somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনাদের কাছে আমার আবেদন এটা পড়ুন

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি মাঝে মাঝে অনেক কিছু পড়ি যা চোখ এড়িয়ে যায় । তাই আমার এই ছোট্ট একটা অনুরোধ। আপনাদের কাছে আমার আবেদন এটা পড়ুন এবং শেয়ার করুন, কার কাছে জানেন ? নিজের বিবেক এর কাছে , নিজের বিবেক কে বোঝান । ।


ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বাড়ি আয়েশা বেগমের। ছেলের বাসা ঢাকার মিরপুর। আপনজন বলতে তাঁর রয়েছে ছেলের বউ আর নাতি। সেখানেই থাকার কথা আয়েশা বেগমের। একসময় কোলে-পিঠে করে ছেলেকে মানুষ করেছেন। নাতিকে আগলে রেখেছেন বুকে। স্বামী মারা যাওয়ার পর যখন শেষ সম্বল হিসেবে আঁকড়ে ধরবেন ছেলের হাত, তখনই সেই হাত ফসকে ছেলেও চলে যায় না ফেরার দেশে। তবে যাওয়ার আগে ঢাকার মিরপুরে বিশাল বাড়ি করে যায়। জীবনের শেষ কটা দিন নাতি আর নাতবউয়ের সঙ্গে সেখানেই থাকবেন, এমনটাই আশা ষাটোর্ধ্ব এই বৃদ্ধার। অত বড় বাড়িতে আয়েশা বেগমের জায়গা হবে না, তা তো নয়। হবেই। এমনটা আশা করেই সেই হরিণাকুণ্ডু থেকে রওনা হয়েছিলেন তিনি। একাই। মিরপুর পর্যন্ত এসেও ছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে ছেলের বাসার ঠিকানা হারিয়ে ফেলেন। সময়টা সবে সন্ধ্যা পার হয়েছে। মিরপুরের এক রাস্তায় কাঁদতে থাকেন পথ হারানো শিশুর মতো। বৃদ্ধ হলে মানুষ তো শিশুই হয়ে যায়। কান্না শুনে এগিয়ে আসে কিছু তরুণ। রাত ১১টার দিকে আয়েশা বেগমকে নিয়ে একটি সিএনজি এসে থামে গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের গেটে। তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন এখানকার কর্মীরা। তাঁর ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে ব্যাগ হাতড়ে বের হয় একটি বিয়ের কার্ড। বেশ কয়েক মাস আগে নাতির বিয়ে হয়েছে। সেই কার্ডের সূত্র ধরে ফোন করা হয় আয়েশা বেগমের ছেলের বউকে। সেখান থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আয়েশা বেগমের থাকার জায়গা সেখানে নেই। তাঁকে যেন বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রেই রাখা হয়। সেই থেকে আয়েশা বেগমের ঠিকানা বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র, বিশিয়া, হোতাপাড়া, গাজীপুর।





তার ঠাই হয়েছে একজন মানুষ এর কাছে, যিনি ২০০ এর বেশী বৃদ্ধ, ছেলে মেয়ে যাদের রাখতে চায় না , তাদের নিজের কাছে রেখেছেন বিনামূল্যে ।

তার নাম খতিব আবদুল জাহিদ। তাকে ওখানকার সবাই "বাবা" বলে ডাকে । প্রশ্ন জাগতে পারে কেন তিনি এরকম দরদী।

কিশোরের মনে বড় দাগ
ঘটনাটা হয়তো অনেকেই জানেন। আবারও বলা যায়। এটা এমনই এক ঘটনা যা কখনো পুরোনো হয় না। এই ঘটনার স্থান সবুজ শ্যামল এক গ্রাম। যেখানে মুকুল নামের দুরন্ত এক শিশু বেড়ে উঠছে। তাঁর বয়স যখন ১২-১৩ বছর, তখনই এ ঘটনার মুখোমুখি হন তিনি। তাঁর বাড়ির পাশের এক বৃদ্ধাকে একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে কাঁদতে দেখেন। তাঁর কাছে গিয়ে জানতে চান কান্নার কারণ। বৃদ্ধা জানান, তাঁর সন্তানেরা আর তাঁকে বাড়িতে রাখতে চায় না। যাদের তিনি কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন, এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখিয়েছেন তাদের কাছেই ঠাঁই হচ্ছে না এই বৃদ্ধার। এখন কোলে যে শিশু আছে সে বৃদ্ধার নাতি। নাতিরা যেমন তাঁকে ছাড়তে চায় না, তেমনি বৃদ্ধাও তাদের ছেড়ে কোথায় গিয়ে থাকবেন, তা ভেবে পান না। এ ঘটনা দাগ কাটে ওই কিশোরের মনে। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, এসব অবহেলিত মানুষের জন্য কিছু করবেন। যাঁদের পৃথিবীতে সন্তান থাকার পরও না থাকার অবস্থা হয়, তাঁদের সন্তান হয়ে আশ্রয় দেবেন তিনি। সেই চিন্তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটান মুকুল। এ বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। পুরো নাম খতিব আবদুল জাহিদ। মুকুল নামে সবার কাছে পরিচিত তিনি।

সূত্র: ছুটির দিনে হলেও আমি আগে পড়েছিলাম তাকে নিয়ে, কিন্তু গুছিয়ে লিখা, দিয়ে দিলাম ।



ছুটির দিনের লিংক-১
ছুটির দিনের লিংক-২



‘তিনি আমাদের বাবা’, বললেন একজন বৃদ্ধ......
আবদুল জাহিদ প্রায়ই গভীর রাতে ঢাকা শহরে ঘুরতে বের হন। রাস্তায় একা কোনো প্রবীণকে ঘুমাতে দেখলে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে আসেন পুনর্বাসন কেন্দ্রে। এখানেই শেষ নয়, দেশের বিভিন্ন জেলখানায় খোঁজখবর রাখেন তিনি। কোনো অসহায় নিরপরাধ বৃদ্ধকে আটক অবস্থায় দেখলে তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করেন। যোগাযোগ করলে ষাটোর্ধ্ব যে কেউ এসে বিনা পয়সায় এখানে থাকতে পারেন।
গত কাল অনেকে ওখানকার ঠিকানা চেয়েছেন, তাদের জন্য।পুনর্বাসন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭১৪০৯৬৩২৫ নম্বরে।







ছুটির দিন থেকে নেয়া । অনেকের হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে, অনেকে চোখ বুলিয়ে চলে গেছেন কাজে । আমরা অনেক ব্যাস্ত, আমাদের অনেক কিছু মনে নেই.. মায়ের বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ঘুমানোর কথা মনে নেই, বাবার কাছে বায়না ধরার কথা.. আমরা ব্যস্ত.......তবুও, যদি সময় হয় পড়বেন, প্লাস দরকার নাই, স্টিকি ও না, শুধু পড়বেন......
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:২৭
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×