একজন আশরাফুল আলমের হিরো আলম হয়ে ওঠাটা সত্যিই অনেক চমকপ্রদ। দিনের পর দিন শত প্রতিকুলতা পেরিয়ে একক চেষ্টায় সে আজকের হিরো আলম। রুচির দুর্ভিক্ষে পরা ভুখা মানুষগুলোকে সে রসদ যুগিয়েছে দিনের পর দিন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজের মত করে। সে দেখেছে এ দেশের মানুষ তার শিল্পকলায় যার পর নাই আপ্লুত। সে সেটা লুফে নিয়েছে। সে দেখেছে এ দেশের মানুষ নেতৃত্বের খরায় ভুগছে। এবার সে নেতা হিসেবে আবির্ভুত হল। প্রথমে জেলা শহরে তারপরে রাজধানীতে। জেলা শহরে নির্বাচন করতে গিয়ে সে দেখেছে মানুষ তাকে সমর্থন করছে, তাহলে কেন এগিয়ে যাবে না। তার চেষ্টা তার সফলতাওকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। সেটা তার প্রাপ্য।
রাজনীতির মাঠে তাকে কখোনোই এমন অবস্থায় পরতে হয় নি যে, তাকে মাঠ ছেড়ে দিতে হবে না। যতটুকু প্রতিকূলতা তার সবটাই কাগজে কলমে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রলের স্বীকার হওয়া এ সবের মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিল। এই প্রথম তাকে আমাদের প্রথাগত রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্বীকার হতে হল। যা অত্যন্ত ন্যক্যারজনক। যেভাবে হিরো আলমকে আঘাত করা হয়েছে তা কোনভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। তথাপিও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।
* এতগুলো ক্যামেরার সামনে মুল রাস্তায় এসে কেন তাকে মারা হল?
* সর্বদা তার সাথে থাকা লোকগুলো ঠিক এই সময়েই কেন আলাদা হয়ে গেল?
* তাকে এমনভাবে মারা হল যাতে তার কোন শারীরিক ক্ষতি না হয়, কেন?
* সারা মাস গেল ভোটের পুরোটা দিন পার হল, আধা ঘন্টা বাকি থাকতে হিরো ওখানে কেনই বা পূনরায় গেল?
* সর্বপরি এটা কি মার ছিল নাকি ইউটিউবের কনটেন্ট ছিল?
এবার লক্ষ করুন এর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াগুলো তাহলে আমার প্রশ্নগুলো হয়ত আপনারও প্রশ্ন হয়ে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনকি জাতিসঙ্ঘ সব জায়গা থেকে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। যেন আগে থেকেই ড্রাফট করা। আশ্চর্য হচ্ছেন! আশ্চর্য হওয়ার কোন কারন নেই! নেতাহীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ তো দার করাতে হবে। যেহেতু প্রতিপক্ষে নেতা পাওয়া যাচ্ছে না সেহেতু পরিস্থিতি সৃষ্টির বিকল্প নেই। আর সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আগামীতে এমন আরও অনেক চমকপ্রদ কনটেন্ট আমরা দেখতে পাব, নিশ্চিত থাকুন।
কুশীলব থেমে থাকে না এক ব্যর্থ হলে পরবর্তীজনকে দৃশ্যপটে নিয়ে আসে।
সেই ধারাবাহিকতায় নুরু গেল - হিরো এল। পরবর্তী এপিসডে কে এখন সেটাই দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৬