somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলিয়েন, ধর্ম ও প্রাচীন সভ্যতার কিছু নিদর্শন (আপডেটেড ভার্সন) - ২

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মূল পোষ্ট (ছবি সহকারে)

এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের নিয়ে আগ্রহটা আমার সেই ছোটবেলা থেকেই। অবশ্য আমার ধারণা এই ‘আগ্রহ’ কম বেশী আমাদের সবারই আছে। আসলে আমাদের সেই সকল বিষয়গুলোতেই খুব বেশী আগ্রহ থাকে যেটা কিনা আমাদের চিরচেনা চারপাশের সাথে সামঞ্জস্য না। সেদিন হিস্টোরি চ্যানেলে এলিয়েন বিষয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখে আগ্রহটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই ভাবলাম এতোদিনের আগ্রহ নিয়ে একটা পোষ্ট না দিলে আগ্রহটার দাম থাকলো না কোন। তাই আজকের পোষ্টটি শুধুমাত্র এলিয়েনদের নিয়ে।

পোষ্ট শুরু করার আগে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এলিয়েনদের নিয়ে কোন ধর্মে কি বলে তা দেখে নেই প্রথমে।

খ্রিষ্টান ধর্মঃ
খ্রিষ্টান ধর্মে বা বাইবেলে প্রত্যক্ষভাবে এলিয়েন, বা অন্যগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের ব্যাপারে কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বলা আছে যে গড এনজেল, মানুষ এবং প্রাণী সৃষ্টি করেছেন বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে বাইবেল অনুসারে পৃথিবী সৃষ্টির আগে আর অন্য কোনো গ্রহ নক্ষত্রই সৃষ্টি করা হয়নি। জেনেসিস ১:১ এ বলা আছে যে, "In the beginning God created the heaven and the earth." এবং পৃথিবী তৌরির ৪র্থ দিন তৌরি করেছিলেন সূর্য, চাঁদ, তাঁরা। আর তাই এটা বুঝা সহজগম্য যে বাইবেল অনুসারে পৃথিবীই হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু এবং পুরো ইউনিভার্স এর ভাগ্য নির্ভর করছে পৃথিবী এবং মানুষের উপর। যিশুখ্রিষ্ট একদিন ফিরে আসবে এবং মানুষকে মুক্তি দিবে (2 Peter 3:9-10)। অতঃপর গড পৃথিবী ধ্বংসের সাথে সাথে সমগ্র ইউনিভার্স ধ্বংস করে নতুন জান্নাত এবং পৃথিবী সৃষ্টি করবে(2 Peter 3:7,10; Revelations 21:1)। তাই এর থাকে অনুনয় করা যায় যে এলিয়েন এর স্থান বাইবেলে নেই। গড শুধুমাত্র পৃথিবীই তৌরি করেছে মানুষের জন্য এবং বাকি সবকিছু তৌরি করেছেন মানুষের জন্যই।

হিন্দু ধর্মঃ
হিন্দু ধর্মে স্পষ্টভাবেই বিভিন্ন দেব দেবীর কথা বলা আছে যাদের অস্থিত্ব এই পৃথিবীতে মাটিতে হয়নি। হিন্দু বেদ অনুসারে, ৪ লক্ষ এর বেশী মানুষ্য প্রজাতি এবং অর্ধ মানুষ প্রজাতি রয়েছে। অন্যধর্মে যেখানে এলিয়েন এর সম্পর্কিয় কোনো তথ্য খুজে পাওয়া দূরহের কাজ সেখানে হিন্দু ধর্মের বেদ, গীতা, রামায়ান, মহাভারত এবং অনান্য ধর্মীয় বইয়ে এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভরপুর তথ্য রয়েছে। এতো তথ্য রয়েছে যে আপনি কাঙ্গিত তথ্য কাঙ্গিত সোর্স থেকে খুজে পেতেই হিমশিম খেয়ে যাবেন।

তার মানে আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি তা হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন।

বোদ্ধ ধর্মঃ
বোদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ‘ত্রিপিটক’ এর ১১ নং ভলিয়মের ৬১ নং পৃষ্ঠায়, ভলিয়ম ২৩ সুতানটাপিডক ২৫ (Buddhism Theravada) এ বুদ্ধা অন্য গ্রহের প্রাণের অস্থিত্ব নিয়ে কথা বলেছেন।

বুদ্ধা তিনটি গ্রহ নিয়ে কথা বলেছেনঃ

১। Amornrakoyan
- দ্বীপ এবং সাগর আছে
- প্রাণের অস্তিত্ব আছে, মানুষ অবয়বের কিন্তু মুখাকৃতি চাদের মতো।
- উচ্চতা ৩০০ সেন্টিমিটার
- জীবণকাল ৫০০ বছর

