সন্দেহ নেই আওয়ামীলীগের অনেক দোষ আছে। সব থেকে বড় দোষ সুশাসনের অভাব। ব্যবসায়ীদের অতি মাত্রায় প্রশ্রয় দেয়া। অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের শাসনের কমতি। এ সবই দৃষ্টিগোচর। সেই সাথে দলীয় হাই কমান্ডের অতি আত্মবিশ্বাস তো আছেই। তাই বলে গণতন্ত্রের নামে আওয়ামীলীগকে শেষ করে ফেলতে হবে?
আওয়ামীলীগকে হঠাতে হবে না গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আসলে কোনটা চাই এটাই বড় প্রশ্ন। বিশ্ব দুই মেরুতে বিভক্ত। আওয়ামীলীগ সরকার একটা ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু সেটা বিশ্ব মোড়লের পছন্দ হল না। না হবারই কথা। তারা বাংলাদেশকে এক পক্ষে টেনে নিতে চাইছে। গণতন্ত্রের নাম করে তারা এবার হয়ত সফলও হবে। তাতে কি দেশের মঙ্গল হবে?
যদি এই মূহুর্তে আওয়ামীলীগের সাথে আমেরিকার সুসম্পর্ক থাকত তাহলে কি তারা এমন অবস্থার সৃষ্টি করত? সম্ভবত না। তাহলে নিশ্চয়ই তারা এমন একটি গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় আনতে চাইছে যাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশকে তাদের বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে, সেটা কি এ দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে?
শুভ গণতন্ত্র আসে গন জোয়ারে আর অশুভ গণতন্ত্র আসে বিদেশী প্রভাবে। প্রশ্ন হল আমরা কোন গণতন্ত্র চাই? আওয়ামোলীগ - বিএনপিকে বাদ দিলে যাদের গলাবাজিতে অস্থির হতে হয়, ভোটের মাঠে কি তাদের একজনেরও জামানত থাকে? থাকে না। কিন্তু বছরের পর বছর এরা গলাবাজি করেই চলেছে। তার তো একটা ফলাফল লাগবে। আর সেটা এভাবেই-
আমেরিকা এর আগে-
ইরাকে গণতন্ত্র এনে দিয়েছে!
লিবিয়াকে গণতন্ত্র এনে দিয়েছে!
আফগানিস্তানে গণতন্ত্র এনে দিয়েছে!
এবার পালা দুর্ভাগা বাংলাদেশের।
গণতন্ত্র আসবেই; আমেরিকা এবার বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দিয়ে তবেই ছাড়বে। প্রশ্ন হল গণতন্ত্র এনে দিয়ে সে ঝাণ্ডাটা কাদের হাতে তুলে দেবে আমেরিকা? তারা কারা? তাদের হাতের রক্তের দাগ কি মুছে গেছে? তাদের দুর্নীতির কালো অধ্যায়? তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস লালন সব বুঝি ধুয়ে মুছে গেছে?
তথাকথিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পর দিব্য দৃষ্টিতে যে বাংলাদেশকে দেখা যায়। ঘুমন্ত বাংলাদেশিরা সেই দেশটাই কি চায়?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১