somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন সকল মুসলমান দেশসমুহ তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত-২

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালো করে নজর করলে দেখা যাবে যে, শাসনব্যবস্থা যাই হোক মুসলমান দেশসমূহের শাসক শ্রেণীর আচরণ একই প্রকৃতির। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সউদী রাজতন্ত্র যা করে অন্যান্য গণতান্ত্রিক মুসলমান দেশসমূহে ক্ষমতাসীনরা কোনো অংশেই তার চেয়ে কম করে না। ওরা ক্ষমতা উপভোগ করার জন্য গণতন্ত্র করে, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে দায়িত্ব গ্রহণ করতে নয়। চরম এবং পরম লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়া এবং তাতে টিকে থাকা, ওই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিংবা অবস্থান স্থায়ী করতে যতটুকু জনহিতকর কাজ না করলেই নয়, তাই করা।

আমরা জানি, রাজতন্ত্রে রাজার ছেলে রাজা হয়, কিন্তু বর্তমান সময় গণতান্ত্রিক মুসলমান দেশসমূহে ওই একই পদ্ধতি। গণতান্ত্রিক এমপি, মন্ত্রীদের সন্তানেরা এমপি, মন্ত্রী হবে, এ যেন তাদের পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত গণতান্ত্রিক অধিকার।
সমস্যা ছিল না তাতে যদি তারা সঠিক পবিত্র দ্বীন ইসলাম বুঝতেন, সঠিক দিক-নির্দেশনা পেতেন, জনদরদি হতেন। উপমহাদেশে ৭০০ বছর মোঘল রাজতন্ত্র অনেক ভালো চলেছে বর্তমান সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের চেয়ে।
এসব দেশে দেখা যাবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ কিংবা এডিবি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠানরা সেনাবাহিনীর দুর্গ সমতুল্য অফিস তৈরি করে। এরাই হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের অর্থনীতিকে চুষে নেয়ার জন্য বৃহৎ আকৃতির সব ভ্যাক্যুয়াম ক্লিনার। ২০০ বছর এই উপমহাদেশে ইংরেজদের নীলকুঠি যেই কাজটি করেছে, এই একবিংশ শতাব্দীতে ওই সমস্ত সংস্থা ওই একই কাজটি করছে তবে ভিন্নতা রয়েছে সূত্রপাত ও কার্য পদ্ধতির ক্ষেত্রে।

চোর রবার্ট ক্লাইভ খাতির করেছিল দুর্নীতিবাজ এবং বেঈমান মীর জাফরের সাথে, তার মাধ্যমে ইংরেজরা ব্যবস্থা করেছিল এই উপমহাদেশের সম্পদ ২০০ বছর ধরে লুটে নেয়ার। আর বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের তথা মুসলমান অধ্যুষিত দেশসমূহের সম্পদ চুষে নেয়ার জন্য তারা স্থান বিশেষে বিভিন্ন ধরনের শাসনব্যবস্থা চালু করেছে, কোথাও রাজতন্ত্র আর কোথাও আবার গণতন্ত্র। তবে মূল চাহিদা হচ্ছে, শাসনব্যবস্থা যাই হোক ক্ষমতায় থাকা মানুষগুলোকে হতে হবে চরম দুর্নীতিবাজ। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ প্রতিনিয়ত চুষে নেয়াতে কোনো সমস্যাই নেই। বর্তমান যামানাতে দেশ দখল করার জন্য মীর জাফরের মতো ব্যক্তির প্রয়োজন নেই। দেশ দখল করে কলোনী তৈরি করার প্রয়োজন নেই। দেশীয় জনগণ জানবে যে, তাদের নেতাদের অদক্ষতা এবং দুর্নীতির কারণেই দেশের অর্থনীতি খারাপ। কিভাবে দুর্নীতিবাজ লোকগুলো ক্ষমতায় যাচ্ছে? কিভাবে দুর্নীতি করছে? কিভাবে দুর্নীতির টাকাটা বণ্টিত হচ্ছে? কিংবা কিভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহ এর সাথে জড়িত, তার কিছুই সাধারণ জনগণ বুঝতে পারবে না- এটাই হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব তথা মুসলমান দেশসমূহের জনগোষ্ঠীর দুঃখজনক অধ্যায়। জনৈক জন পার্কিন্স, যে প্রায় ২১ বছর ওই সমস্ত সংস্থার সহযোগিতায় তৃতীয় বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত ছিল। সে একটি বই লিখেছে, যার নাম- ‘Confessions of an Economic Hit Man’ ‘একজন অর্থনীতি ধ্বংসকারীর আত্মস্বীকৃতি।’ অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় সে লিপিবদ্ধ করেছে যে, কিভাবে তৃতীয় বিশ্বের অর্থনীতি চুষে নিয়ে তারা ওই দেশসমূহের অর্থনীতি ধ্বংস করতো; যা এখনো চালু আছে এবং ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্তা মুসলমানরা সত্যিকারের নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে না পারবে।
মুসলমানদের নেতৃত্ব কি ধরনের হওয়া উচিত? তা অতি সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব যদি আমরা পবিত্র দ্বীন ইসলামের স্বর্ণযুগের নেতৃত্বের দিকে নজর দেই। পৃথিবীর মানব রচিত কোনো সংবিধান পবিত্র কুরআন শরীফের সমতুল্য হতে পারে না। ঠিক তেমনিভাবে পৃথিবীর কোনো মানবীয় শিক্ষায় শিক্ষিত নেতা পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস ও তাসাউফ শিক্ষায় শিক্ষিত উনার সমতুল্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে জামাত/শিবির কিংবা হিযবুত তাহরীরের নেতৃত্বের কথা ভাবলে ভুল হবে। ওরা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সম্পর্কহীন দল। এদের মাধ্যমে মুসলমানরা মুক্তি পাওয়া কিংবা উন্নতি করার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি। এখনই সময় যামানার মুজাদ্দিদ উনাকে খুঁজে বের করা এবং উনার পতাকাতলে সংঘবদ্ধ হওয়া। মহান আল্লাহ পাক তিনি বর্তমান যামানার মুসলমানদের হিফাজত করুন। (আমীন)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×