর ৯৯,৯৬২ কোটি টাকার বাজেটকে মাত্র দশ বছরে ২০১৮-১৯ সালে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা পৌঁছে দেয়ার কথা।
মনে রাখিনি শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের অসম্ভব সিদ্ধান্তের বেলায় দেশের সব মহলের বিরুদ্ধে গিয়ে, পক্ষে অবস্থান নেয়া এবং তা বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি থেকে শুরু করে বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়ার কথা।
শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের অর্থনীতির গতি আনতে ৬৪ পাতার একটা সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়নে অটল অবস্থান নিয়ে ভিক্ষা নির্ভর বাজেটকে নিজস্ব অর্থায়ন নির্ভর বাজেটে রূপান্তরের কথা।
আমরা তো এমনি! বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেছি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীকে প্রাপ্য সম্মান দিতে কুণ্ঠাবোধ করেছি। আজকের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যে গুটি কয়েকজন কারিগরের মেধা-পরিশ্রম আর নির্লোভ চেষ্টার ফসল তাদেরকে অস্বীকার করছি।
একদিন হয়ত আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও অস্বীকার করে বসব। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা-অসীম মনোবল আর বিশ্ব দরবারে দেশকে সম্মানের স্থানে বসিয়ে দেয়া।
মঙ্গা কবলিত, ক্ষুধা দারিদ্র প্রীত একটি দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসীন করা। ভুলে যাব নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মানের পেছনের কথা। ভুলে যাব অজস্র মেগা প্রজেক্টের স্বপ্ন দেখা আর তার বাস্তবায়নের কথা। এ সবই ভুলে যাব।
ভুলে যাব বলা ঠিক হবে না, বলতে হবে অস্বীকার করব। কারন সত্যিকার অর্থে কারো অবদানই ভোলা যায় না কেবল ভুলে থাকার ভান করে অস্বীকার করা যায়। সাধারনত আমরা যা করি। এই অস্বীকার করাটা আমাদের মজ্জাগত সমস্যা। বলা যায় জাতিগত দোষ। যা থেকে বেড়িয়ে আসাটা ভীষণ জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