২। Buppaviteha
- দ্বীপ আছে
- প্রাণের অস্থিত্ব মানুষের ন্যায় কিন্তু মুখাকৃতি কাপের মতো।
- উচ্চতা ৪৫০ সেন্টিমিটার
- জীবণকাল ৭০০ বছর
-
৩। Auttrarakuru
- সমতলভূমি
- প্রাণের অস্থিত্ব মানুষের ন্যায় কিন্তু মুখাকৃতি ঘনআকৃতির মতো।
- উচ্চতা ৬৫০ সেন্টিমিটার
- জীবণকাল ১০০০ বছর



ইসলাম ধর্মঃ

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্মে বিশ্বাসীও নই আবার অবিশ্বাসীও নই। তবে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যতই তথ্য জানার চেষ্টা করেছি, ততোই অভিভূত হয়েছি। অভিভূত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ‘কোরআন’। কোরান শরীফের আয়াতগুলো এখন পর্যন্ত পরিবর্তন না হলেও আমার ধরণা এক একটি আয়াত নিয়েই প্রচুন গবেষণা করা সম্ভব। কারণ অনেক আয়াতই আছে যেগুলোর অর্থ একজন ব্যাক্তি বিভিন্নভাবে নিতে পারবে। অর্থ্যাত এক এক জনে ব্যাখ্যা এক এক রকম হয়ে থাকে। তাই হয়তো কোরআনের অনুবাদ যখন তফসির সহ করা হয় তখন তার অর্থ এক এক অনুবাদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। যা সত্যিই অভূতপূর্ব একটি বিষয়। অভূতপূর্ব একারণেই বলছি কারণ আজ থেকে ২০০ বছর আগে যদি কোনো আয়াত এর অর্থ মেনে নিয়ে একজন জীবণ-যাপন করতো, সেই আয়াতই হয়তো আজ অন্যভাবে নিয়ে আজকের মানুষ জীবণ-যাপন করছে। আমি বলছি না যে আয়াতের অর্থ ভিন্ন, বরং আমি বলতে চাচ্ছি তা সময়ের সাথে খাপ খাচ্ছে খুব সুন্দরভাবে। আর আমার মনে হয় এখানেই কোরআনের সার্থকতা। একটু উদাহরণ দিয়ে বললে হয়তো আপনাদের আমি বুঝাতে পারবো বিষয়টা কিছুটা। ধরুন একটি আয়তে মানুষ এবং পৃথিবীর জীব জন্তু ছাড়া অন্য কোনো অস্থিত্বের কথা বলা আছে। এখন কেউ যদি ঐ অস্তিত্বকে ‘জ্বীন’ জাতি হিসেবে দেখতে চায় তাহলে তা সেই হিসেবেই ধরে নিতে পারে। আবার কেউ যদি তা অন্য কোনো প্রাণী বা এলিয়েন হিসেবে ধরতে চায় তাহলে সে তা ঐ অর্থেই ধরে নিতে পারে। আর এই জন্যেই হয়তো সূরা গাফের ৫৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

যার ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছে,

The creation of the heavens and the earth is definitely a greater thing than creation of mankind, however, most of mankind knows not.

আর এর বাংলানুবাদ হচ্ছে

"মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।"

আবার কিছু জায়গায় বলা হয়েছে সেসব জিনিস নিয়ে অনুসন্ধান করতে না যাওয়ার জন্য, যেসব জিনিসের অর্থ আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞান দিয়ে ভেবে কুলিয়ে উঠতে পারবো না। সময়ই আমাদেরকে আমাদের উত্তরে পৌছে দিবে।

এর মানে কি এটা বুঝাচ্ছে না যে সব সময়য়ের জন্য সবরকম কৌতহল আমরা মিটাতে পারব না ?

সে যাই হোক এবার আসি এলিয়েন নিয়ে কোরআনে কি কোনো কিছু বলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে।

সূরা আত-তালাক এর ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

যার একটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ
Allah is He Who created seven heavens and of the earth also their like.23 His Command descends among them. (This you are being told) so that you may know that Allah has power over everything, and that Allah's knowledge encompasses all.

আরেকটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ
It is Allah Who has created seven heavens and of the earth the like thereof (i.e. seven). His Command descends between them (heavens and earth), that you may know that Allah has power over all things, and that Allah surrounds (comprehends) all things in (His) Knowledge.

বাংলানুবাদঃ
"আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান, আর পৃথিবীর বেলায়ও তাদের অনুরূপ। বিধান অবতরণ করে চলেছে তাদের মধ্যে, যেন তোমরা জানতে পার যে আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান, আর এই যে আল্লাহ্ সব-কিছুকে ঘিরে রেখেছেন জ্ঞানের দ্বারা।"

যার প্রথম লাইনটার অর্থ অনেকটা এরকম দাঁড়ায়, 'আল্লাহ সপ্ত আসমান এবং সমপরিমান পৃথিবীর ন্যায় তৌরি করেছেন এবং তাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছেন।

সূরা আশ-শুরা এর ২৯ নং আয়াতটি বলা হয়েছে,

وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَابَّةٍ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ

যার ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ
"And of his signs is the creation of the heavens and earth and what He has dispersed throughout them of creatures. And He, for gathering them when He wills, is competent."

আরেকটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ
"Among His signs is the creation of the heavens and the earth, and the living creatures that He has scattered through them: and He has power to gather them together when He wills."

বাংলানুবাদঃ
"তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।"

‘প্রাণের অস্থিত্ব' আর ‘ছড়িয়ে দিয়েছেন' এই দুটো শব্দ এর অর্থ যাচাই করলে কি এই দাঁড়ায় না যে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলেও প্রাণের অস্বিত্ব রয়েছে ?
সব থেকে চমকপ্রদ তথ্য যেটা আমাকে পুরোপুরি বিস্মিত করেছে সেটা হচ্ছে সূরা আল-আম্বিয়া এর ৩০ নং আয়াত।

أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ

ইংরেজী অনুবাদঃ
Have those who disbelieved not considered that the heavens and the earth were a joined entity, and We separated them and made from water every living thing? Then will they not believe?

বাংলানুবাদঃ
“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?”

এই আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আল্লাহ প্রাণের সৃষ্টি করেছেন ‘পানি’ থেকে। আর বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আমাদের বলছে ‘প্রাণের’ সৃষ্টি হয়েছে সাগরের পানি থেকে। আর তাই তারা গ্রহে নভোযান পাঠিয়ে যেটা সর্বপ্রথম দেখতে এবং জানতে চাচ্ছে তা হচ্ছে সেই গ্রহে ‘পানি’ আছে কিনা !!

ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ যেই রেফারেন্সটা দিতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ তায়লার একটি নাম। আর সেটা হচ্ছে ‘আল-আমিন’। যার অর্থ হচ্ছে "The Lord of the worlds". এখানে ‘Worlds’ দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছে না যে পৃথিবী ছাড়াও আরও অনেক গ্রহ রয়েছে যেখানে আল্লাহর তৌরি প্রাণ রয়েছে ?

যাইহোক ইসলাম ধর্মের লোকজনদের কাছে উপরের রেফারেন্সগুলো যদি মানতে চায় তাহলে মানতে পারে। কিন্তু অন্যধর্মালম্বীদের কাছে এগুলো হয়তো মোটেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই আমি কোরআন থেকে আর কোন লজিক তুলে ধরতে চাচ্ছি না।

এবার আসি লজিকেঃ

এমনিতে যদি লজিক দিয়ে বলি তাহলে মিসরের পিরামিড, ইস্টার আইল্যন্ডের এলিয়ান সদৃশ্য বিশাল বিশাল পাথরের শত শত মাথার (একেকটির ওজন ১ টনের ও বেশী) কথা, স্টোনহেঞ্জ, মায়ান সভ্যতার বৃহদাকার পিরামিড যার ভিতরের খোদাই শিলালিপিটির কথা যেখানে কিনা রকেট সদৃশ্য মানষ্য জানের দৃশ্য খোদাই করা আছে। আর এসব তৌরি হয়েছে খৃষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে। অর্থাৎ খৃস্টান ধর্ম আসার ৫০০০ বছর আগে, যখন কিনা ক্রেন ও ছিল না আবার মেশিন ও ছিল না যেটা দিয়ে টনের পর টন একই মাপের পাথরের খন্ড একটার উপর আরেকটি রাখা যায়।

স্টোনহেঞ্জঃ

স্টোনহেঞ্জ এর কথা যদি বলি তাহলে তা হচ্ছে, খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ২০০০ বছর আগে এসব বৃহদকার পাথরের খন্ড সার্কেল ওয়াইজ সাজানো হয়েছিল। অজানা বিষয় হচ্ছে এর আশে পাশে কয়েক মাইলের মধ্যে এই ধরণের পাথরের কোনো অস্তিত্ব খুজে পায়নি আর্কিওলজিষ্টরা। আর তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনে তাহলে সেই সময়ের মানুষরা ক্রেন, বৃহদাকার ট্রাক ছাড়া এগুলো এখানে আনলোই বা কিভাবে বা সার্কেল ওয়াইজ নিখুতভাবে সাজালোই বা কিভাবে !! ঠিক একই কাহিনী ঘটছে 'ইষ্টার আইলেন্ড' নামক দ্বীপে।

ইষ্টার আইল্যান্ডঃ
ইষ্টার আইল্যান্ডের পুরো দ্বীপের চারপাশ ঘিরে আকাশের দিকে মুখ করে বিশাল বিশাল মুখ সদৃশ্য পাথরের খোদাই করা পাথর রয়েছে যার আকৃতি মুখ সদৃশ্য হলেও তা যে মানুষের মুখ দেখে তৌরি করা হয়নি তা স্পষ্টই বুঝা যায়। আর আসল বিষয় হচ্ছে ওই দ্বীপে এই ধরণের পাথরের মূর্তি ছাড়া এই আকৃতির আর কোনো পাথরই নেই। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এরকম যে এগুলো তাহলে আসলো কোথা থেকে !!

নাজিকা লাইনসঃ
এরপর বলতে হয় 'নাজিকা লাইনস' এর কথা যা কিনা Pedro Cieza de León ১৫৫৩ সালে সর্বপ্রথম তাঁর বইতে তুলে ধরেন। তবে তিনি এগুলোকে ট্রেইল মার্কাস ভেবে ভুল করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯২৭ সালে পেরুভিয়ান আর্কিওলজিষ্ট Toribio Mejia Xesspe পাহাড়ে হাইকিং এর সময় সমতল ভূমিতে এই লাইনগুলো আবিষ্কার করেন। এবং ১৯৩৯ সালে এই বিষয়ে কনাফারেন্স করেন। তিনি সাউথ আমেরিকার পেরুতে অবস্থিত বিশাল জায়গা জুড়ে একধরণের চিত্রকর্ম তিনি দেখতে পান যা কিনা সমতল ভূমি থেকে দেখে ধারণাও করা যায় না এগুলো কি আদো চিত্র কর্ম না অন্যকিছু। তবে আকাশ থেকে দেখলে এসব লাইনস গুলো স্পট হয়ে উঠে যে এসব চিত্রকর্ম।

মায়ান সভ্যতাঃ
এবার আসি মায়ান সভ্যতার দিকে। মায়ান সভ্যতাকে বলা হয়ে থাকে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে সব থেকে সমৃদ্ধশালী একটি সভ্যতা। আমরা অনেকেই হয়তো মায়ান সভ্যতার নাম শুনেছিলাম ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ধারণা থেকে। মায়ান সভ্যতার তৌরি করা ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি হচ্ছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন একদিন। তবে সেখানে স্পট করে কিছু বলাছিল না যে এর পরে কি হবে। সে যাই হোক মায়ান সভ্যতার একটি পিড়ামিড ৪ বছর ধরে খুড়ে একটি সমাধিস্থল আবিষ্কার করেছিল প্রত্নতাত্ত্বিকরা যে সমাধিস্থলটার কারুকাজ ছিল হতবাগ করার মতো। কারণ কারুকাজটিতে দেখা যায় একজন মানুষ (যার সমাধিস্থল) স্পেসশিপ টাইপের একটি যন্ত্রে বসে আসে!

আর মায়ানদের ভাষা উদ্ধার করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেখেছে তাদের শুক্র গ্রহের গতিপথ নিয়ে ভালো ধারণা ছিল। শুধু ধারণা বললে ভুল হবে বরং তারা তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণাও করেছে। প্রশ্নটা হচ্ছে, শুক্র গ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য তাদের কমপক্ষে ৪০০০ থেকে ৫০০০ বছর লাগার কথা ছিল (কারণ গতিপথ নির্ণয় করা সময় সাপেক্ষ বিষয়, আর পাশাপাশি তখন কোন টেলিস্কোপ ও ছিল না যে যা দিয়ে তারা তা নির্ণয় করতে পারবে), তাহলে তারা প্রায় নিখুত তথ্য পেলো কাদের কাছ থেকে !!

তাই বিজ্ঞানী এবং প্রত্নতাত্তিকদের ধরণা মায়ান সভ্যতা গড়ে উঠার পিছনে যাদের মূখ্য ভূমিকা রয়েছে তারা এই পৃথিবীর কেউ না। আবার এলিয়নরা যে অনেকদিনের জন্য এসেছিল বিষয়টা আবার তাও না। কারণ মায়ানদের খোদাই করা শিলালিপি থেকে দেখা গিয়েছে তারা তাদের এই আগান্তুক দের ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণে তপস্যা, মূর্তি, বলি ইত্যাদি দিয়ে এসেছে। আর এসব খোদাই করা মূর্তি থেকে বোঝা মুশকিল যে আদো তারা কল্পনাপ্রসূত এগুলো তৌরি করেছে কিনা। কারণ মানুষ আসলে সেসব জিনিসই তাদের কল্পনা এবং সৃষ্টিকর্মে রেখে যায় যা তারা কিনা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পায়। এমন কিছুই বানায় না বা পারে না বানাতে যা তাদের অভিজ্ঞতা তে নেই।
.....................................................................................................
মূল পোষ্ট (ছবি সহকারে)
আমাদের ফেইসবুক পেইজ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×